খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

একুশে পদক অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটো সেশনের রীতি বাদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ণ
একুশে পদক অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটো সেশনের রীতি বাদ

রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক দেওয়ার অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটো সেশনের প্রচলিত রীতি বাদ দেওয়া হবে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ এর পুরস্কারপ্রাপ্তদের পেছনে দাঁড় করিয়ে ফটোসেশন করার ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ রীতিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের গ্রুপ ফটো সেশন নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। পূর্বপ্রচলিত রীতি অনুযায়ী সরকার বা পুরস্কার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তদের একটি আনুষ্ঠানিক গ্রুপ ফটো সেশন আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতদিন এ বিষয়ে তেমন কোনো দ্বিমত বা আপত্তি শোনা যায়নি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথেই অগ্রসর হচ্ছে, তাই যে কোনো প্রচলিত রীতি নতুন করে ভাবার সুযোগ রয়েছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটো সেশন কীভাবে আরও সম্মানজনক ও গুণীজনদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে আয়োজন করা যায়, তা নিয়ে গতকাল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে গ্রুপ ফটো সেশনের এই প্রচলিত রীতি বাদ দেওয়া হবে। একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের জন্য গ্রুপ ফটো সেশন আরও সম্মানজনক এবং যুক্তিসংগতভাবে আয়োজন নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস

বাংলাদেশে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।

পোস্টে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার ও পরিবর্তনে জাতিসংঘ সবসময় পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের জনগণকে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

এর আগে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছান গুতেরেস। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।

শুক্রবার সকালে প্রথমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পরে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর সকাল ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পৌঁছান তিনি। সেখানে ড. ইউনূসের সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবেন তারা। সেখানে অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেবেন। প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন তারা।

এদিকে, আগামীকাল জাতিসংঘ মহাসচিব সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

প্রসঙ্গত, পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনিও গুতেরেস কূটনীতিক হিসেবেও অভিজ্ঞ। জাতিসংঘ মহাসচিব নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান ছিলেন। ওই সময়েও তিনি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।

নির্মম নির্যাতনে আছিয়ার মৃত্যু, তারেক রহমানের নিন্দা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩১ অপরাহ্ণ
নির্মম নির্যাতনে আছিয়ার মৃত্যু, তারেক রহমানের নিন্দা

মাগুরায় নির্মম যৌন নির্যাতনের শিকার আট বছর বয়সি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ, গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে। আমরা দেখছি পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে। আছিয়ার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একই সঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে একাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের। আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদেরকে বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যূত্থানের পর থেকে নারী হেনস্থা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এই ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যে কোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।

এ ছাড়াও একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে। এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।

হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে শফিকুল আলমের মন্তব্যে তোলপাড়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ণ
হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে শফিকুল আলমের মন্তব্যে তোলপাড়

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে ভারতের গণমাধ্যম “টাইমস অব ইন্ডিয়া” সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি অনুযায়ী, শেখ হাসিনা শীঘ্রই আবার বাংলাদেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। এই খবরের সাথে আরও যুক্ত করা হয়েছে যে, ভারত শেখ হাসিনাকে নিরাপদ স্থান প্রদান করেছে, এবং এর জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

এ প্রতিবেদনের একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি ওই পোস্টে একটি মন্তব্য করেছেন, যা ছিল “পাগলের সুখ মনে মনে,” যা প্রতিবেদনটির প্রতি তার তাচ্ছিল্য এবং হাস্যরসের প্রকাশ।

এই পোস্টের পরে, শফিকুল আলমের ফেসবুক কমেন্ট সেকশনে নানা ধরনের হাসি-ঠাট্টা শুরু হয়, যেখানে অনেকেই এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মন্তব্য করেন যে, যদি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন, তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে গ্রহণ করবে এবং বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, শেখ হাসিনা গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র জনতা আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ছাড়েন এবং ভারতে পালিয়ে যান। তারপর থেকেই, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়, তবে এখন পর্যন্ত ভারত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো জবাব আসেনি।

তবে, এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখনো তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এবং ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশের সময় সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত ১২ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।