খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২

সামাজিক ‘নেটওয়ার্ক’ হারিয়েছে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:১৩ অপরাহ্ণ
সামাজিক ‘নেটওয়ার্ক’ হারিয়েছে পুলিশ

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স কখনও ছিল না। সদস্য সংখ্যা কম থাকার কারণে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে নানা পদ্ধতি ও উপায় হাতে নিতে হয়েছে পুলিশকে। বিশেষ করে এলাকাভিত্তিক অপরাধ যেমন- চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ যে কোনো অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে স্থানীয় কমিউনিটির সাহায্য নিত পুলিশ। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকার অপরাধী এবং বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে খুব সহজেই খবর পেত পুলিশ প্রশাসন। যা ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত।

জানা যায়, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সঙ্গে স্থানীয় সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির এলাকাভিত্তিক স্থানীয় নেতাকর্মীরা এখন পলাতক। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ ব্যবস্থা। এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে আগাম কোনো খবর আসছে না পুলিশের কাছে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে নতুন করে কারা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন, সে বিষয়েও কোনো তথ্য পাচ্ছে না পুলিশ। বিষয়টি বুঝতে পেরে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে নানা অপরাধ ঘটাচ্ছেন।

জনবল সংকটের কারণে এলাকাভিত্তিক অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। দেশের জনসংখ্যার আনুপাতিক হার অনুযায়ী পুলিশের জনবল অনেক কম। দেশে ৮০০ থেকে ৯০০ জনের বিপরীতে রয়েছেন একজন পুলিশ। ইউএন (জাতিসংঘ) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ৪০০ জন নাগরিকের বিপরীতে একজন পুলিশ থাকার কথা বলা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশের ঘাটতি পূরণ এবং অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার বিকল্প নেই

এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের পর ডিএমপিতে অনেক রদবদল হয়েছে। থানাগুলোর ওসি থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত বদলি করা হয়েছে। বদলি করে যাদের ঢাকায় আনা হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশের ডিএমপিতে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। ফলে তারা এখনও ঠিক মতো ঢাকার রাস্তাঘাট চেনেন না। এর মধ্যে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়া। ঢাকার নতুন পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের কাছ থেকে এখন কোনো তথ্য পাচ্ছেন না।

কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা মূলত পুলিশের সামাজিক নেটওয়ার্ক, এটি খবর ও তথ্য নেওয়ার মাধ্যম। এর মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ প্রশাসন।

dhakapost

এ বিষয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এলাকায় নিয়মিত পুলিশ আসত। বিশেষ করে রাতে টহল দিত। তারা এসে কমিউনিটি পুলিশিংয়ে যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের কাছ থেকে অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য নিতেন। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে চুরি কিংবা ছিনতাইয়ের ঘটনা কম হতো। কিন্তু এখন পুলিশ তেমন আসে না, কারও কাছ থেকে খবরও নেয় না। পুলিশের তৎপরতা না থাকায় এখন চোর ও ছিনতাইকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়।

রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা কাজল শেখ বলেন, আগে রাত-বিরাতে পুলিশ আসত। এলাকার মুরুব্বিদের সঙ্গে আড্ডা দিত, এলাকার খোঁজখবর নিত। ফলে চোর ও ছিনতাইকারীরা কিছুটা হলেও ভয়ে থাকত। কিন্তু এখন পুলিশ আসে না, এলাকার কারও কাছ থেকে তথ্যও নেয় না। অপরাধীরা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কিছু বলার সাহস দেখাচ্ছে না।

যে কারণে দরকার কমিউনিটি পুলিশিং

পুলিশ জানায়, তাদের জনবল সংকটের কারণে এলাকাভিত্তিক অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। দেশের জনসংখ্যার আনুপাতিক হার অনুযায়ী পুলিশের জনবল অনেক কম। দেশে ৮০০ থেকে ৯০০ জনের বিপরীতে রয়েছেন একজন পুলিশ। ইউএন (জাতিসংঘ) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ৪০০ জন নাগরিকের বিপরীতে একজন পুলিশ থাকার কথা বলা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশের ঘাটতি পূরণ এবং অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার বিকল্প নেই।

আগে রাত-বিরাতে পুলিশ আসত। এলাকার মুরুব্বিদের সঙ্গে আড্ডা দিত, এলাকার খোঁজখবর নিত। ফলে চোর ও ছিনতাইকারীরা কিছুটা হলেও ভয়ে থাকত। কিন্তু এখন পুলিশ আসে না, এলাকার কারও কাছ থেকে তথ্যও নেয় না। অপরাধীরা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কিছু বলার সাহস দেখাচ্ছে না          রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা কাজল শেখ

তবে পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা ব্যাহত হলেও অপরাধ দমনে নাগরিকদের সাহায্য নেওয়ার জন্য পুলিশ ভিন্ন আঙ্গিকে কাজ করা শুরু করেছে। ‘নাগরিক কমিটি’ বা ‘সিটিজেন ফোরাম’ নামে একটি পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এর মাধ্যমে নাগরিকদের নতুন করে পুলিশিং ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সিটিজেন ফোরাম নিয়ে কাজ চলছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। সিটিজেন ফোরামের মাধ্যমে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

dhakapost
গত ১৫ বছরে পুলিশ বড় ধরনের অপরাধ করেছে, আমরা লজ্জিত : পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম । 

অন্যদিকে, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার কাজ করা হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে। যেমন- এর সঙ্গে সম্পৃক্তরা মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে অনেকের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতেন। এ ছাড়া ঘনিষ্ঠ অপরাধীদের বাঁচাতে তারা নানা রকম মিথ্যা তথ্য দিতেন পুলিশকে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কারণ, স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন অনেক কমিউনিটিপ্রধান। বিশেষ করে দলীয় পরিচয়ে যারা এখানে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ কারণে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা নতুন করে আর সচল করা হয়নি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ‘সিটিজেন ফোরাম’ গঠন নিয়ে কাজ চলছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। সিটিজেন ফোরামের মাধ্যমে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে                                     পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর

যা বলছেন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ

এ বিষয়ে ডিএমপির বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অপরাধ দমনে স্থানীয়দের সহায়তার প্রয়োজন আছে। কারণ, পুলিশের একার পক্ষে প্রতিটি এলাকার গিয়ে অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। তবে, এখন একটু সমস্যা হচ্ছে। বিগত কমিটিগুলোর সদস্যরা আওয়ামী লীগের লোকজন ছিলেন। তাদের অনেকে পালিয়ে গেছেন, আবার অনেকে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ফলে নতুন করে লোকজন নিয়ে এ কমিটি আর করা হয়নি। এটি আসলেই বড় ধরনের সমস্যা। কারণ, এসব কমিটি করতে হলে আবারও রাজনৈতিক দলের লোকজনকে নিয়ে আসতে হবে। তারা আসলে ফের নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠবে। তবে, যেভাবেই হোক পুলিশিং ব্যবস্থার সঙ্গে নাগরিকদের যুক্ত করতে হবে। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে না।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, আগের কমিটিগুলোর বিরুদ্ধে অনেক অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাই এসব কমিটি এখন আর সক্রিয় করা সম্ভব নয়। তবে, আমরা স্থানীয় সুশীল সমাজকে সম্পৃক্ত করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে কমিউনিটির একটি সেতুবন্ধন তৈরি হবে।

dhakapost

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি থানার ওসিকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন দ্রুত নাগরিক কমিটি বা সিটিজেন ফোরামের কার্যক্রম চালু করেন। থানাগুলো এ কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। তারা দল-মত নির্বিশেষে নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন। স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, খেলোয়াড়, চিকিৎসক, শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতাদের কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কারণ, স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন অনেক কমিউনিটিপ্রধান। বিশেষ করে দলীয় পরিচয়ে যারা এখানে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ কারণে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা নতুন করে আর সচল করা হয়নি                           ডিএমপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)

থানা পুলিশের প্রত্যাশা, জনগণ আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।

যেভাবে শুরু কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার

পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা শুরু হয় ১৯৯৪ সালে থেকে। ওই সময়ে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম‍ শহীদুল হক, যিনি পরবর্তীতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হন; মূলত তিনিই এ ব্যবস্থা চালু করেন। ১৯৯৪ সালে ময়মনসিংহে হঠাৎ করে বেড়ে যায় চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। ওই পরিস্থিতিতে তৎকালীন এসপি আহমাদুল হক গঠন করেন ‘টাউন ডিফেন্স পার্টি’। এটি মূলত কমিউনিটি পুলিশিংয়ের একটি অংশ। ঠিক সে সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম শহীদুল হক কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে কাজ শুরু করেন, যা পরবর্তীতে ডিএমপিসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

সিরাজগঞ্জে র‍্যাব-১২ এর অভিযানে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে র‍্যাব-১২ এর অভিযানে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ এর অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় এবং র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় অদ্য ১৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ, রাত্রী ০৪.২০ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা সেতু পশ্চিম থানাধীন গোলচত্বর এলাকায় পাকা রাস্তার উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৭ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এছাড়াও তাদের সাথে থাকা গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ১। মোঃ আবুল হাসান পূর্বনাম শ্রী প্রান্তনাথ (২৭), পিতা- শ্রী সুনীল চন্দ্রনাথ, স্থায়ী সাং- জিরি, থানা- পটিয়া, জেলা- চট্রগ্রাম, বর্তমান সাং- রসুলপুর, থানা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ, ২। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩৪), পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, সাং- মোরোলো আজাপাড়া, থানা- ধামইরহাট, জেলা- নওগাঁ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ণ
বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির পৌর সদরে অবস্থিত বেলকুচি শ্রীমন্মাহাপ্রভুর আখড়ার নব গঠিত মূল কমিটির অভিষেক, সংবর্ধনা ও শপথ পাঠ এবং প্রভূপাদ রঞ্জন গোস্বামীর পরলোক গমন হেতু স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে অত্র কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সাধারন সম্পাদক শ্রী দুলাল চন্দ্র মজুমদারের সঞ্চালনায় ও সভাপতি শ্রী হেমেন্দ্র নাথ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের বাহুকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পরম বৈষ্ণব সমর কুমার মন্ডল।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সহ-সভাপতি নিমাই চন্দ্র সাহা, সুব্রত পাল (এস পাল), বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি জয় শংকর সাহা, সাধারণ সম্পাদক রনি কুমার মিত্র, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি বৈদ্য নাথ রায়, সাধারণ সম্পাদক অমৃত নারায়ন দে, বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সহ-সভাপতি অসিত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিল সাহা, কোষাধ্যক্ষ নিতাই সাহা প্রমূখ।

এসময় প্রভূপাদ রঞ্জন গোস্বামীর পরলোক গমন হেতু স্বরণ সভায় তার আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন ও দেশ ও সমাজের কল্যাণ ও শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।

সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জ শহরে ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৭’শতাধিক শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১ থেকে পৌনে ১২ টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন এলাকার  নিউ ঢাকা রোডের রেলগেট এলাকা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে ওই এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরমভাবে  জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন ও সদর আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মারুফ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

বিক্ষোভ রত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৮ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা প্রয়োগ করে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির আদেশ দেন।  এতে কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পেশাগত বৈষম্য আরও গভীর হয়েছে। এজন্য আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে।

তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো—- ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল; কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের দিয়েই কারিগরি পদে নিয়োগ; বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন; প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করতে সুযোগ দেয়া এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের যোগ্যতা হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নির্ধারণ।

সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির জানান, এত ছাত্রের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এই সড়ক অবরোধের বিষয়টি পূর্বে থেকে আমাদের জানা ছিল না। যে কারণে ওই সড়কে চলাচল কারীদের  দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। পরে আর্মি ক্যাম্পের একটি পেট্রোল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।