খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

নরসিংদীর শিবপুরে দৌলত খানের হত্যা কান্ডে পিবিআই অভিযানে গ্রেফতার ২

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ২:০১ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর শিবপুরে দৌলত খানের হত্যা কান্ডে পিবিআই অভিযানে গ্রেফতার ২

সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী পিবিআই স্ব-উদ্যোগে ফিড ব্যবসায়ী দৌলত খানের মামলাটি গ্রহণ করে এবং দ্রুত অভিযান পরিচালনা করেন। গত (৩ অক্টোবর) রোমান ওরফে (বাবু) ও জাহিদ নামের স্থানীয় কিশোর গ্যাং এর দুই জন আসামিকে গ্রেফতার করেন। পিবিআই গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আসামিরা দৌলত খানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিয়তের স্ত্রী রোকেয়া খানম বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২২, ধারা-৩০২/৩৪।

উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীরা সন্ধ‌্যা থে‌কেই চু‌রির ফাঁদ পে‌তে ট্রা‌কের ব‌্যাটা‌রি চু‌রি করার পায়তারা ক‌রতে থা‌কে। টের পে‌য়ে নিহত দৌলত খান পো‌ল্টি ফা‌র্মের দুজন কর্মচা‌রি‌কে নি‌য়ে ঘর থে‌কে বের হন। বা‌ড়ির প‌শ্চি‌মে ১০০ গজ দূ‌রে মোর‌শেদ ফ‌কি‌রের বা‌ড়ির পা‌শে গে‌লেই ওতঁপে‌তে থাকা সন্ত্রাসীরা দৌলত খান‌কে দেখেই দেশীয় অস্ত্র দি‌য়ে এলো পাতালি কোপা‌তে থা‌কে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মোর‌শেদ ফ‌কি‌রের বা‌ড়ির ওঠা‌নে ফে‌লেও এলো পাতালি কোপায়। নিহত দৌলত‌ খা‌নের বু‌কের পাজর, লিঙ্গ, হাত ও পা কেটে ফে‌লে। সন্ত্রাসীরা দৌলত খা‌নের মৃত‌্যু নি‌শ্চিত হলে ওইখান থেকে চলে যায়।

এ বিষয়ে জানতে মামলার তদন্ত কারি পিবিআই কর্মকর্তা এস আই বাবুলের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, মামলার কিছু গোপনীয়তা বিষয় আছে আমি এখন কিছু বলতে পারব না আপনি আমাদের এসপি স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন।

বেলকুচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:২০ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

সিরাজগঞ্জে বেলকুচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে দিনব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় বেলকুচি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে  নানা কর্মসূচি উদযাপন  করেছে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজয় সৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা করা হয় এবং সকল সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারী ভবন ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

একই সময় বিজয় সৌধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  এরপর বেলকুচি থানা পুলিশ,  ,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার,পৌরসভা,উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বেলকুচি প্রেসক্লাব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ,  বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল,কলেজ, এনজিও প্রতিনিধি সহ সমাজের নানান শ্রেণী পেশার মানুষেরা মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল নয়টায় আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া   আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ পুলিশ,আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন  শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে  বলেন,২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জন্য এক অবিস্মরনীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে মাধ্যমে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্মভৌম রাষ্ট্রের। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সকল বীর শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা। তিনি শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। 

মহান এই দিবসটিতে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধ, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির,গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৪০ অপরাহ্ণ
দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার (২৬ মার্চ) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা এই মাত্র কিছু দিন আগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে একটা নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে আজকে স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নাই। যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। সুতরাং এই দিনটাকে তারা খাটো করতে চায়।

তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে সবাই সব দলের প্রতিপক্ষ। দলগতভাবে মতভেদের পার্থক্য থাকলেও দেশের প্রয়োজনে সবার ঐক্য একই থাকবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আমরা সেখানেই বিশ্বাস রাখতে চাই। আর নির্বাচন হবে না এমনটা বিশ্বাস আমরা করি না।

কোনো অনৈক্য রয়েছে কিনা প্রশ্নে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অনৈক্য কিছু নাই। স্বার্থের সংঘাত আছে, প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলবো না। যদি কেউ অনৈক্য বলে, এটাকে আমি এমন করে বলবো, এমন সময় যদি কখনও আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাবো। এখানে কোনো ভুল নাই। এখন দলীয় আদর্শিক স্বার্থে হয়ত আলাদা কথা বলছি, হতে পারে। কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক হয়ে যাবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজ স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, অতঃপর দেশে থেকে যুদ্ধ করে উনি দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৫ আগস্টের পরে আবার নতুন করে পেয়েছি। আমি স্বাধীনতার যুদ্ধের বীর শহীদ যারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছিলেন, রক্তের বিনিময়ে যারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাদের স্মরণ করছি। তাদের পরিবারের যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আজকের এ দিনে দেশবাসীকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইব। এবং এই স্বাধীনতাকে যেন ধরে রাখতে পারি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে পারে এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করবো।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান ইবনে আমান, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৮ অপরাহ্ণ
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়

ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে।

এদিকে যমুনা সেতু ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা।

মহাসড়কের সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদযাত্রায় গতকাল মঙ্গলবারের চেয়ে দ্বিতীয় দিনে বুধবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৫ হাজার ৩৫৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১শ টাকা।

অপরদিকে ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে বুথ রয়েছ।