খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

ভারত কি হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ?

শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল, এখন কি হবে ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:২০ পূর্বাহ্ণ
শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল, এখন কি হবে ?

ছাত্র জনতার তিব্র আন্দোলনে দীর্ঘদিনের স্বৈর শাসনের অবসান ঘটে বাংলাদেশে। বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় শেখ হাসিনাকে। অবশ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার ৫০ দিন পূর্ণ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সম্প্রতি ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ন্যায়বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।

ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ভারতের ভিসার ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকলে ৪৫ দিন থাকা যায়। সেই ৪৫ দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এখন কি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত?

কী করতে পারে ভারত ?
ও পি জিন্দল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেছেন, ‘দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। ফলে তাতে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে অনুরোধ এলে তা ভারত খতিয়ে দেখবে। তার একটা প্রক্রিয়া আছে, তা চলতে থাকবে।’

তবে এই অনুরোধ করা হলেই যে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। ভারত তো কতদিন ধরে আর্থিক মামলায় অভিযুক্ত বিজয় মালিয়াকে চাইছে৷ কিন্তু এখনো তো বিজয় মালিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। ২০১৬ সালে মালিয়া ভারত ছেড়ে যুক্তরাজ্যে গেছেন। তারপর তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তারপর আইনি জটে এখনো মালিয়াকে ফেরত পায়নি ভারত।

শ্রীরাধা বলছেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ভারত এটাও মনে করে না, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নিরাপদে থাকতে পারবেন৷ তাই শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে ফেরত দেয়া হবে বলে আমার অন্তত মনে হয় না। আর তাকে ফেরত পাঠানোর কোনো নৈতিক বাধ্যবাধকতাও ভারতের নেই।’

সম্পর্কে বাধা হবে ?
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক সাবেক কূটনীতিক মনে করেন, শেখ হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না। তার মতে, দুইটি বিষয় এক করে দেখা উচিত নয়। দুইটি বিষয় আলাদা। বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশী দেশ। ফলে তার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার পেছনে দুই দেশের স্বার্থ হয়েছে।

দলাই লামার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তাকেও ভারত আশ্রয় দিয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আছেন। তারপরেও তো তার থাকা-না থাকার বিষয়টি আলোচনার ক্ষেত্রে বাধা হয়নি।

বর্তমান অবস্থা কি ?
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে৷ তার কাছে আর কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই।

সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আইপিএস অফিসার শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘টেকনিক্যালি বলা যেতে পারে, শেখ হাসিনা স্টেটলেস। তিনি ভারত থেকে বাইরের কোনো দেশে যেতে পারবেন না। কিন্তু ভারতে থাকার ক্ষেত্রে তার কোনো অসুবিধা নেই।’

ফলে তিনি কতদিন এখানে থাকবেন, তাকে বাংলাদেশের হাতে দেওয়া হবে বা হবে না, এটা শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এখন যা পরিস্থিতি তাতে প্রত্যর্পণের আবেদন করা হলেও শেখ হাসিনাকে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তারা অন্তত মনে করছেন না।

বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০২ অপরাহ্ণ
বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের দিকনির্দেশনায় বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সফরের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে, প্রক্রিয়াটি সহজ করার উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে।

গত ২৩ মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের জারি করা একটি পরিপত্র অনুযায়ী, কোনো বিদেশ সফরের অনুমতি নেওয়ার আগে কর্মকর্তাদের ওই সফরের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব সম্পর্কে আগে নিশ্চিত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারিভাবে বিদেশ সফরে কর্মকর্তাদের স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

এছাড়া, ঠিকাদার/ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জরুরী কারণ ব্যতীত মাননীয় উপদেষ্টা বা সিনিয়র সচিব/ সচিবদের একান্ত সচিব/ সহকারী একান্ত সচিবদেরও বিদেশ সফরে যাওয়া পরিহার করতে হবে।

ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক জুতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাটা সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের কয়েকটি আউটলেটে হামলার ঘটনাকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্যের ফল’ বলে দাবি করেছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাটা কোনো ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয় এবং চলমান ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের সঙ্গে তাদের কোনো রাজনৈতিক সংযোগ নেই।

বাটা জানায়, ‘বাটা গ্লোবালি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পারিবারিক প্রতিষ্ঠান, যার মূল সূচনা হয়েছিল চেক রিপাবলিকে। আমাদের কোনো রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু আউটলেটে যে ভাঙচুর হয়েছে, তা মিথ্যা তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঘটেছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আমরা সব ধরনের সহিংসতা দৃঢ়ভাবে নিন্দা করি।’

উল্লেখ্য, বাটা ১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সবসময় মানসম্মত পণ্য সরবরাহ এবং সব সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।’

তিনি বলেন, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। এতে কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোর লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে।

রিজওয়ানা বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অবস্থা আরো সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে।

উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ ক্ষতি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণবাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।