খুঁজুন
রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২১ পৌষ, ১৪৩১

সামাজিক ‘নেটওয়ার্ক’ হারিয়েছে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:১৩ অপরাহ্ণ
সামাজিক ‘নেটওয়ার্ক’ হারিয়েছে পুলিশ

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স কখনও ছিল না। সদস্য সংখ্যা কম থাকার কারণে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে নানা পদ্ধতি ও উপায় হাতে নিতে হয়েছে পুলিশকে। বিশেষ করে এলাকাভিত্তিক অপরাধ যেমন- চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ যে কোনো অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে স্থানীয় কমিউনিটির সাহায্য নিত পুলিশ। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকার অপরাধী এবং বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে খুব সহজেই খবর পেত পুলিশ প্রশাসন। যা ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত।

জানা যায়, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সঙ্গে স্থানীয় সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির এলাকাভিত্তিক স্থানীয় নেতাকর্মীরা এখন পলাতক। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ ব্যবস্থা। এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে আগাম কোনো খবর আসছে না পুলিশের কাছে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে নতুন করে কারা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন, সে বিষয়েও কোনো তথ্য পাচ্ছে না পুলিশ। বিষয়টি বুঝতে পেরে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে নানা অপরাধ ঘটাচ্ছেন।

জনবল সংকটের কারণে এলাকাভিত্তিক অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। দেশের জনসংখ্যার আনুপাতিক হার অনুযায়ী পুলিশের জনবল অনেক কম। দেশে ৮০০ থেকে ৯০০ জনের বিপরীতে রয়েছেন একজন পুলিশ। ইউএন (জাতিসংঘ) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ৪০০ জন নাগরিকের বিপরীতে একজন পুলিশ থাকার কথা বলা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশের ঘাটতি পূরণ এবং অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার বিকল্প নেই

এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের পর ডিএমপিতে অনেক রদবদল হয়েছে। থানাগুলোর ওসি থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত বদলি করা হয়েছে। বদলি করে যাদের ঢাকায় আনা হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশের ডিএমপিতে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। ফলে তারা এখনও ঠিক মতো ঢাকার রাস্তাঘাট চেনেন না। এর মধ্যে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়া। ঢাকার নতুন পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের কাছ থেকে এখন কোনো তথ্য পাচ্ছেন না।

কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা মূলত পুলিশের সামাজিক নেটওয়ার্ক, এটি খবর ও তথ্য নেওয়ার মাধ্যম। এর মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ প্রশাসন।

dhakapost

এ বিষয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এলাকায় নিয়মিত পুলিশ আসত। বিশেষ করে রাতে টহল দিত। তারা এসে কমিউনিটি পুলিশিংয়ে যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের কাছ থেকে অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য নিতেন। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে চুরি কিংবা ছিনতাইয়ের ঘটনা কম হতো। কিন্তু এখন পুলিশ তেমন আসে না, কারও কাছ থেকে খবরও নেয় না। পুলিশের তৎপরতা না থাকায় এখন চোর ও ছিনতাইকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়।

রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা কাজল শেখ বলেন, আগে রাত-বিরাতে পুলিশ আসত। এলাকার মুরুব্বিদের সঙ্গে আড্ডা দিত, এলাকার খোঁজখবর নিত। ফলে চোর ও ছিনতাইকারীরা কিছুটা হলেও ভয়ে থাকত। কিন্তু এখন পুলিশ আসে না, এলাকার কারও কাছ থেকে তথ্যও নেয় না। অপরাধীরা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কিছু বলার সাহস দেখাচ্ছে না।

যে কারণে দরকার কমিউনিটি পুলিশিং

পুলিশ জানায়, তাদের জনবল সংকটের কারণে এলাকাভিত্তিক অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। দেশের জনসংখ্যার আনুপাতিক হার অনুযায়ী পুলিশের জনবল অনেক কম। দেশে ৮০০ থেকে ৯০০ জনের বিপরীতে রয়েছেন একজন পুলিশ। ইউএন (জাতিসংঘ) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ৪০০ জন নাগরিকের বিপরীতে একজন পুলিশ থাকার কথা বলা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশের ঘাটতি পূরণ এবং অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার বিকল্প নেই।

আগে রাত-বিরাতে পুলিশ আসত। এলাকার মুরুব্বিদের সঙ্গে আড্ডা দিত, এলাকার খোঁজখবর নিত। ফলে চোর ও ছিনতাইকারীরা কিছুটা হলেও ভয়ে থাকত। কিন্তু এখন পুলিশ আসে না, এলাকার কারও কাছ থেকে তথ্যও নেয় না। অপরাধীরা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কিছু বলার সাহস দেখাচ্ছে না          রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা কাজল শেখ

