রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২২ | ৬:৩২
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২২ | ৬:৩২
Link Copied!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ সকল শিক্ষার্থীরা -- বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। দিন কিংবা রাত আবাসিক হল, ক্লাসরুমসহ ক্যাম্পাসের সর্বত্রই মশার উপদ্রব যেন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। মশার কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই মিলছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেন, নর্দমা, পরিত্যক্ত জায়গাগুলো দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় বেড়েছে মশার প্রজনন। দিনের বেলা কম মশা হলেও সন্ধ্যা নামলেই বাড়ে মশার উৎপাত। এতে ডেঙ্গুসহ নানা মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোহান হাসান বলেন, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই মশার উপদ্রব বাড়ে। যার ফলে হলে থাকা শিক্ষার্থীদের কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কয়েল জ্বালালেও মশার অত্যাচার থেকে নিস্তার মেলে না। বাইরেও থাকা যায় না। শ্রেণিকক্ষেও মশার উপদ্রব সহ্য করতে হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, মশার অত্যাচারে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না। পড়াশোনার পরিবেশ ও মনযোগ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও ডেঙ্গু নিয়েও ভয়ে আছি। মশার সংখ্যা এত বেশি যে কয়েল জ্বালিয়েও মশা দূর হচ্ছে না। ক্যাম্পাসে মশার সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হলের পাশের ডোবার পানি খুবই নোংরা। সেখানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় মশার প্রজনন বাড়ছে। সৈয়দ আমীর আলী হলের পাশের হ্যালিপ্যাড মাঠে রয়েছে ঝোপঝাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের পেছনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও আবর্জনার অবস্থা শোচনীয়। ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপও রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ আমির আলী হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার কাছে কোনো শিক্ষার্থী এখনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব আসলেই বেড়েছে। আমাদের দুইটি ফগার মেশিন আছে। স্টুয়ার্ড শাখাকে নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছি। প্রতি মাসে অন্তত দুইবার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এবিষয়টি উপাচার্য নিজে তত্ত্বাবধান করেন। সমস্যা সমাধানের জন্য উপাচার্যের সাথে কথা বলা হবে বলেও তিনি আশা ব্যাক্ত করেছেন।

বিষয়ঃ: