সংস্কার মানেই সংবিধানের লাইন কাটা ছেড়া নয়: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “সংস্কার মানেই সংবিধানের লাইন কাটা ছেড়া নয়, বরং এটি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার পথ পরিষ্কার করা।” তিনি তার বক্তৃতায় দাবি করেছেন, দেশের মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত মরহুম তরিকুল ইসলামের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি কোনো ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়, জনগণের অধিকার ও মুক্তির জন্য। আমরা ৩১ দফা প্রস্তাবের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কাজ করে যাচ্ছি।” তিনি মরহুম তরিকুল ইসলামের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, “তরিকুল ইসলাম সারাজীবন তার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি অটুট ছিলেন।”
তারেক রহমান জানান, তরিকুল ইসলামের জীবনের নানা সংগ্রাম, বিশেষ করে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম, এবং ওয়ান ইলেভেনের সময় তার সাহসিকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “ওই সময় আমি ও তরিকুল ইসলাম একসাথে কারাবরণ করেছি। আমার জীবনের প্রথম কারাবরণে তার সাহসী কথাগুলো আমাকে অনেক ভরসা দিয়েছিল।”
রাজনৈতিক ঐক্যের গুরুত্বও তুলে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “দেশে বিভাজন সৃষ্টি করে যারা আমাদের ঐক্য নষ্ট করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে একত্রিত হতে হবে। দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।”
এছাড়া জনাব তারেক রহমান বলেন, “সংবিধানের কিছু শব্দ পরিবর্তন করে সংস্কার হবে না। সংস্কারের প্রথম শর্ত হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। বিএনপি সে উদ্দেশ্যেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, যা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।”
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। মরহুম তরিকুল ইসলামের বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যশোর বারের সাবেক সভঅপতি এ্যাড. নজরুল ইসলাম, ডাক্তার হারুন অর রশীদ, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, অধ্যাপক আয়ুব হোসেন, তন্ময় সাহা, এজেড এম সালেক, মোশারফ হোসেন, মাওলানা বেলায়েত হোসেন , জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ।
স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মরহুম তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী অধ্যাপক নার্গিস বেগম, দুই সন্তান শান্তুনু ইসলাম সুমিত ও অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান খান, গোলাম রেজা দুলু, সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ, একেএম শরফুদ্দৌলাহ ছটলু, মাহাতাব নাসির পলাশ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, এ্যাড. জাফর সাদিক, মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরে নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সেক্রেটারী আনছারুল হক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, সেক্রেটারী মোস্তফা আমির ফয়সাল প্রমুখ। এছাড়া এই স্মরণ সভায় খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষে মরহুম তরিকুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন