অন্তর্বতীকালীণ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকার প্রত্যেক জেলাতেই একটি করে নদী দখল-দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে ৫৩-৫৪ বছরে যা নষ্ট হয়েছে, দখল হয়েছে, দূষিত হয়েছে তা এক-দেড় বছরের সরকারের পক্ষে পুরো সমাধান করে যাওয়া সম্ভব না।
আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি আটঘরিয়া এলাকায় বড়াল-১ ভেল্ড রেগুলেটর ও তৎসংলগ্ন বড়াল নদী পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, আমার কাছে যতগুলো অভিযোগ এসেছে বড়াল নদী নিয়ে তার একটি বড় বিষয় হলো এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেকগুলো অবকাঠামো রয়ে গেছে। এই অবকাঠামোগুলো প্রবাহ কমে যাওয়া নদীটাকে আরও বেশী মেরে ফেলছে। তবে অবকাঠামোগুলো সরিয়ে দিলেই পানি অটোমেটিকেলি আসবে না। কোন কোন জায়গায় পানির তলদেশ উঁচু হয়ে আছে। যার ফলে নদী খনন না করলে অবকাঠামো সরিয়ে কোন লাভ হবে না। বড়ালটাকে বাঁচাবার জন্যই আমরা এসেছি। বড়াল খনন অবশ্যই সিএস খতিয়ান ধরেই হবে। যদি কোন কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ সিএস থেকে সরে যায় তখন আরএস এবং বিএস খতিয়ানের প্রশ্ন। প্রথম দফায় খুব দ্রুত খনন কাজ শুরু করা হবে এবং দ্বিতীয় দফার কাজ অনুমোদন দেওয়া হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোবাশশেরুল ইসলাম, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন