খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

বেলকুচিতে দুর্যোগ সহনশীল জীবিকায়নে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে দুর্যোগ সহনশীল জীবিকায়নে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

যমুনা নদী বেষ্টিত সিরাজগঞ্জ জেলা প্রায়ই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা, নদীভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়। এসব দুর্যোগের কারনে এলাকার মানুষগুলো প্রায় প্রতি বছরই জীবিন জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে।

বন্যাপ্রবণ এলাকায় মানুষের দুর্যোগ সহনশীল জীবিকায়ন উন্নয়ন ও কমিউনিটির সহনশীলতা জোরদার করণের লক্ষ্যে দাতা সংস্থা কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কৈইকা) এর আর্থায়নে এবং অক্সফাম এর সহযোগীতায় এনহ্যান্সিং ডিজাষ্টারস রেজিলিয়েন্স ক্যাপাসিটি অফ দ্যা মুনসুন ফ্লাড এফেক্টেড পপুলেশন অফ সিরাজগঞ্জ ডিসট্রিক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পটি বাস্তাবয়ন করছে।

প্রকল্পটি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ০৩টি ইউনিয়ন-রাজাপুর, বেলকুচি সদর ও বড়ধূল ইউনিয়নে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের উদ্দেশ্যে মানব মুক্তি সংস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ১ম অর্থ-বছরে দুর্যোাগ সহনশীল জীবিকায়ন উন্নয়নের জন্য মোট ৪০০ জন উপকারভোগীর মধ্যে জন প্রতি নগদ ১৫০০০/- টাকা  হিসেবে মোট-৬০,০০,০০০/- (ষাট লক্ষ) টাকা বিতরনের অংশ হিসেবে প্রথমধাপে ২৯৯ জনের মাঝে টাকা বিতরন করা হয়।

 বুধবার (৩০ অক্টেবর) সকালে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে, উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ এ মোট ২৯৯ জনের মোবাইল ব্যাংক একাউন্টে মোট-২৯,৯০,০০০/- (উনত্রিশ লক্ষ নব্বই হাজার) টাকার অনুদান ট্রান্সফার করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে মানব মুক্তি সংস্থার প্রতিনিধি সহ, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রকল্পের অংশগ্রহনরীরদের অংশবিশেষ উপস্থিত ছিলেন। 

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, মানব মুক্তি সংস্থা সিরাজগঞ্জ জেলায় দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। তারা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সঠিক উপকারভোগী নিকট তাদের অনুদান হস্থান্তর করে আসছে, তার ধারাবাহিকতায় আজকের এই বিতরন অনুষ্ঠানের জন্য সবাইকে ধনবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুদান গ্রহনকারীগণকে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দুর্যোগ সহনশীল আয় বৃদ্ধি মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন, যাতে করে ভবিষ্যতে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধি পায় পাশাপশি উক্ত কার্যক্রমে যে কোন ধরনের সহযোগীতা প্রয়োজন হলে, উপজেলা প্রশাসন সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। 

সবশেষে বেলকুচি উপলোর দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় দুর্যোগ ঝুকিঁ হ্রাস প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দাতা সংস্থা কৈইকা,  অক্সফাম ও মানব মুক্তি সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির চালা মৌজার হাজী কোরবান আলী শেখের জমি প্রতিবেশী হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টায় বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হাজী কোরবান আলী শেখ।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার  সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।‌ হাজী সবুর তালুকদার ওই জমির জন্য বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে আসছেন। এরই জের ধরে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হঠাৎ করে অনুমানিক ৯ টার সময় হাজী সবুর তালুকদার লোকজন নিয়ে উক্ত জায়গায় অন্যায়, অবৈধভাবে ও জোরপূর্বকভাবে ইট বালি সিমেন্ট দ্বারা আমার জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উক্ত কাজে আমি বাঁধা দিতে গেলে তিনি আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন। আমি এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে হাজী সবুর বলেন, এই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। জমির মালিক ছিলো অনেকে তাই জমি নিয়ে এতো জটিলতা। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সত্য না।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকেরিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামুনর রশিদ, রোরহান আলী শেখ, আব্দুল করিম মিয়াসহ ভুক্তভোগী কোরবান আলী শেখের পরিবারের সদস্যরা।

ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়।

একজন বাসযাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ বাসটার্মিনাল থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম, চলন্ত অবস্থায় বাসের মধ্যে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বাসটি থামালে বাসের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে নেমে পড়েন। এর একটু পরেই পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, খুলনা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে রূপসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথে শৈলকুপার মোহাম্মদপুরে পৌঁছালে ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়।

সে সময় যাত্রীরা দ্রুতই বাস থেকে নেমে পড়েন। পরে আগুন সম্পূর্ণ বাসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।

এসময় তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনী হাসিনার বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনার ফাঁসি দে’ সহ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ছয় মাস পার হয়ে গেছে অথচ বিচারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা কি আমাদের ভাইদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি নয়?

একজন শহীদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাকে হত্যার মাধ্যমে মূলত আমাদের পুরো পরিবারকেই হত্যা করেছে তারা। কারণ পরিবার যে চালায় সে না থাকলে পরিবারের আর কিছু থাকে না। এখনো কেন আসামি ধরা হচ্ছে না? এখনো কেন বিচার করা হচ্ছে না? কেন আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে? আমরা সরকারের কাছে এগুলোর জবাব চাই।