তবে পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা ব্যাহত হলেও অপরাধ দমনে নাগরিকদের সাহায্য নেওয়ার জন্য পুলিশ ভিন্ন আঙ্গিকে কাজ করা শুরু করেছে। ‘নাগরিক কমিটি’ বা ‘সিটিজেন ফোরাম’ নামে একটি পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এর মাধ্যমে নাগরিকদের নতুন করে পুলিশিং ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সিটিজেন ফোরাম নিয়ে কাজ চলছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। সিটিজেন ফোরামের মাধ্যমে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

dhakapost
গত ১৫ বছরে পুলিশ বড় ধরনের অপরাধ করেছে, আমরা লজ্জিত : পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম । 

অন্যদিকে, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার কাজ করা হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে। যেমন- এর সঙ্গে সম্পৃক্তরা মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে অনেকের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতেন। এ ছাড়া ঘনিষ্ঠ অপরাধীদের বাঁচাতে তারা নানা রকম মিথ্যা তথ্য দিতেন পুলিশকে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কারণ, স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন অনেক কমিউনিটিপ্রধান। বিশেষ করে দলীয় পরিচয়ে যারা এখানে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ কারণে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা নতুন করে আর সচল করা হয়নি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ‘সিটিজেন ফোরাম’ গঠন নিয়ে কাজ চলছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। সিটিজেন ফোরামের মাধ্যমে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে                                     পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর

যা বলছেন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ

এ বিষয়ে ডিএমপির বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অপরাধ দমনে স্থানীয়দের সহায়তার প্রয়োজন আছে। কারণ, পুলিশের একার পক্ষে প্রতিটি এলাকার গিয়ে অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। তবে, এখন একটু সমস্যা হচ্ছে। বিগত কমিটিগুলোর সদস্যরা আওয়ামী লীগের লোকজন ছিলেন। তাদের অনেকে পালিয়ে গেছেন, আবার অনেকে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ফলে নতুন করে লোকজন নিয়ে এ কমিটি আর করা হয়নি। এটি আসলেই বড় ধরনের সমস্যা। কারণ, এসব কমিটি করতে হলে আবারও রাজনৈতিক দলের লোকজনকে নিয়ে আসতে হবে। তারা আসলে ফের নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠবে। তবে, যেভাবেই হোক পুলিশিং ব্যবস্থার সঙ্গে নাগরিকদের যুক্ত করতে হবে। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে না।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, আগের কমিটিগুলোর বিরুদ্ধে অনেক অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাই এসব কমিটি এখন আর সক্রিয় করা সম্ভব নয়। তবে, আমরা স্থানীয় সুশীল সমাজকে সম্পৃক্ত করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে কমিউনিটির একটি সেতুবন্ধন তৈরি হবে।

dhakapost

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি থানার ওসিকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন দ্রুত নাগরিক কমিটি বা সিটিজেন ফোরামের কার্যক্রম চালু করেন। থানাগুলো এ কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। তারা দল-মত নির্বিশেষে নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন। স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, খেলোয়াড়, চিকিৎসক, শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতাদের কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কারণ, স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন অনেক কমিউনিটিপ্রধান। বিশেষ করে দলীয় পরিচয়ে যারা এখানে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ কারণে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা নতুন করে আর সচল করা হয়নি                           ডিএমপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)

থানা পুলিশের প্রত্যাশা, জনগণ আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।

যেভাবে শুরু কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার

পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা শুরু হয় ১৯৯৪ সালে থেকে। ওই সময়ে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম‍ শহীদুল হক, যিনি পরবর্তীতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হন; মূলত তিনিই এ ব্যবস্থা চালু করেন। ১৯৯৪ সালে ময়মনসিংহে হঠাৎ করে বেড়ে যায় চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। ওই পরিস্থিতিতে তৎকালীন এসপি আহমাদুল হক গঠন করেন ‘টাউন ডিফেন্স পার্টি’। এটি মূলত কমিউনিটি পুলিশিংয়ের একটি অংশ। ঠিক সে সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম শহীদুল হক কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে কাজ শুরু করেন, যা পরবর্তীতে ডিএমপিসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৩৫ অপরাহ্ণ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৫ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৭১৭ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৮ হাজার ৮৫৬ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৫৯ জন নিহত এবং আরও ২৭৩ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

‘জাতীয় নির্বাচনে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না কমিশন’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৩৩ অপরাহ্ণ
‘জাতীয় নির্বাচনে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না কমিশন’

ùS

কাজ করতে গিয়ে কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম, নাসির উদ্দিন।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ উপলক্ষে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

সিইসি বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন। এসময় ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।

নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে তার সবটুকুই করবে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (অব.) বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটার সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে। ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ সেখান থেকে এবার বেরিয়ে আসতে পারবে কমিশন। মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল তা কমে এসেছে, মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে তা এবার কাজে লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৩১ অপরাহ্ণ
দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (বায়ুর মান সূচক) স্কোর ছিল ৪৪৫। যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বায়ু দূষণের এ তালিকায় ৪৪৪ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি, স্কোর ২৪৮। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, স্কোর ২১৬। পঞ্চম স্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর, স্কোর ২১২।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ বা তার বেশি একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।