খুঁজুন
শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ৬ আষাঢ়, ১৪৩২

নরসিংদীর শিবপুরে দৌলত খানের হত্যা কান্ডে পিবিআই অভিযানে গ্রেফতার ২

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ২:০১ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর শিবপুরে দৌলত খানের হত্যা কান্ডে পিবিআই অভিযানে গ্রেফতার ২

সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী পিবিআই স্ব-উদ্যোগে ফিড ব্যবসায়ী দৌলত খানের মামলাটি গ্রহণ করে এবং দ্রুত অভিযান পরিচালনা করেন। গত (৩ অক্টোবর) রোমান ওরফে (বাবু) ও জাহিদ নামের স্থানীয় কিশোর গ্যাং এর দুই জন আসামিকে গ্রেফতার করেন। পিবিআই গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আসামিরা দৌলত খানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিয়তের স্ত্রী রোকেয়া খানম বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২২, ধারা-৩০২/৩৪।

উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীরা সন্ধ‌্যা থে‌কেই চু‌রির ফাঁদ পে‌তে ট্রা‌কের ব‌্যাটা‌রি চু‌রি করার পায়তারা ক‌রতে থা‌কে। টের পে‌য়ে নিহত দৌলত খান পো‌ল্টি ফা‌র্মের দুজন কর্মচা‌রি‌কে নি‌য়ে ঘর থে‌কে বের হন। বা‌ড়ির প‌শ্চি‌মে ১০০ গজ দূ‌রে মোর‌শেদ ফ‌কি‌রের বা‌ড়ির পা‌শে গে‌লেই ওতঁপে‌তে থাকা সন্ত্রাসীরা দৌলত খান‌কে দেখেই দেশীয় অস্ত্র দি‌য়ে এলো পাতালি কোপা‌তে থা‌কে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মোর‌শেদ ফ‌কি‌রের বা‌ড়ির ওঠা‌নে ফে‌লেও এলো পাতালি কোপায়। নিহত দৌলত‌ খা‌নের বু‌কের পাজর, লিঙ্গ, হাত ও পা কেটে ফে‌লে। সন্ত্রাসীরা দৌলত খা‌নের মৃত‌্যু নি‌শ্চিত হলে ওইখান থেকে চলে যায়।

এ বিষয়ে জানতে মামলার তদন্ত কারি পিবিআই কর্মকর্তা এস আই বাবুলের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, মামলার কিছু গোপনীয়তা বিষয় আছে আমি এখন কিছু বলতে পারব না আপনি আমাদের এসপি স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন।

পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শ্বশুরকে হত্যা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পুত্রবধূর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ
পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শ্বশুরকে হত্যা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পুত্রবধূর

কুমিল্লায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় নিজ শ্বশুরকে হত্যার দায়ে তাসলিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে ১১ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার লাকসাম উপজেলার আশকামতা গ্রামের দণ্ডপ্রাপ্ত তাসলিমা আক্তারের স্বামী মো. বিলাল হোসেন চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকায়, তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার একাধিক পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে শ্বশুর মো. চান মিয়া প্রতিবাদ করলে ক্ষুব্ধ পুত্রবধূ তাসলিমা আক্তার ২০১৪ সালের ১১ জুলাই গভীর রাতে ঘুমন্ত শ্বশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে এবং ধারালো ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে গোসল করে চান মিয়ার মেয়ে বেবি আক্তারকে হত্যার কথা জানায়।

পরদিন নিহতের মেয়ে বেবি আক্তারকে সাথে নিয়ে লাকসাম থানায় আত্মসমর্পণ করে তাসলিমা আক্তার।

এ ঘটনায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ঘাতক তাসলিমা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। সেইসাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় দেন।

উল্লেখ্য, মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মো. বেলাল হোসেন ভূঁইয়া।

মেলা থেকে ফেরার পথে স্কুলছাত্রীকে দোকানে আটকে ধর্ষণ

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
মেলা থেকে ফেরার পথে স্কুলছাত্রীকে দোকানে আটকে ধর্ষণ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ রেলগেইট এলাকায় একটি মুদি দোকানের ভিতরে শাটার লাগিয়ে মেলা থেকে ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগীর মামা আল আমিন হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেয়ার করেন।

