খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

গাজা ইস্যুতে আকিজ গ্রুপের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৬ অপরাহ্ণ
গাজা ইস্যুতে আকিজ গ্রুপের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নো ওয়ার্ক নো স্কুল কর্মসূচির অংশ হিসেবে আকিজ গ্রুপের সমস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, ইসরাইলদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে।

এ সময় তাদের সমস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
আকিজ গ্রুপের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ বিভিন্ন প্লাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার হাতে নিয়ে তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

এ সময় তারা জিএমজি মোড় থেকে শুরু করে, শান্তা টাওয়ার হয়ে আড়ংয়ের পাশ দিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।

বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাজায় ইসরাইল বাহিনী যে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এবং বিশ্বের সমস্ত মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। একই সাথে তারা ইসরাইলের সমস্ত পণ্য বর্জনের ডাক দেন।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে, আকিজ ভেনচার গ্রুপের মাননীয় ডিরেক্টর স্যার সহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গাজা ইস্যুতে বিদ্বেষী হুমকি

চাকরি হারালেন ড্যাফোডিলের সেই বিতর্কিত শিক্ষিকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫৫ অপরাহ্ণ
চাকরি হারালেন ড্যাফোডিলের সেই বিতর্কিত শিক্ষিকা

‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতর্কিত শিক্ষিকা তাহমিনা রহমান।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র এবং এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু তাকে বহিষ্কার করার বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তাহমিনাকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

তাহমিনা রহমান বিশ্ববিদ্যালয়টির জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

জানা যায়, ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করলে শিক্ষার্থীদের ডাবল অ্যাবসেন্ট দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। পরে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে তাহমিনা রহমান ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।

জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ করেছে ইসি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৪৮ অপরাহ্ণ
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ করেছে ইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২২ ধরনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থাটি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, আইন-বিধি সংস্কার, ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র স্থাপনসহ ২২টি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলোর অধিকাংশই আগামী অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ডিসেম্বরকে টার্গেট করে তারা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর ডিসেম্বরে ভোট করতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে—অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, বিধিমালা ও নীতিমালা সংশোধন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক নীতিমালা প্রণয়নসহ পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমতি সংক্রান্ত কার্যক্রম, নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংগ্রহ, বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়াল নির্দেশিকা পোস্টার পরিচয়পত্র ইত্যাদি মুদ্রণ, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স ও নির্বাচনী দ্রব্যাদি ব্যবহার উপযোগীকরণ, নির্বাচনী বাজেট প্রস্তুত বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত কার্যক্রম ফলাফল প্রদর্শন প্রচার ও প্রকাশ বিষয়ক ব্যবস্থা গ্রহণ।

এ ছাড়া ডিজিটাল মনিটর স্থাপন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, আন্ত মন্ত্রণালয় যোগাযোগ ও সভা বিষয়ক কার্যক্রম, নির্বাচনের জন্য জনবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও ব্রিফিং, প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে প্রচারণা, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার সংক্রান্ত কার্যাবলী, আইসিটি সহায়তা সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।

সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভোটার তালিকা হলানাগাদ কার্যক্রম চলমান রেখেছে ইসি। দল নিবন্ধন কার্যক্রমও শুরু করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আইন সংশোধনের পর সীমানা পুনর্নির্ধারণ, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন ও ভোটকেন্দ্র স্থাপনে কার্যক্রমও হাতে নেবে ইসি।

গাজায় হামলা বন্ধ না হলে ইসরায়েল অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি জামায়াত নেতার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৪৬ অপরাহ্ণ
গাজায় হামলা বন্ধ না হলে ইসরায়েল অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি জামায়াত নেতার

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে হত্যা ও নিধনযজ্ঞ আইয়ামে জাহিলিয়াতের নির্মমতা ও বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অন্যথায় মুসলিম তরুণ-তরুণীরা ইসরায়েল অভিমুখে মার্চ কর্মসূচি দেবে।

সোমবার (৭ এপ্রল) বিকেল ৪টায় রাজধানীর মহাখালী চৌরাস্তায় এক বিক্ষোভপূর্ব বিশাল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে রেজাউল করিম এ কথা বলেন। গাজায় একতরফা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও উপর্যপুরি বিমান হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে বর্বরোচিত হামলা বন্ধের দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তর এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি মহাখালী ওভারব্রিজ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মগবাজারের হাতিরঝিল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত পথ সভার মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, মুহিবুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান, সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।

ড. মু. রেজাউল করিম বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েলিরা সব ধরনের আইন-কানুন, নীতি- নৈতিকতা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে উপর্যুপরি বিমান হামলার মাধ্যমে পুরো গাজাকে ধ্বংসের শহর ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। তারা প্রতিনিয়ত মানবতাবিরোধী অপরাধ করে প্রমাণ করেছে ইসরায়েল কোনো রাষ্ট্র নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ ও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। তাদের এ বর্বরতা ও নির্মমতা ইতিহাসের সব নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। তাই মুসলিম উম্মাহ তাদের এমন হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমতাকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যের দুষ্টক্ষত ইসরায়েলি দখলদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

তিনি অবিলম্বে গাজায় ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় মুসলিম বিশ্ব ঘরে বসে তামাশা দেখবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যা করছে তা কোনো যুদ্ধ নয়; বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। তাদের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ বেসামরিক স্থাপনাও। এমনকি হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানও তাদের জিঘাংসা থেকে মুক্ত থাকেনি। তাই সময় এসেছে ইহুদীদের পণ্য বর্জনের। শুধু তাদের পণ্য বর্জন করলেই চলবে না, বরং যেখানে ইহুদী দেখা যাবে সেখানেই তাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্মকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ইহুদীবাদীদের সব ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে।

রেজাউল করিম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধ না হলে মুসলিম যুবক-যুবতীরা ইসরায়েল অভিমুখে মার্চ করে অবৈধ ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে বাধ্য হবে।

তিনি দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীকে অস্ত্রসহ যেকোনো ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় কথিত ইসরায়েলের দোসরদেরও করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে বলে সতর্ক করেন।