খুঁজুন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ, ১৪৩২

ভারত কি হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ?

শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল, এখন কি হবে ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:২০ পূর্বাহ্ণ
শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল, এখন কি হবে ?

ছাত্র জনতার তিব্র আন্দোলনে দীর্ঘদিনের স্বৈর শাসনের অবসান ঘটে বাংলাদেশে। বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় শেখ হাসিনাকে। অবশ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার ৫০ দিন পূর্ণ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সম্প্রতি ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ন্যায়বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।

ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ভারতের ভিসার ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকলে ৪৫ দিন থাকা যায়। সেই ৪৫ দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এখন কি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত?

কী করতে পারে ভারত ?
ও পি জিন্দল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেছেন, ‘দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। ফলে তাতে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে অনুরোধ এলে তা ভারত খতিয়ে দেখবে। তার একটা প্রক্রিয়া আছে, তা চলতে থাকবে।’

তবে এই অনুরোধ করা হলেই যে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। ভারত তো কতদিন ধরে আর্থিক মামলায় অভিযুক্ত বিজয় মালিয়াকে চাইছে৷ কিন্তু এখনো তো বিজয় মালিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। ২০১৬ সালে মালিয়া ভারত ছেড়ে যুক্তরাজ্যে গেছেন। তারপর তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তারপর আইনি জটে এখনো মালিয়াকে ফেরত পায়নি ভারত।

শ্রীরাধা বলছেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ভারত এটাও মনে করে না, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নিরাপদে থাকতে পারবেন৷ তাই শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে ফেরত দেয়া হবে বলে আমার অন্তত মনে হয় না। আর তাকে ফেরত পাঠানোর কোনো নৈতিক বাধ্যবাধকতাও ভারতের নেই।’

সম্পর্কে বাধা হবে ?
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক সাবেক কূটনীতিক মনে করেন, শেখ হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না। তার মতে, দুইটি বিষয় এক করে দেখা উচিত নয়। দুইটি বিষয় আলাদা। বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশী দেশ। ফলে তার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার পেছনে দুই দেশের স্বার্থ হয়েছে।

দলাই লামার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তাকেও ভারত আশ্রয় দিয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আছেন। তারপরেও তো তার থাকা-না থাকার বিষয়টি আলোচনার ক্ষেত্রে বাধা হয়নি।

বর্তমান অবস্থা কি ?
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে৷ তার কাছে আর কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই।

সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আইপিএস অফিসার শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘টেকনিক্যালি বলা যেতে পারে, শেখ হাসিনা স্টেটলেস। তিনি ভারত থেকে বাইরের কোনো দেশে যেতে পারবেন না। কিন্তু ভারতে থাকার ক্ষেত্রে তার কোনো অসুবিধা নেই।’

ফলে তিনি কতদিন এখানে থাকবেন, তাকে বাংলাদেশের হাতে দেওয়া হবে বা হবে না, এটা শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এখন যা পরিস্থিতি তাতে প্রত্যর্পণের আবেদন করা হলেও শেখ হাসিনাকে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তারা অন্তত মনে করছেন না।

বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ণ
বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির পৌর সদরে অবস্থিত বেলকুচি শ্রীমন্মাহাপ্রভুর আখড়ার নব গঠিত মূল কমিটির অভিষেক, সংবর্ধনা ও শপথ পাঠ এবং প্রভূপাদ রঞ্জন গোস্বামীর পরলোক গমন হেতু স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে অত্র কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সাধারন সম্পাদক শ্রী দুলাল চন্দ্র মজুমদারের সঞ্চালনায় ও সভাপতি শ্রী হেমেন্দ্র নাথ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের বাহুকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পরম বৈষ্ণব সমর কুমার মন্ডল।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সহ-সভাপতি নিমাই চন্দ্র সাহা, সুব্রত পাল (এস পাল), বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি জয় শংকর সাহা, সাধারণ সম্পাদক রনি কুমার মিত্র, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি বৈদ্য নাথ রায়, সাধারণ সম্পাদক অমৃত নারায়ন দে, বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সহ-সভাপতি অসিত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিল সাহা, কোষাধ্যক্ষ নিতাই সাহা প্রমূখ।

এসময় প্রভূপাদ রঞ্জন গোস্বামীর পরলোক গমন হেতু স্বরণ সভায় তার আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন ও দেশ ও সমাজের কল্যাণ ও শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।

সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জ শহরে ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৭’শতাধিক শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১ থেকে পৌনে ১২ টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন এলাকার  নিউ ঢাকা রোডের রেলগেট এলাকা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে ওই এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরমভাবে  জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন ও সদর আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মারুফ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

বিক্ষোভ রত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৮ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা প্রয়োগ করে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির আদেশ দেন।  এতে কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পেশাগত বৈষম্য আরও গভীর হয়েছে। এজন্য আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে।

তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো—- ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল; কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের দিয়েই কারিগরি পদে নিয়োগ; বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন; প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করতে সুযোগ দেয়া এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের যোগ্যতা হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নির্ধারণ।

সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির জানান, এত ছাত্রের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এই সড়ক অবরোধের বিষয়টি পূর্বে থেকে আমাদের জানা ছিল না। যে কারণে ওই সড়কে চলাচল কারীদের  দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। পরে আর্মি ক্যাম্পের একটি পেট্রোল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারত, শীর্ষ তিনসহ আরও যেসব দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:২৬ অপরাহ্ণ
বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারত, শীর্ষ তিনসহ আরও যেসব দেশ

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে ভারত। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত নিউজউইকের এক রিপোর্টে উঠে আসে এ তথ্য।

নিউজউইকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন ও জনমত জরিপের মিশ্রণ থেকে এই র‍্যাঙ্কিং তৈরি করা হয়েছে।

তালিকার সবচেয়ে ঘৃণিত দেশগুলোর মধ্যে দশম অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় উত্তেজনা, সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ নানা কারণে বিশ্বব্যাপী ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন। এরজন্য দেশটিতে কর্তৃত্ববাদী শাসন, ব্যাপক সেন্সরশিপ ও বিশ্বব্যাপী দূষণে ভূমিকার জন্য দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। চতুর্থ স্থানে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া।

গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েল রয়েছে এই তালিকার পঞ্চম স্থানে। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে জায়গা পেয়েছে পাকিস্তান, ইরান, ইরাকের মতো দেশগুলো। এছাড়াও, নবম-দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিরিয়া ও ভারত।