খুঁজুন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ, ১৪৩২

‘ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি ব্যাংকে রূপান্তর করা হচ্ছে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০২ অপরাহ্ণ
‘ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি ব্যাংকে রূপান্তর করা হচ্ছে’

বর্তমানে দেশে ছোট বড় মিলিয়ে ১০টি ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এসব ইসলামি ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে বড় দুটো ব্যাংক গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, একটি বড় ও অনেকগুলো ছোট ছোট ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে আছে। ইসলামি ব্যাংকগুলোকে পুরোদমে নতুনরূপ দেওয়া হবে। এসব ব্যাংক একীভূত করে বড় দুটি ইসলামি ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ইসলামি ব্যাংক নিয়ে আমাদের প্রোপার রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক নেই। তাই ইসলামি ব্যাংকগুলোর জন্য আইন, তদারকি ব্যবস্থা চালু করা হবে। বৈশ্বিক উত্তম চর্চা অনুসরণ করে এসব করা হবে।

দেশে বর্তমানে ১০টি ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। সব মিলিয়ে ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংক ছিল প্রতিষ্ঠানটির দখলে। সবগুলো ব্যাংকেই ব্যাপক অনিয়ম ও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

গভর্নর বলেন, বিদায়ী সরকারের আমলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও নন ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করছে এবং আমরা এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আইনি ও নৈতিক দুই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার না হলেও যারা অর্থ পাচার করেছে তাদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ অর্থ পাচার করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘সমস্যায় পড়া বেশির ভাগ ব্যাংকে মূলধন ঘাটতিতে চলছে। এসব ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ। এসব ব্যাংক ঠিক করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। রাজনীতির পালাবদলে এসব সংস্কার সমর্থন লাগবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে হবে।’

আগামীর ব্যাংকিং খাত নিয়ে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেম আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সম্মানজনক খাত হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তবে তার জন্য সময় দিতে হবে। একদিনই তা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে, আমানতকারীদের স্বার্থে এসব ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে ১১ ব্যাংক, এরপরও আরও ২ ব্যাংকে পরিবর্তন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপের মুখে ইতিমধ্যে একটি ব্যাংক তাদের নিজের কার্যক্রম পরিবর্তন করেছে। সঠিক নিয়মের মধ্যে থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাতে হবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিষয় একদম পরিষ্কার ও লাউড। ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কারা পর্ষদে আসবেন, স্বতন্ত্র পরিচালক কারা হবে তার যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক খাতে সমস্যার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকও একটি কারণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বিভিন্ন চাপ থাকে, ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন আছে। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়াতে কাজ চলছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকরী হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তা নিবিড়ভাবে তদারকি করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিপোর্টিং পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করা হবে। সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে।’

গত দশকে ব্যাংক খাতের রূপান্তর এবং ডিজিটালাইজেশনের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ডিজিটালাইজেশন কাউকে পেছনে ফেলে না যায়। ব্যাংকিং কার্যক্রম, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা রূপান্তরে এআই, ব্লকচেইন এবং মেশিন লার্নিংয়ের মতো প্রযুক্তির ভূমিকার ওপরও জোর দিতে হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, একটি দেশের অর্থনীতির শক্তি তার ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। একটি স্থিতিশীল, দক্ষ ও সু-নিয়ন্ত্রিত আর্থিক ব্যবস্থা কেবল প্রয়োজনীয়তা নয় এটি টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি। বাংলাদেশের জন্য এই ভিত্তিটি চাপের মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির মেরুদন্ড হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাত ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এর অন্যতম কারণ নিয়মগুলোর শিথিল বাস্তবায়ন, ঋণ প্রদানে অনিয়ম, ঋণ আদায় না হওয়া, তীব্র তারল্য সমস্যা, দুর্বল শাসন কাঠামো এবং কার্যকারিতা হ্রাসের উদ্বেগজনক অবনতি। এই চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থার জনসাধারণের আস্থাকে ক্ষুন্ন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যদিও পরিস্থিতি ব্যাংকভেদে যথেষ্ট ভিন্ন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো উৎসাহজনক এবং আশার আলো দেখিয়েছে। তবে এসব উদ্যোগ আরও বিস্তৃত ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদল

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৩১ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদল

নির্বাচনী রোডম্যাপসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল যমুনায় প্রবেশ করেছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল যমুনায় পৌঁছায়।

প্রতিনিধিদলের অন্যরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল আহসান মাহমুদ টুকু।

এর আগে সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হবে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্টভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বরের আগে একটা রোডম্যাপ অবশ্যই চাইব। যাতে উনি ক্লিয়ারলি জাতির সামনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করেন, যাতে অনিশ্চয়তার যে একটা ভাব আছে, সেটা কেটে যায়। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলব যে, এটা যথেষ্ট সময়। তার আগে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জুনের মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে। প্রধান উপদেষ্টাও ইতিপূর্বে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য ওনারা সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। ’

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘যেহেতু বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যে একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, সেটি পরিষ্কার করার জন্য আমরা ওনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) আহ্বান জানাব। ’

আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ২:২৯ অপরাহ্ণ
আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না: হাসনাত

আমি শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী বিরোধী অবস্থান এবং কম্প্রোমাইজের রাজনীতির বিরোধিতাকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করছি—অতি শিগগিরই আওয়ামী লীগ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসুন। না হলে আপনারা করবেন কম্প্রোমাইজের রাজনীতি, আর আমি করব শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ।’

হাসনাত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না। সাবধান হয়ে যান।’

আনন্দ শোভাযাত্রায় মোটিফ বানানো চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আগুন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ২:২৬ অপরাহ্ণ
আনন্দ শোভাযাত্রায় মোটিফ বানানো চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আগুন

বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় মোটিফ বানানো চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে তার একটি ঘর পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, এ ঘটনার পর আমিসহ পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এবার ঢাকায় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের আদলে ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার মোটিফ’ বানানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মোটিফ তৈরির কাজে যুক্ত থাকার কারণে তার বাড়িতে আগুন দেওয়া হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানবেন্দ্র ঘোষ দাবি করেন, তিনি শুধু বাঘের মোটিফ তৈরি করেছেন, শেখ হাসিনার মুখাকৃতি নয়।

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমান উল্লাহসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ওসি বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।