খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

কামড় দিয়ে ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ ফুটবল ফরোয়ার্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
কামড় দিয়ে ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ ফুটবল ফরোয়ার্ড

সতীর্থকে ফাউল করা সহ্য করতে পারলেন না মিলুতিন ওসমাজিক। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নিজেও বড় অপরাধই করে বসলেন প্রেস্টন নর্থ এন্ডের ফরোয়ার্ড। প্রতিপক্ষ ব্লাকব্লার্নের খেলোয়াড় ওউইন বিকের ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দিলেন তিনি। এই অপরাধের কারণে বড় শাস্তিও পেতে হলো মিলুতিনকে।

ঘাড়ে কামড় দেওয়ার অপরাধে মিলুতিনকে ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে তাকে ১৫ হাজার ইউরো জরিমানা করেছে সংস্থাটি। মন্টিনিগ্রোর এই তারকা অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় এই ব্যাপারে আর কোনো শুনানির প্রয়োজন নেই।

ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রেস্টন নর্থ এন্ড তারকা মিলুতিন ওসমাজিককে ৮ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এবং একই সাথে ১৫,০০০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষের ম্যাচে এ ঘটনা ঘটেছিল।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ওই ফরোয়ার্ড স্বীকার করেছেন যে, তিনি ম্যাচের ৮৭ মিনিটে কামড়ের মতো আক্রমণাত্মক কাজ করেছেন। একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ কমিশন শুনানির পর তার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর লিখিত কারণ যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।’

গত ২২ সেপ্টেমর ইংলিশ ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রেস্টন নর্থ এন্ডের মুখোমুখি হয় ব্লাকবার্ন। ম্যাচটি শেষ হয় গোলশূন্য ড্র-তে।

প্রথমার্ধের শেষ সময়ে (৪৩ মিনিটে) লাল কার্ড দেখেন প্রেস্টনের স্যাম গ্রিনউড। একজন কম নিয়ে খেলেও ম্যাচ ধরে রেখেছিল প্রেস্টন। ম্যাচের শেষ দিকে দেখা যায় উত্তেজনা। ৮৯ মিনিটে ব্লাকবার্নের ফরোয়ার্ড বিক প্রেস্টনের খেলোয়াড় দুয়ানে হোমেসকে লাথি মারেন। এতে রেফারি লাল কার্ড দেখান বিককে।

বিককে মাঠ থেকে বরখাস্ত করার পরেও ক্ষান্ত হননি প্রেস্টনের খেলোয়াড়রা। তারা বাজেভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। এক পর্যায়ে ক্রোধে ফাউল করা বিকের ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দেন মিলুতিন। ম্যাচ শেষে অভিযোগ জানায় বিক। সেই তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মিলুতিনকে শাস্তি দেওয়া হয়।

লিভারপুল থেকে ধারে ব্লাকবার্নের হয়ে খেলেন বিক। তিনি ওয়েলসের অনূর্ধ্ব-২১ দলে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন। এখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি তার।

অন্যদিকে প্রেস্টনের ২৫ বয়সী উইঙ্গার মিলুতিন মন্টিনিগ্রোর জাতীয় দলে ২০ ম্যাচ খেলেছেন।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।