খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২

বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের মারামারি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ণ
বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের মারামারি

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পুরনো ও নতুন খতিবের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। এর কিছু পরেই মসজিদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল মুসল্লি বের হন। তারা স্লোগানে বলেন—‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।’

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় মুসল্লিরা সামনের রাস্তায় গিয়ে জড়ো হতে থাকে। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা রাস্তা থেকে তাদের সরিয়ে দেন। এ সময় তারা বারবার মাইকে অনুরোধ করেন মুসল্লিদের চলে যেতে।

জুমার নামাজ শুরুর আগে খতিব জটিলতায় থমথমে হয়ে উঠে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পরিবেশ। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়ে থাকা বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিন ফিরে আসার ঘটনায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় অবস্থান করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এ সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। তখন বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন।

তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন। অনেকে ওই সময় মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে সোয়া একটা দিকে আবার মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন।

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন।

মসজিদের সামনের রাস্তায় রাখা হয়েছে একটি প্রিজন ভ্যান। বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে রাখা হয়েছে একটি পুলিশের এপিসি কার (অস্ত্রসজ্জিত যান)। পল্টন মোড়ে রয়েছে জলকামান এবং কয়েক শতাধিক পুলিশ।

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করলো সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করলো সরকার

ভারত ও পাকিস্তান পালটাপালটি হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় চলমান উত্তেজনা কমবে এবং শান্তি বিরাজ করবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ।

বিবৃবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভারত ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকার।

চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। উভয় দেশকে শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।

এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আশাবাদী, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণের জন্য শান্তি বিরাজ করবে।

প্রসঙ্গত, ভারত গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে সামরিক হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করেছে—এই উত্তেজনা দুই দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।

দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাতের ইতিহাস আছে। এই ঘটনা একটি বিপজ্জনক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। ইসলামাবাদ ভারতের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহল উভয় পক্ষকে সংযম দেখাতে আহ্বান জানিয়েছে।

সাংবাদিক নির্যাতন,হামলা,মামলা সহ দাবি আদায়ে কলম বিরতির ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ণ
সাংবাদিক নির্যাতন,হামলা,মামলা সহ দাবি আদায়ে কলম বিরতির ঘোষণা

দেশে অব্যাহত সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানি বন্ধে ২০ মে দিনব্যাপী প্রতীকি কলম বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করে আইডি নাম্বার প্রদান, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন সহ ১৪ দফা দাবিতে ৭ মে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে এ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর এ ঘোষণা দেন। তিনি পেশার দাবি, অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় কলম বিরতি পালনের জন্য সারা দেশের সাংবাদিক সহযোদ্ধা বন্ধুদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সহ- সভাপতি জহিরুল ইসলাম , সাবেক সহ-সভাপতি মনজুর হোসেন ঈসা, সহ- সম্পাদক নুরুল হুদা বাবু,কেন্দীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,ও শ্রীপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু, জি কে রাসেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ মাহমুদ, আইটি উপ-কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম রোহিত, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি জাকির হোসেন, ঢাকা জেলার নেত্রী মরিয়াম আক্তার মারিয়া, বরিশাল সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ওয়াসেফ উদ্দিন আহমেদ, বরগুনা জেলা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক তাপস মাহমুদ, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাজা, সাকিব জামাল, যশোরের সেলিম রানা, চাঁদপুরের শাহারুখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন, শ্রীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম, ছাতক শাখার সভাপতি মোশাহিদ আলী, পত্নীতলার সাংবাদিক মাহমুদুন্নবী, মানিকগঞ্জের মাসুদ চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন না থাকায় প্রতিনিয়ত টোকাইয়ের দ্বারাও সাংবাদিকরা হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকদের তালিকা না থাকায় ভুয়া সাংবাদিক, হলুদ ও অপ-সাংবাদিকতার মত কালো অধ্যায় পেশাটিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা না থাকার ফলে রাজনৈতিক নেতা কিংবা টোকাইদের ফোনেও সাংবাদিকদের চাকরি চলে যায়। এভাবে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভখ্যাত গণমাধ্যম চলতে পারে না। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঘোষিত চৌদ্দ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকদের পেটের ক্ষুধা ,কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং নিশ্চয়তা রক্ষা পাবে বলে বক্তারা মনে করেন।

নেতৃবৃন্দ উদাহরণস্বরূপ বলেন সাংবাদিকদের সাথে রাষ্ট্র সব সময় বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। গণমাধ্যম সপ্তাহের নামে সাংবাদিকরা নয় বছর ধরে একটি সপ্তাহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির চেয়েও পায়নি। তারা বলেন দেশে শিক্ষা সপ্তাহ, স্বাস্থ্য সপ্তাহ, কৃষি সপ্তাহ, মৎস্য সপ্তাহ, পুলিশ সপ্তাহ, পুষ্টি সপ্তাহসহ অগণিত দিবস রয়েছে। সে সকল সপ্তাহ এবং দিবস আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপিত হয়। অথচ সাংবাদিকদের একটি মাত্র দিবস ৩রা মে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপিত হলেও বাংলাদেশে হয়না,এটি গণমাধ্যমের জন্য অমর্যাদার দুঃখজনক এবং এটি কি বিমাতাসুলভ আচরণ নয়?

দেশ গঠনের ৫৪ বছর সময়ে দাড়িয়ে সাংবাদিক সমাজকে নিজেদের দাবি এবং অধিকার নিশ্চিত করতে মাঠে আন্দোলন করতে হয়; যা চরম দুঃখ, কষ্ট, বেদনা এবং লজ্জার। সাংবাদিকতা এমনই একটি পেশা যারা নিজেদের রুটিরূজি-বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে, সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করতে, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য আজও মাঠে কাঁদছে তারা অথচ কোনও সুরাহা নেই, আমরা এসবের সুরাহা চাই।

সাংবাদিক নির্যাতন মুক্ত আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

আহ্বায়ক: সর্দার হীরক রাজা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংগীত, নৃত্য ও যন্ত্রশিল্পী সংস্থা’র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংগীত, নৃত্য ও যন্ত্রশিল্পী সংস্থা’র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও যন্ত্রশিল্পীদের দক্ষতা উন্নয়ন, অধিকার সংরক্ষণ ও প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের পরিবেশনার মাধ্যমে দেশ, জাতি ও নিজেদের সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজ ০৭/০৫/২০২৫ তারিখ রোজ বুধবার, গুণী ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংগীত, নৃত্য ও যন্ত্রশিল্পী সংস্থার আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

সূত্রমতে, দীর্ঘদিন দেশ ও দেশের বাইরে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে  গুরুত্বপূর্ণ  অবদান রাখায় ‘সরদার হীরক রাজা’ কে আহ্বায়ক করা হয়েছে। আহ্বায়ক এই কমিটিতে ‘সদস্য সচিব’ হন জনাব ‘জাহাঙ্গীর আলম’।

তাছাড়া, কমিটিতে তুষার কান্তি সরকার ও মো: মোরশেদুর রহমান কে যুগ্ন- আহবায়ক এবং মো: জিলানি যুগ্ম – সদস্য সচিব পদে নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আব্দুল্লাহেল রাফি তালুকদার, রোকসানা আক্তার রুপসা, নূরে জান্নাত, সুস্মিতা দেব সূচী, বর্নালী সরকার, জিন্নাত আরা, মোহাম্মাদ ইমামুর রশিদ ও জিয়াউল আবেদিন।

সংগঠন সূত্র বলছে, আহ্বায়ক কমিটি যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল শিল্পী ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে নির্বাচন কমিটি গঠন ও একটি সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাহী পরিষদ নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর থাকবে।