খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ড.খলিলুর রহমান নিয়োগ পেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে

মোঃ মাহফুজুর রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ণ
ড.খলিলুর রহমান নিয়োগ পেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে

রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকার বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োগদান করা হয়েছে।

তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা ইস্যুর উচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে বহাল থাকবেন। উপরন্তু, তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত তার দায়িত্ব পালনে প্রধান উপদেষ্টাকে সহায়তা করবেন। এখন তার পদবি হবে “রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা”।

অন্তর্বর্তী মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

ড. খলিলুর রহমান বলেন “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অব্যাহত আস্থা ও বিশ্বাসের জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমি আমার দায়িত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখার এবং এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব”।

ড. খলিলুর রহমান ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতার পর প্রথম নিয়মিত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনের পর ১৯৭৯ সালে বিসিএস (পররাষ্ট্র বিষয়ক) বিভাগে যোগদান করেন।

তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৯১ সালে জাতিসংঘ সচিবালয়ে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তী ২৫ বছর ধরে জাতিসংঘের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে তিনি উপদেষ্টার মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধাসহ রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হন।

ডঃ খলিলুর রহমান ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮০-৮৩ সালে তিনি ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি, টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও কূটনীতিতে এমএ এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৮:০৬ অপরাহ্ণ
১

গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৫০

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ
গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৫০

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় মানবিক সহায়তা নিতে আসা বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিহতদের মধ্যে ২৮ জনের মরদেহ খান ইউনুস শহরের নাসের হাসপাতালে ও ২১ জনকে রেডক্রসের ফিল্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

Walton

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের সামনে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থাটিকে ইসরায়েলের সমর্থন রয়েছে বলে জানানো হয়।

মানুষ যখন ত্রাণ নিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ইসরায়েলি সামরিক যান থেকে গুলি চালানো হয় এবং ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলা হয়। এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের আশপাশের পরিস্থিতি ছিল ‘চরমভাবে বিপজ্জনক’। গুলির কারণে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে, অনেকে ঘোড়ার গাড়ি বা ঠেলাগাড়িতে আহতদের নিয়ে যান।

কিছু প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একই সময়ে গাজার নেটজারিম করিডোরের কাছে আরেকটি মার্কিন সহায়তা কেন্দ্রে জড়ো হওয়া মানুষের ওপরও গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-আউদা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের কাছে সহায়তার জন্য জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে অন্তত একজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই আদ্রে করেছেন, ত্রাণ সহায়তা বিতরণকেন্দ্রে সেনাবাহিনীর গুলিতে হতাহতের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, মানবিক সহায়তাকে ইসরায়েল একটি কৌশলগত অস্ত্রে পরিণত করেছে। যা দিয়ে তারা না খেয়ে থাকা মানুষদের ব্ল্যাকমেইল করছে। ক্ষুধার্তদের ইচ্ছাকৃতভাবে খোলা ময়দানে জমায়েত করে হত্যার নিশানায় পরিণত করছে।

ইসরায়েল দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় চারটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে, যেগুলোর মাধ্যমে তারা মূলত গাজার উত্তরের বাসিন্দাদের দক্ষিণে ঠেলে দিতে চাচ্ছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

ইসরায়েলের আর্মি রেডিও এক প্রতিবেদনে বলেছে, এই সহায়তা বিতরণ পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো গাজার উত্তরাঞ্চলকে সম্পূর্ণভাবে জনমানবহীন করে তোলা।

মার্কিন সমর্থিত এই সহায়তা পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রেখেছে। যার ফলে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও জরুরি পণ্য প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ২৪ লাখ মানুষের বসবাসকারী এ ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়া গাজায় বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও একটি মামলা চলছে।

আজ থেকে ১১ ব্যাংকে মিলবে নতুন টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
আজ থেকে ১১ ব্যাংকে মিলবে নতুন টাকা

ঈদুল আজহা সামনে রেখে আজ সোমবার (২ জুন) থেকে রাজধানীর নির্দিষ্ট ১১টি ব্যাংকের শাখায় সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে নতুন টাকা বিনিময়ের কার্যক্রম।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ থিমে তৈরি নতুন সিরিজের ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নোট আজ থেকেই বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রথমবারের মতো গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরিত এসব নোট রাজধানীতে কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকে গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় ঈদের আগে রাজধানীর বাইরে নতুন নোট পাঠানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) জানায়, নতুন এই নোট প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ছাড়াও সোনালী, জনতা, অগ্রণী, পূবালী, উত্তরা, রূপালী, ডাচ-বাংলা, ইসলামী, আল-আরাফাহ ইসলামী, ব্র্যাক এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকে সংগ্রহ করা যাবে। কোন শাখাগুলোতে নতুন টাকা দেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করবে।

এ ছাড়া নতুন ডিজাইন ও থিমে তৈরি অন্যান্য মূল্যমানের নোট—১০০, ২০০, ৫০০, ১০, ৫ ও ২ টাকার নোটও পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়া হবে।

এদিকে মুদ্রা সংগ্রাহকদের জন্যও থাকছে বিশেষ সুযোগ। তাদের জন্য ছাপানো হয়েছে নমুনা (নন-এক্সচেঞ্জেবল) সংস্করণের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট। এগুলো নির্ধারিত মূল্যে মিরপুরের বাংলাদেশ ব্যাংক জাদুঘর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

চলমান সব ধরনের কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা আগের মতোই প্রচলনে থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।