মাথা জ্বালা ও ডিপ্রেশনের মধ্যে সম্পর্ক « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

মাথা জ্বালা ও ডিপ্রেশনের মধ্যে সম্পর্ক

স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপডেটঃ ৯ নভেম্বর, ২০২২ | ১:৪৩
স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপডেটঃ ৯ নভেম্বর, ২০২২ | ১:৪৩
Link Copied!
মাথা জ্বালা ও ডিপ্রেশনের মধ্যে সম্পর্ক -- বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

ডাঃ মোঃ দেলোয়ার হোসেন
বিষণ্নতার অন্যান্য লক্ষণের মতো মাথা জ্বালাপোড়া এটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ, বিশেষ করে মহিলারা শুধু মাথা জ্বালাপোড়া নিয়ে এই ডাক্তার ওই ডাক্তার ঘুরতে থাকে। পরীক্ষার পর পরীক্ষা করতে থাকে কিন্তু কোন রোগ ধরা পড়ে না। মাথা জ্বলে, কামড়ায়, কিটকিট করে, একবার সামনে একবার পেছনে ফাত ফাত করে জ্বলে আবার কেউ কেউ বলে কেমন যেন লাগে বলতে পারি না। দিনে তিন-চারবার মাথায় তেল পানি মিশিয়ে দিলে ভাল লাগে, ঘুম হয় না, ঘুম ভেঙ্গে যায়, শরীর দুর্বল লাগে অস্থির লাগে, বাচ্চারা হৈচৈ করলে বিরক্ত লাগে, সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নরমাল, কোন রোগ নেই। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খাওয়ার পরও মাথা জ্বালাপোড়া কমে না। তাহলে ঘটনা কি? আসলে এদের বেশিরভাগ রোগী বিষণ্নতা নামক রোগে ভুগে থাকেন। মাথায় বার বার তেল দেয়, তেল পানি মিশিয়ে দেয় আবার কেউ কেউ ভিজা কাপড় মাথায় দিয়ে রাখে এমনও দেখা গেছে মাথার মাঝখানে চুল ফেলে বিভিন্ন গাছের পাতা মিশিয়ে পট্টি দিচ্ছে। রোগীরা বলে কান, নাক দিয়ে গরম ভাব উঠে। ভাত সিদ্ধ করলে যেমন উঠে তেমন ভাব উঠে।

মনের অশান্তির সমস্যা, যেটিকে বিষণ্নতা সমস্যা বলা হয়ে থাকে তাতে এমনটি ঘটতে পারে। এ ধরনের রোগীদের মাঝে একটা প্রচন্ড অশান্তি আর কষ্টের অনুভূতি চেপে বসে। আত্মবিশ্বাস কমে আসে, এর অল্পতেই কান্না করে বসে। এদের স্মরণশক্তি আগের মতো কাজ করে না। এ ধরনের উপসর্গগুলো থাকে। তারপরেও এসব রোগীরা মূলত জ্বালাপোড়ার উপসর্গগুলোকে তার মূল সমস্যা মনে করে থাকে। কারণ আমাদের চারপাশের লোকজনদের কাছে শরীর আর মাথার তালু জ্বালাপোড়ার অভিযোগ যতটা গুরুত্ব পায়। তার কিয়দংশ গুরুত্ব পায় না যখন বলা হয় মন ভাল নেই সমস্যার কথা বলা হয়। কারণ
১. বিষণ্নতা ।
২. এ্যাংজাইটি ডিজওয়াডার২ পোস্ট মেনোপোজাল সিনডম।
৩. থাইরয়েডের সমস্যা।
গ. নেশা ছাড়ার পর।
৪. বিভিন্ন ভিটামিন বিশেষ করে বি১, বি১২, বি৬ অভাবে
৫. জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অসুখের পর এমন লক্ষণ দেখা দেয়।
কাদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়-
সাধারণত বয়স্ক ও চল্লি¬শোর্ধ মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। মাসিক বন্ধ হওয়ার পর। তবে যে কোন মানুষের হতে পারে। চিকিৎসা- সঠিক কারণ উৎঘাটন করে সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা করে রোগীরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে। এ ধরনের সমস্যার বেলাতে বিলম্ব না করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত।

বিজ্ঞাপন

বিষয়ঃ: