খুঁজুন
শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১ মাঘ, ১৪৩১

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল

বিদেশি পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন: গভর্নর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
বিদেশি পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন: গভর্নর

সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিদেশে পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীর সহায়তা চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ এ সহায়তা চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বিভিন্ন সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে বৈঠক করবে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।

এ বৈঠকেও পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ ও সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরসহ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার রাতে একাধিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, নভেম্বর থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে। ২২ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর বার্ষিক সভা। সভায় বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে। তারা ওই বৈঠকের পাশাপাশি সাইড লাইনে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করছে। এগুলোয় ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করতে যে রোডম্যাপ তৈরি করেছে, তা তুলে ধরা হচ্ছে।

একটি সূত্র জানায়, পাচার করা টাকা দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের এখন জরুরি প্রয়োজন কারিগরি ও আইনগত সহায়তা। এজন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে কোনো দেশে পাচার হওয়া টাকা কীভাবে ফেরানোর আবেদন করতে হবে, কাদের কাছে করতে হবে, এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কারা-এসব তথ্য জানতে ইতোমধ্যে বিএফআইইউ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পেলে দ্রুত পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এজন্যই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সহায়তা চাচ্ছে। আজকের বৈঠকেও বাংলাদেশ এ বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা চাইবে। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। এ সময় প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তারা জানান, নতুন বাংলাদেশ গড়তে তারা বিভিন্ন খাতে সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। সংস্কার শেষ হলেই নির্বাচনের বিষয়ে কাজ শুরু হবে। তারা প্রবাসীদের কাছে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে দেশ দ্রুত সংকট কাটিয়ে ওঠতে পারবে।

প্রবাসীদের এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, রাতারাতি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। একটু সময় লাগবে।

বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এক বৈঠকে অংশ নিয়ে বলেন, নভেম্বর থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে। দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাপনাসহ ভগ্নদশায় থাকা আর্থিক খাতের শুদ্ধতায় আনা পরিবর্তনগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু করতে রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। গত সরকারের আমলে কোন ব্যাংক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে যাচাই-বাছাই করে নিরূপণ করা হবে। তখন জানা যাবে কোন ব্যাংক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ভিত্তিতে ব্যাংক খাতের প্রকৃত অবস্থা জানার পাশাপাশি সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাত সংস্কারসহ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে নীতিসহায়তা চাওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সহায়তা দরকার। এর আগে বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোরে ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সভায় আইএমএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টালিনা জিওরগিভা এ কথা বলেন।

আইএমএফ-এর এমডি শ্রীলংকার উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেশটিতে সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সাফল্য তাদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রতিবেশী সদস্য দেশগুলোয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে শ্রীলংকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল এবং কম আয়ের দেশে সংখ্যার বিচারে শুধু মূল্যস্ফীতি কমাটাই সব নয়, এর সঙ্গে অন্যান্য সূচকেও উন্নয়ন করতে হবে।

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- আলী হোছেন (৩৫), মো. আরিফ উল্লাহ (৩০) ও দৌছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল (২৫)।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮-৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় পৃথক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮ নম্বর পিলার ফুলতলী এলাকায় মিয়ানমারের গরু আনতে যান আলী ও আরিফ। কাঁটাতারের পাশে গেলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে আলী হোসেনের বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও আরিফ উল্লাহর মুখে গুরুতর আঘাত পান। অন্যদিকে সীমান্তের ৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় গরু আনতে গেলে আহত হন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, সীমান্তে পৃথকস্থানে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে আলী হোছেন নামে একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অন্যরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। আহতরা মিয়ানমার সীমান্তে গরু আনতে গিয়েছিলেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুল জানান, সীমান্তে বিস্ফোরণে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছে।

বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধু হিসেবে অভিহিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ‘ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক কষ্ট দেয়’। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যতটা সম্ভব শক্তিশালী হওয়া উচিত। আপনি (প্রতিবেদক) জানেন- বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতের মানচিত্র আঁকতে পারবেন না। কেননা বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত প্রায় পুরোটাই ভারতের সঙ্গে যুক্ত।

বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসিনার সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন না তোলায় বিশ্বকে দোষারোপ করেছেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শাসন করা হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের শক্ত অভিযোগ রয়েছে। যা তদন্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ড. ইউনূস অভিযোগ করেন, কেউই হাসিনার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেনি; যা ভালো বিশ্ব ব্যবস্থার লক্ষণ নয়। এমনটা হওয়ার জন্য পুরো বিশ্বই দায়ী। তাই হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

এই নোবেলজয়ী তিনি আরও বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা সবাইকে ছাড়িয়ে গেছি, এ কথা পুরোটাই মিথ্যা।’

তবে তিনি এর ব্যাখ্যা দেননি। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন ড. ইউনূস।

২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী নন।

ড. ইউনূস বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রবৃদ্ধির হার দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত নই। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মান দ্বারা প্রভাবিত। তাই আমি এমন একটি অর্থনীতির কথা চিন্তা করি যেখানে সম্পদকে কেন্দ্রীকরণের ধারণা থেকে বের হওয়া যাবে।

ঢাকা-দিল্লির তিক্ততার মূল কারণ শুধু শেখ হাসিনাকেই সমর্থন দিয়ে গেছে ভারত। জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন ড. ইউনূস। যাতে এখন সাড়া দেয়নি দিল্লি। যার ফলে দুই দেশের তিক্ততা বেড়েছে আরও কয়েক গুন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম সুপারিশ করেন ছাত্র নেতারা। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেন ড. ইউনূস। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।

মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মুদ্রানীতির পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট করার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে এখনই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়াটা যৌক্তিক সময় নয়। তাছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও বিষয়টিতে সায় দিচ্ছে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। তাছাড়া অন্য কোনো খাতের বেতন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়েনি। এ পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিজীবীকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। অন্যদের প্রতি ন্যায্যতা হবে না। সার্বিকভাবে এ সময়ে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই যুক্তিযুক্ত।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পক্ষে অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এমন তো নয় যে সরকারি কর্মচারীরা খুব কম বেতনে চাকরি করছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীর বেতন বেসরকারি খাতের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, উপসচিব হলেই বিনা সুদে গাড়ির ঋণ এবং সেই গাড়ি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি মাসে বাড়তি ৫০ হাজার করে টাকাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া থেকে সরে আসাটাই যৌক্তিক।

সূত্র জানায়, সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিষয়টিতে সায় না দিয়ে মহার্ঘ ভাতার নথি ফেরত পাঠিয়েছে। তারা জানিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত এ ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করা যেতে পারে।

ব্রেকিং নিউজ