খুঁজুন
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল

বিদেশি পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন: গভর্নর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
বিদেশি পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন: গভর্নর

সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিদেশে পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীর সহায়তা চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ এ সহায়তা চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বিভিন্ন সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে বৈঠক করবে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।

এ বৈঠকেও পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ ও সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরসহ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার রাতে একাধিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, নভেম্বর থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে। ২২ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর বার্ষিক সভা। সভায় বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে। তারা ওই বৈঠকের পাশাপাশি সাইড লাইনে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করছে। এগুলোয় ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করতে যে রোডম্যাপ তৈরি করেছে, তা তুলে ধরা হচ্ছে।

একটি সূত্র জানায়, পাচার করা টাকা দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের এখন জরুরি প্রয়োজন কারিগরি ও আইনগত সহায়তা। এজন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে কোনো দেশে পাচার হওয়া টাকা কীভাবে ফেরানোর আবেদন করতে হবে, কাদের কাছে করতে হবে, এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কারা-এসব তথ্য জানতে ইতোমধ্যে বিএফআইইউ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পেলে দ্রুত পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এজন্যই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সহায়তা চাচ্ছে। আজকের বৈঠকেও বাংলাদেশ এ বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা চাইবে। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। এ সময় প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তারা জানান, নতুন বাংলাদেশ গড়তে তারা বিভিন্ন খাতে সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। সংস্কার শেষ হলেই নির্বাচনের বিষয়ে কাজ শুরু হবে। তারা প্রবাসীদের কাছে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে দেশ দ্রুত সংকট কাটিয়ে ওঠতে পারবে।

প্রবাসীদের এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, রাতারাতি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। একটু সময় লাগবে।

বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এক বৈঠকে অংশ নিয়ে বলেন, নভেম্বর থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে। দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাপনাসহ ভগ্নদশায় থাকা আর্থিক খাতের শুদ্ধতায় আনা পরিবর্তনগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু করতে রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। গত সরকারের আমলে কোন ব্যাংক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে যাচাই-বাছাই করে নিরূপণ করা হবে। তখন জানা যাবে কোন ব্যাংক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ভিত্তিতে ব্যাংক খাতের প্রকৃত অবস্থা জানার পাশাপাশি সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাত সংস্কারসহ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে নীতিসহায়তা চাওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সহায়তা দরকার। এর আগে বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোরে ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সভায় আইএমএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টালিনা জিওরগিভা এ কথা বলেন।

আইএমএফ-এর এমডি শ্রীলংকার উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেশটিতে সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সাফল্য তাদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রতিবেশী সদস্য দেশগুলোয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে শ্রীলংকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল এবং কম আয়ের দেশে সংখ্যার বিচারে শুধু মূল্যস্ফীতি কমাটাই সব নয়, এর সঙ্গে অন্যান্য সূচকেও উন্নয়ন করতে হবে।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪৯ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। এ ধরনের গুজবে কান না দিতে এবং বিভ্রান্ত না হতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন।

সে কারণে তিনি আপাতত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। তবে তিনি আগামী রবিবার থেকে পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সব নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দোয়া কামনা করা হচ্ছে।’
এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয় রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে ছাত্রদল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব খবরে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। এমন অবস্থায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪২ অপরাহ্ণ
যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

বিতর্কিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পলায়নের পর নতুন আশা নিয়ে বিসিবি সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। অথচ মাত্র ৯ মাস ৮ দিন- এটাই ছিল ফারুক আহমেদের বিসিবি সভাপতির মেয়াদ। গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তার কাউন্সিলর মনোনয়ন বাতিল করলে কার্যত তার সভাপতির পদও শূন্য হয়ে যায়। পরদিন, শুক্রবার পরিচালকদের জরুরি সভায় আমিনুল ইসলাম বুলবুল নির্বাচিত হন নতুন সভাপতি হিসেবে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে- কেন এত অল্প সময়ে পদচ্যুত হলেন ফারুক আহমেদ?

