নিজ ফ্লাটে মুখ থেঁতলে জিলা স্কুলের শিক্ষিকাকে খুন « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

নিজ ফ্লাটে মুখ থেঁতলে জিলা স্কুলের শিক্ষিকাকে খুন

মোঃ শামীম হোসাইন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।
আপডেটঃ ৭ নভেম্বর, ২০২২ | ৬:০১
মোঃ শামীম হোসাইন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।
আপডেটঃ ৭ নভেম্বর, ২০২২ | ৬:০১
Link Copied!

নিজ বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষিকা রোকসানা খানমের (৫২) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে শহরের হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫ নম্বর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

রোকসানা খানম কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ইংরেজী বিষয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষিকা ছিলেন। তার স্বামী খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এলজিইডি’র যশোর চৌগাছার হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, ছয় তলা বিশিষ্ট বাড়িটি ওই শিক্ষিকার নিজের। নিঃসন্তান ওই শিক্ষিকা দ্বিতীয় তলায় একাই বসবাস করতেন। বাসাটির চতুর্থ তলায় থাকেন তার মৃত ভাই এ কে এম নূরে আসলামের পরিবার।

বিজ্ঞাপন

রোকসানা ভাইয়ের ছেলে নওরোজ কবির নিশাত জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুপুকে তারা ডাকতে গিয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে তালা দেওয়া। অনেক ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ তাদের দরজা ভেঙে ফেলার জন্য বলে।

কয়েকজন মিলে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তারা দেখতে পান, দোতলার দক্ষিণ পাশের কক্ষের বিছানার ওপর কাত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রোখসানার মরদেহ পড়ে রয়েছে। মাথায় জখমের চিহ্ন। ওই ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড়, ড্রয়ার সবকিছু ছড়ানো-ছেটানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ, র‌্যাব, পিবিআই, ডিবি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

নিহত রোখসানা খানমের স্বামী খন্দকার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের কোনো শত্রু ছিল না। আমার স্ত্রী কয়েকটি আংটি ছাড়া কোনো গয়না ব্যবহার করতেন না। কেন তাকে হত্যা করা হলো জানি না।”

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘‘কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে এসে শিক্ষিকাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করেছে এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে জানানো হবে।’

বিষয়ঃ: