হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বুধবার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলার সিইও ইলন মাস্কের ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আর বাড়তি আলোচনায় না গিয়ে সরকার এখন আমেরিকান জনগণের স্বার্থেই মনোনিবেশ করছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
সংবাদ সম্মেলনে লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ইলনের আজকের বিবৃতিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তার এই বক্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আমরা এখন আমেরিকান জনগণের কাজের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি।
এ সময় সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেওয়া এক মন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে সরকারের চুক্তিগুলো পর্যালোচনার কথা বিবেচনা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেভিট বলেন, এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমার জানা মতে, সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নিভ
এর আগে বুধবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক লেখেন, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে আমি কিছু পোস্ট করেছিলাম, যার জন্য আমি অনুতপ্ত। আমার মন্তব্যগুলো সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাতে ইলন মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করেন এবং বুধবার ভোরে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। যদিও ফোনালাপটি মাত্র কয়েক মুহূর্ত স্থায়ী হয়।
সিএনএন জানায়, গত শুক্রবার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস ইলন মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন তারা ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করেন বলে দুইটি সূত্র জানিয়েছে।
গত এক সপ্তাহে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মীমাংসা করতে এবং তার প্রস্তাবিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ সমর্থনে আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইলন মাস্ককে অনেকেই ‘ফার্স্ট বাডি’ হিসেবে অভিহিত করতেন। সেই সময় প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা মাস্কের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন, যা এখন কাজে লাগিয়ে তারা এই বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছেন।
টেক্সট মেসেজ ও ফোনালাপের মাধ্যমে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠরা মাস্ককে বোঝানোর চেষ্টা করছেন কেন ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ গুরুত্বপূর্ণ, যদিও এ বিল সিনেটে এখনও প্রতিবন্ধকতার মুখে রয়েছে। সূত্র জানায়, মাস্ক আলোচনায় সহানুভূতিশীল হলেও বিলটিতে পর্যাপ্ত ব্যয়সংকোচ না থাকায় কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন