খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় দানা'র প্রভাব

বৃষ্টিতে মোংলায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
বৃষ্টিতে মোংলায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাগেরহাট জেলাসহ মোংলা সমুদ্রবন্দর ও সুন্দরবন জুড়ে থেকে থেমে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় ইতিমধ্যেই সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের মৎস্য বন্দরগুলোতে শত শত ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সড়িয়ে নেওয়া জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে। দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ।

মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ‘গ্রেট বিউটি’ ও ‘হুয়া ইয়ং মেই গুই’ নামের দুটি বিদেশী পতাকাবাহী দুটি জাহাজ থেকে খালাস বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচটি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য খালাস ও পরিবহন বৃষ্টির কারণে দারুন ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে মোংলা বন্দরে ৯ নম্বর জেটিতে নিরাপদে আশ্রয়ে নোঙর করে রয়েছে নৌবাহিনীর দুটি ও মোংলা নৌঘাঁটিতে আরো দুটি যুদ্ধজাহাজ। বিএনএস শাপলা, বিএনএস শৈবাল, বিএনএস প্রত্যাশা ও বিএনএস স্বাধীনতা নামে এই চারটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মোংলায় আসে।

মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘূর্ণিঝড়কে ঘিরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব এলার্ট ওয়ান জারি করেছে। এলার্ট বাড়লেই তখন বন্দরে সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে।

সুন্দরবনের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান জানান, দিনভর ভারি বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনে। এছাড়াও স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীখালে কয়েকশত ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মাদ আল বেরুনী জানান, জেলার প্রায় ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ন বেড়িবাঁধ রক্ষায় পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ ও ব্লক প্রস্তত আছে। বিভিন্ন পোল্ডারের বাঁধগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী সভা করে ৯টি উপজেলায় ৩৫৯টি আশ্রয় আশ্রয় কেন্দ্র, ৮৪টি মেডিকেল টিম। দূর্যোগ মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপি’র ৩ হাজার ৫০৫জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৮ শত মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা মূল্যের শিশুখাদ্য ও গোখাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি পৌছালে জেলার ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ৬ হাজার ৬৫১জনকে নিয়ে আসা হবে।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির চালা মৌজার হাজী কোরবান আলী শেখের জমি প্রতিবেশী হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টায় বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হাজী কোরবান আলী শেখ।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার  সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।‌ হাজী সবুর তালুকদার ওই জমির জন্য বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে আসছেন। এরই জের ধরে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হঠাৎ করে অনুমানিক ৯ টার সময় হাজী সবুর তালুকদার লোকজন নিয়ে উক্ত জায়গায় অন্যায়, অবৈধভাবে ও জোরপূর্বকভাবে ইট বালি সিমেন্ট দ্বারা আমার জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উক্ত কাজে আমি বাঁধা দিতে গেলে তিনি আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন। আমি এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে হাজী সবুর বলেন, এই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। জমির মালিক ছিলো অনেকে তাই জমি নিয়ে এতো জটিলতা। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সত্য না।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকেরিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামুনর রশিদ, রোরহান আলী শেখ, আব্দুল করিম মিয়াসহ ভুক্তভোগী কোরবান আলী শেখের পরিবারের সদস্যরা।

ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়।

একজন বাসযাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ বাসটার্মিনাল থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম, চলন্ত অবস্থায় বাসের মধ্যে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বাসটি থামালে বাসের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে নেমে পড়েন। এর একটু পরেই পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, খুলনা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে রূপসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথে শৈলকুপার মোহাম্মদপুরে পৌঁছালে ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়।

সে সময় যাত্রীরা দ্রুতই বাস থেকে নেমে পড়েন। পরে আগুন সম্পূর্ণ বাসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।

এসময় তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনী হাসিনার বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনার ফাঁসি দে’ সহ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ছয় মাস পার হয়ে গেছে অথচ বিচারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা কি আমাদের ভাইদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি নয়?

একজন শহীদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাকে হত্যার মাধ্যমে মূলত আমাদের পুরো পরিবারকেই হত্যা করেছে তারা। কারণ পরিবার যে চালায় সে না থাকলে পরিবারের আর কিছু থাকে না। এখনো কেন আসামি ধরা হচ্ছে না? এখনো কেন বিচার করা হচ্ছে না? কেন আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে? আমরা সরকারের কাছে এগুলোর জবাব চাই।