অভিযুক্তরা হলেন ১/ রায়হান (২২), পিতা মোঃ সুলতান মিয়া, সাং বেলদিয়া, কাওরাইদ ২/ সোহেল (৩৫) পিতা মৃত শুক্কুর আলী, সাং নিগুয়ারী, পাগলা, ময়মনসিংহ, ৩/ মোছাঃ নুরুন্নাহার (৪৫) স্বামী, সুলতান ৪/ মোঃ সুলতান (৫০), পিতা অজ্ঞাত, সাং কাওরাইদ, শ্রীপুর,গাজীপুর সহ অজ্ঞাত ২/৩ জন।

ভুক্তভোগীর মামা আল আমিন হোসেন জানান দীর্ঘ ১২ বছর পূর্বে আমার বোন মোছাঃ তাছলিমা ভারসাম্যহীন অবস্থায় হারিয়ে যাই। তারপর থেকেই আমার বোনের মেয়ে  আমার ভাগ্নিকে আমরা লালন পালন করে আসছি, আমার ভাগ্নি বর্তমানে কাওরাইদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। অনুমান গত চার মাস পূর্বে ২ নং বিবাদী সোহেলের সহযোগিতায় ১ নং বিবাদী রায়হানের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার ভাগ্নির, সে থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১ নং বিবাদী রায়হান বিভিন্ন সময় আমার ভাগ্নিকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়।

গত ১৬ই জুন আমার ভাগ্নি পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর মেলায় বিকেল ৫ টার দিকে ঘুরতে যাই। মেলা থেকে বাড়িতে আসার সময় রায়হানের সঙ্গে দেখা হয় এবং  কাওরাইদ রেলগেইট এলাকায় ২ নং বিবাদী সোহেলের ব্যবসায়িক মুদি দোকানের ভিতরে ১ নং বিবাদী রায়হান আমার ভাগ্নিকে নিয়ে যাই, এবং সেখানে দোকানে প্রবেশ করার পরপরই সোহেল বাহির থেকে দোকানের শাটার লাগিয়ে দেই এবং রায়হান আমার ভাগ্নির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জামা কাপড় খুলে ধর্ষণ করে ।

এই ঘটনার পর আমার ভাগ্নি রায়হানকে বিয়ের কথা বললে সে আমার ভাগ্নিকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় এবং এই ঘটনা কাউকে না জানাতে বলে।

১৭ই জুন বিকাল পাঁচটার দিকে আমার ভাগ্নিকে ১ নং বিবাদী রায়হান সহ তার পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়, বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরপরই রায়হান তার বাবা সুলতান তার মা নুরুন্নাহার এবং সোহেল ভাগ্নিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে, খবর পেয়ে আমরা আমার ভাগ্নিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।

স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার পরপরই ওই দোকানটি বন্ধ করে রাখে সোহেল, এবং তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অভিযুক্ত রায়হান সহ অন্যান্য আসামিরা ঘটনার পর পরই পলাতক রয়েছে।

এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারিক বলেন অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে, অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীদেরকে গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পাইকগাছায় আলমসাধু উল্টে পথচারী আহত

মোঃ রেজাউল ইসলাম, খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় আলমসাধু উল্টে পথচারী আহত

খুলনার পাইকগাছায় ধানবোঝাই আলমসাধু উল্টে সোহরাব মোল্লা নামে এক পথচারী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত সোহরাব মোল্লা গদাইপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় নার্সারিতে কাজ করেন।
জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আগড়ঘাটা থেকে অতিরিক্ত ধানবোঝাই করে পাইকগাছা অভিমুখে আসার সময় গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌছালে বাম পাশের চাকা ফেটে যায়। এ সময় ধানবোঝাই আলমসাধু উল্টে পথচারী সোহরাব চাপা পড়েন।

পরে স্থানীয়রা ধানের বস্তা সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সোহরাবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আলমসাধুর ড্রাইভার কপিলমুনি ইউনিয়নের মালথ গ্রামের মৃত আফছার ফকিরের ছেলে আফজাল ফকিরও আহত হয়েছেন। তাকেও পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।এ ছাড়া গাড়ি ও ধান ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে।