খুঁজুন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ, ১৪৩২

গুজবের কারখানা নাকি ষড়যন্ত্র ?

‘আসতেছি আমি… বিচার করব’ বললেন শেখ হাসিনা, ১ ঘণ্টা ধরে ফোনালাপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
‘আসতেছি আমি… বিচার করব’ বললেন শেখ হাসিনা, ১ ঘণ্টা ধরে ফোনালাপ

দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, খুন এবং নির্যাতনের বিচার করবেন; সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাস দিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।”

গত বছরের ৫ই আগস্ট পালিয়ে দেশত্যাগের পর থেকেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রাখছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজ থেকে তা নিয়মিত সরাসরি সম্প্রচারও করা হচ্ছে। অবশ্য যাকে সবাই গুজব ও ষড়যন্ত্রের অংশ বলছেন।

৭ই এপ্রিল, সোমবার রাতে নতুন করে তেমনই এক ভার্চুয়াল আলোচনা ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা শোনেন আওয়ামী লীগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাদের পরিবারের ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তখন নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে শেখ হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন।

শহিদ নেতা-কর্মীদের পরিবার এবং আহতদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করছি, খুনিদের বিচার আমি একদিন করবই। হয়তো সেই কারণেই আল্লাহ আমাকে বারে বারে মৃত্যুর মুখ থেকে রক্ষা করে বাঁচিয়ে রেখেছেন।”

এ সময় তিনি বলেন, “খুনের মামলা কখনও তামাদি হয় না।” কর্মী-সমর্থকদেরও বলেছেন, “হামলাবাজদের খুঁজে খুঁজে শাস্তি দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।”

১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগের সরকারের আমলের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টানেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ডের রাজনৈতিক সমালোচনা করেন তিনি।

ভার্চুয়াল আলোচনায় জুলাইয়ে নিহত আবু সাঈদের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “ওরা আসলে ওর লাশটাই চেয়েছিল। শুনেছিলাম, মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিন্তু ওকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে দেয়নি। তার আগেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে।”

আওয়ামী লীগের এই নেত্রী উল্লেখ করেন, “আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন ব্যবহার করিনি। কিন্তু ইউনূস করছে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি দেশটাকে যখন উন্নয়নশীল দেশে তুলে ধরলাম। তখনই এমন গভীর চক্রান্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশকে জঙ্গিদের দেশে পরিণত করা হল। আর দিনশেষে এমন ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করল, যার মানুষের প্রতি কোনও দয়া মায়া নেই আর ছিলও না।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, “মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। আমরা ভাবতাম গরীব মানুষের ভাল করছে। তাই একসময় অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। পরে সেই মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ করেছে। ওনার ক্ষমতার লোভেই আজ বাংলাদেশ জ্বলছে।”

ড. ইউনূসকে এ সময় ‘সুদখোর’ এবং ‘মানবতাবিরোধী’ বলেও সমালোচনা করেন তিনি। পুরো বক্তৃতায় বার বার উঠে এসেছে হামলাকারীদের বিচারের কথা।

শেখ হাসিনা বলেন, “যারা এই জঘন্য কাজ করেছে, তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। সেটি আমরা করবই। শহিদ পরিবারগুলোকে বলব, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন।”

বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’-এর মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান-সহ অন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার বার্তাও দেন শেখ হাসিনা।

নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামে ৭ বছরের শিশু আকলিমা আক্তার জুইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে তার দাদী। নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর স্থানীয় একটি ভুট্টা ক্ষেতে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়।

জানা যায়, আকলিমা আক্তার জুই বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম জাইরুল ইসলাম (মালেয়শিয়া প্রবাসি) ও মাতা মোমেনা বেগম। আকলিমা আক্তার জুঁই নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সুন্দর করে সাজগোজ করে বাবার সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন কিছু সময় পরে শিশুটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

১৫ এপ্রিল সকালে পাবনার চাটমোহরের রামপুর বিলে এক কৃষক ভুট্টা ক্ষেতে খুঁজে পান পোড়া মুখ, বিবস্ত্র এক ছোট্ট মৃতদেহ,গলায় প্যাঁচানো প্যান্ট, মুখে আগুনের দগদগে দাগ, শিশুটিকে আর চেনার উপায় ছিল না।

স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং মুখমণ্ডলে এসিড ঢেলে তার পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন নির্মম ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি দ্রুত তদন্ত করে সঠিক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে

এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল (৪৬) ও এনায়েতপুরের সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল মীর (৫৫)।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এজাহার নামীয় ৪নং আসামী যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুলকে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেক র‌্যাব-২ ও মঙ্গলবার সকালে এনায়েতপুর গ্রাম থেকে ২৫ নং আসামী বিএনপি নেতা জামাল মীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, ১৮ মার্চ বিকেলের দিকে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এসময় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন (২৮) গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হয়। পরবর্তীতে ঢাকার ক্রেটিক্যাল কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যার  টার দিকে মারা যান।

২২ মার্চ রাতে এনায়েতপুর থানায় নিহতের বড় ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মনজুর রহমান মঞ্জু শিকদার, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিঠু মীর, সদস্য সচিব কালাম শিকদার, এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহবায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল ও থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরুল হাসান সোহাগ শিকদার সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৮০-৯০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় চম্পা খাতুন  ৬৫ নামে এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু।এলাকাবাসি জানায় মৃত্যু ব্যক্তি আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ওমরা হজে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল কিন্তু তার সে আশা পূরণ হলো না।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১৫-০৪-২০২৫ রোজ (মঙ্গলবার) আঞ্চলিক মহাসড়কের সমেসপুর ১১:৪৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার কারণ সমূহ জানা যায় দ্রুতগতির একটি ঘাতক প্রাইভেট কার তাকে সজরে ধাক্কা দিলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।তিনি বেলকুচির ভাতুড়িয়া গ্রামের একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

ঘটনাস্থলে সবাইকে প্রশ্ন করলে তারা জানায় একটি দ্রুতগতির প্রাইভেট কার তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। ঘাতক প্রাইভেট কার আটক করা যায়নি। সে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার  অফিসার ইনচার্জ  (ওসি)  আব্দুল বারিক  বলেন দুর্ঘটনার সাথে সাথে  আমরা ঘটনা স্থলে পৌঁছাই। ঘাতক প্রাইভেট কারকে আমরা আটক করতে পারিনি।লাশ উদ্ধার করে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে তাদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেই।দুর্ঘটনার কারণে কেউ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেনি।