রাজশাহীতে স্থানীয় এক ব্যাক্তি তার নাম মোঃ হুমায়ন কবির চৌধুরী, তিনি তথ্য গোপন করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা করেন বলে দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফাউন্ডার এবং ডিরেক্টর সায়েদ আহমেদ জাকি।

আর এই প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজশাহীর হেতেম খাঁ নিজস্ব পলিটেকনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান,
গত ৩ আগস্ট মাননীয় আদালত এর আদেশ আসার পর আদালতের ওপর সম্মান রেখে ভবন প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম থেকে সরে এসে আদালতের নথিপত্র দেখে আমরা নিশ্চিত হই। এই ৪/২২ অঃপ্রঃ জারী মামলায় আমাদের কোন পক্ষ করা হয়নি এমনকি কোন প্রকার নোটিশ করাও হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে আদালতের শরনাপন্ন হলে। বিজ্ঞ আদালত জারী মামলার কার্যক্রম স্থগিত এবং জারীর আদেশ রিকল করেন। এই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে।

বিজ্ঞাপন

এমতাবস্থায় আমি আমার প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ভবনে ক্লাশ শুরু করতে গেলে আমাদের উপস্থিতিতে মোঃ হুমায়ন কবির চৌধুরী, মোঃ কুরবান, নাজমুল, মোঃ রায়হান সরকার জ্যাকি, জামান সরকার গং সহ ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী সহ প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষ জনাব সৈয়দ সাদাকাতুল বারী ও অন্য ভাই সৈয়দ আশফাকুল হাদিকে মারাত্মকভাবে আহত করে তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা C. S থেকে R S রেকর্ডীয় প্রজাগণের উত্তরাধিকারী, স্বত্ত্ব, দখল, স্বার্থ মালিকানা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে নালিশী খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি ৭০ বৎসরের বহু অধিক কাল যাবৎ বহুতল বিশিষ্ট ইমারত নির্মানসহ সকল এলকাবাসীর জ্ঞাতসারে সরকার বাহাদুরের সকল কর, ট্যাক্স ও অন্যান্য যাবতীয় পাওনা/ খাজনা পরিশোধান্তে শান্তি পূর্ণভাবে Operly & adveresly দখল ভোগ করছি।

এই ভবনে বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষা কার্যক্রম ২০০২ খ্রিঃ হতে পরিচালিত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

আমরা বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রাজশাহী নামীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিন যাবৎ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে দখল-ভোগ করে আসছি।

১। জেলা রাজশাহীর যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে আনীত ১১৫/২০১৬ অঃ প্রঃ (বাটোয়ারা) মোকদ্দমা ও তৎপ্রেক্ষিতে উদ্ভুত ০১/২০১৭ অঃ প্রঃ (জারী) মোকদ্দমা স্থগিত আছে, এই স্থগিতের তথ্য ৪৫৬/২০২১ অর্থ: নং মোকদ্দমার গোপন করেছে। (ইনফরমেশন স্লিপের কপি সংযুক্ত-১)।

২। অত্র বিবাদীপক্ষ আদালতে ২১২/১৯৬৪ অঃপ্রঃ (বাটোয়ারা) মোকদ্দমা দায়ের করে (যা সিভিল রিভিশন ২৯/২০২২

নং মোকদ্দমায় বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে রয়েছে)। উক্ত মোকদ্দমা চলমান রেখেই এর বিবাদী আবারও আইন

বহির্ভূতভাবে অন্য আদালতে উক্ত ১১৫/২০১৬ অ: প্র: (বাটোয়ারা) মোকদ্দমা দায়ের করে ডিক্রী হাসিল করেন যা

উক্তরুপ বিগত ২৬/১০/২০১৭ ইং তারিখ হতেই স্থগিত আছে। বিবাদীপক্ষ তথ্য গোপন করে একই খতিয়ানভূক্ত

সম্পত্তি নিয়ে একাধিক মামলার সৃষ্টি করেছে জন্য আইন বহির্ভূত হয়েছে। (দেঃ কাঃ বিঃ আইনের ১১ ধারা এবং

বাটোয়ারা আইনের ৪ ধারার স্পস্ট লংঘন)। ৩। অত্র বিবাদী তথা ৪৫৬/২০২১ আপ্রঃ মোকদ্দমার বাদী/ডিক্রীদার আরজি বর্ণিত কোথাও নালিশী সম্পত্তিতে ৭ তলা ভবন আছে তার বর্ণনা দেয়নি।

৪। অত্র বিবাদীপক্ষের ৪৫৬/২০২১ আগ্রা মোকদ্দমার ডিক্রীর আদেশ এক রকম এবং ০৪/২০২২ অঃপ্রঃ জারী মোকদ্দমার জারী ফরমের আবেদন অন্যরকম, সুতরাং ডিক্রী মোতাবেক কোন জারী কার্যক্রমই হয়নি।

৫। যেহেতু আমাকে বা বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে ৪৫৬/২০২১ অ: এ মোকদ্দমায় এবং ০৪/২০22- অন জারী মোকদ্দমায় কোন বিবাদী পক্ষ করা হয় নাই এবং আমি নালিশী তপশীল সম্পত্তির ভোগ দখলে আছি।