খুঁজুন
সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯ আষাঢ়, ১৪৩২

বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস

অনিশ্চয়তায় চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৪ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ
অনিশ্চয়তায় চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৪ শতাংশ

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা, শিল্পে প্রবৃদ্ধি দুর্বল হওয়া এবং বন্যায় কৃষির প্রবৃদ্ধি মাঝারি মানের হবে বলে ধারণা করছে বহুজাতিক এই অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান।

গত বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান না থাকা এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আভাসকে ঘিরে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তাদের পূর্বাভাস তাকেই প্রতিফলিত করছে। কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় স্বল্প মেয়াদে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এ কারণে বিনিয়োগ ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে না। অন্যদিকে বন্যার কারণে কৃষি উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তবে মধ্য থেকে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে বিশ্বব্যাংক। সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তার ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এ ক্ষেত্রে আর্থিক খাতে সংস্কার, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বাড়ানোর পদক্ষেপ, ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ও বাণিজ্য চাঙা হওয়ার বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি কমলেও সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা তাদের আগে করা পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। এর ফলে এই অঞ্চল অর্থনীতির দিকে থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চলে পরিণত হওয়ার ধারা বজায় রাখবে।

কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও বেশি হারে নিয়ে আসা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও উদারীকরণ করা হলে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার হবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।

প্রথমবারের মতো ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার মিসাইল ব্যবহার করলো ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
প্রথমবারের মতো ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার মিসাইল ব্যবহার করলো ইরান

ইসরায়েলে হামলায় ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার শেকান মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এমন তথ্য। চিহ্নিত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাতে সক্ষম অত্যাধুনিক এ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। ইসরায়েলের শক্তিশালী আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এর মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে পারে খাইবার।

ইসরায়েল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রথমবারের মতো ছুটছে ৪র্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক “খাইবার শেকান” ব্যালিস্টিক মিসাইল। আইআরজিসি’র ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটির পোশাকি নাম ‘খোররামশার-ফোর’।

মদিনার ঐতিহাসিক খাইবার মরু অঞ্চলের নামানুসারে রাখা এ মিসাইলটি উন্মোচিত হয় ২০২২ সালে। অন্তত ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি। আনুমানিক দেড় হাজার কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে এটি। ইরানের সবচেয়ে ভারি ওয়ারহেডগুলোর মধ্যেও অন্যতম এই খাইবার শেকান।

তেহরানের দাবি- কৌশলগতভাবে যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম খাইবার মিসাইল। সুনিপুণভাবে ফাঁকি দিতে পারে ইসরায়েলের আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এর মতো ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে।

উড়ন্ত অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় শক্তিশালী এ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে। ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায় শব্দের গতির চেয়ে আনুমানিক ১৫ গুণ বেশি গতিতে আঘাত হানতে পারে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল, খাইবার।

প্রায় চার দশক ধরে পশ্চিমা বিশ্বের প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় আছে ইরান। এই সময়ের মধ্যে দেশটি কীভাবে হাইপারসনিকের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করল তা নিয়েই চলছে চুলচেরা গবেষণা।

বিনোদন পাড়ায় নতুন বিতর্ক

মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আয়কর বকেয়া থাকার অভিযোগে ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ১৫ জুন সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদ মন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বেশ কয়েকজন শোবিজ তারকার নামও রয়েছে।

সময়মতো কর পরিশোধ না করার এই তালিকায় আছে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর, রেজাউল করিম (বাপ্পারাজ), শবনম পারভীন, পারভীন জাহান মৌসুমী, আহমেদ শরীফ ও নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৃত্যাঞ্চলের নাম।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে এই তারকাদের বকেয়া করের পরিমাণও জানানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কর বকেয়া আছে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজের। তার বকেয়া করের পরিমাণ ১ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ২৪১ টাকা। নুসরাত ফারিয়ার বকেয়া কর ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১০১ টাকা এবং সাবিলা নূরের বকেয়া করের পরিমাণ ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৪২ টাকা।

এ ছাড়া শবনম পারভীনের ৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৯০ টাকা, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বকেয়া রয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৫ টাকা। আহমেদ শরীফের বকেয়া কর ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৮ টাকা এবং নৃত্যাঞ্চলের বকেয়া রয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৪২ টাকা।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বকেয়া কর পরিশোধের জন্য এই শিল্পীদের কাছে এরই মধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনেকে সময় নিয়েছেন। কর পরিশোধের পরই তাদের ব্যাংক হিসাব সচল হবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন অভিনেত্রী মৌসুমী ও আহমেদ শরীফ। অন্যরা দেশে থাকলেও এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাড়া দেননি নুসরাত ফারিয়া।

সাবিলা নূরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক তারকা সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, ব্যাংক হিসাব জব্দের কোনো খবর তারা পাননি। এখনো সচল আছে তাদের ব্যাংক হিসাব।

আক্ষেপের সুর নাসীরুদ্দীনের

ডিজিএফআই যদি দল গঠন করে দিতো ?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ডিজিএফআই যদি দল গঠন করে দিতো ?

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার মাধ্যমে গঠিত একটি দল। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, যদি ডিজিএফআই আমাদের দল গঠন করে দিতো সুবিধা হতো।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন টক শোতে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এসব কথা বলেন।

আপনারা তৃণমূলে এত যাচ্ছেন, এখনো নিবন্ধনের জন্য অ্যাপ্লাই করলেন না তাহলে তো পিছিয়ে যাচ্ছেন— সঞ্চালকের এই প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, যদি ডিজিএফআই আমাদের দল গঠন করে দিতো, তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।

পাটওয়ারী বলেন, বিএনপি ক্যান্টনমেন্ট থেকে গঠিত হয়েও জনগণের দল হয়ে উঠতে পেরেছে। বিএনপির পেছনে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতাসহ ডিজিএফআইয়েরও ভূমিকা ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সঞ্চালকের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুই মাসের মধ্যে একটা দলকে কি হাওয়া থেকে মার্কেটে নিয়ে আসবো? আপনি তো বাস্তবতার মধ্যে কথা বলছেন না। একটা দল গঠন করতে আমাদের যে কত কষ্ট হচ্ছে।

এনসিপির এই নেতা বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায় কিন্তু দল গড়া যায় না।

বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির এখন যে পরিস্থিতি, গ্রামেগঞ্জে মাঠে কথা হয়েছে…৫০ থেকে ১০০ আসনের বেশি যাবে না। আমরা মনে করি না বিএনপি বিজয়ী হবে।