এ নিয়ে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে খতিয়ে দেখা হয়েছে, ফারুকের রাজত্ব শেষের পিছনে কোন কোন কারণ কাজ করেছে:

বিপিএল-২০২৫ দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি:

ফারুক আহমেদের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চলতি বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা।

বিশেষ করে দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা, খেলোয়াড়দের বেতন না দেওয়া, হোটেল বিল বকেয়া রাখা এবং শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড় বিদ্রোহ- এ ঘটনাগুলো সরকারকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করে।

তৎকালীন বোর্ড সভাপতি হিসেবে এসব ঘটনায় কার্যকর কোনো সমাধান দিতে না পারা ফারুককে প্রশাসনের নজরে ফেলে দেয়। এমনকি দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে এই বিষয়গুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। বিপিএলের ফাইনালে তার অনুপস্থিতিও রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ধরা হয়, যার প্রভাব পড়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অবস্থানের উপরেও।

স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন:

বোর্ড পরিচালকদের একটি বড় অভিযোগ ছিল, ফারুক বিসিবির গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন।

বিশেষ করে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি পরিচালকদের না জানিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিসিবি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমন বড় সিদ্ধান্তের আগে পরিচালকদের মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক।

এর বাইরে কিছু সিদ্ধান্তে ফারুক ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পরিচালককে উপেক্ষা করেছেন, যার ফলে বোর্ডের ভেতরেই দলাদলির সৃষ্টি হয়।

ভেতরের কোন্দল: ফাহিম বনাম ফারুক:

বোর্ড পরিচালক এবং এনএসসি মনোনীত প্রতিনিধি নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয় পরিস্থিতি। এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে এবং বোর্ডের ঐক্য বিনষ্ট হয়। এমনকি, ফারুক আহমেদ ক্রীড়া উপদেষ্টার সহকারী একজন কর্মকর্তার সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ান, যা প্রশাসনিক মহলে ভালোভাবে নেওয়া হয়নি।

নির্বাচন নিয়ে ‘অতিরিক্ত আগ্রহ’, আস্থা হারান বোর্ডে:

অন্য এক বড় কারণ ছিল, ফারুক আহমেদের অক্টোবরে সম্ভাব্য বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ। সম্প্রতি এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এই অবস্থান তার সহকর্মী পরিচালকদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করে এবং অনেকে মনে করেন, তিনি বোর্ড পরিচালনার চেয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান তৈরিতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন।

এনএসসি ও প্রশাসনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ:

৮ জন পরিচালক আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানোর পর এনএসসি একটি স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। রিপোর্টে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের ঘাটতির সরাসরি দায় বর্তায় ফারুকের ওপর।

ফারুক আহমেদ ছিলেন একজন সাবেক অধিনায়ক, ক্রিকেটার ও অভিজ্ঞ সংগঠক। কিন্তু সভাপতির চেয়ারে বসার পর তার আচরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি, আর প্রশাসনিক দক্ষতার অভাবই শেষ পর্যন্ত তাকে বিসিবি থেকে সরিয়ে দেয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নিয়েছেন এ অস্থির সময়েই। তারও সামনে রয়েছে দল পুনর্গঠন, স্বচ্ছতা ফেরানো ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ।

ফারুকের পতন, তা যতই নাটকীয় হোক না কেন, ক্রিকেট প্রশাসনে আবারও এক কঠিন বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:২৯ অপরাহ্ণ
চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে তিনি গত দুদিন ধরে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

শুক্রবার (৩০ মে) রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি মর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামী রোববার থেকে তিনি (সভাপতি) পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন, ইনশাআল্লাহ। তিনি সব নেতা-কর্মী ও সমর্থকের কাছে শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদল সভাপতির শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরনের গুজব থেকে সতর্ক থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে-এমন গুঞ্জন সংগঠনটির অভ্যন্তরে ও বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।