খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুঁকির শঙ্কা কমেছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫১ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুঁকির শঙ্কা কমেছে

বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতিতে সম্ভাব্য ঝুঁকির শঙ্কা অনেকটা কমে গেছে। এখন দেশটিকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে বৈদেশিক খাতে যথেষ্ট উন্নতি করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য সরকারকে কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্যে সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। ভর্তুকির হারও কমাতে হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

ঢাকা সফররত আইএমএফ মিশন এসব সুপারিশ করেছে। আইএমএফের ঢাকা মিশনের তৈরি একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছে।

মূল্যস্ফীতির হার কমাতে মুদ্রানীতিকে সংকোচনমুখী করার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপকে সময়োচিত পদক্ষেপ হিসাবে অভিহিত করে আইএমএফ বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল। একই সঙ্গে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানির এলসি মার্জিনের ওপর থেকে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়টিকেও ইতিবাচক হিসাবে দেখছে। এর আগে গত সরকারের সময়ে আইএমএফ আমদানিতে এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।

সংস্থাটি বলেছে, এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ার ফলে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এর মাধ্যমে ডলারের আয় বাড়াতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। ফলে তারা ডলার সংগ্রহে চেষ্টা করবে। ফলে আমদানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশই আমদানি নির্ভর। আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কঠিন হয়ে পড়বে।

গত সরকারের আমলেও মূল্যস্ফীতির হার কমাতে মুদ্রানীতি আরও কঠোর করার চাপ দিচ্ছিল আইএমএফ। কিন্তু সরকার তা করেনি। ফলে মূল্যস্ফীতির হারও কমেনি। এখন নতুন গভর্নর এসেই ঘোষণা দিয়েছেন মুদ্রানীতিকে আরও কঠোর করে মূল্যস্ফীতির হার কমানো হবে। এটিকে ইতিবাচক মনে করছে আইএমএফ। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই দফায় নীতি সুদের হার বাড়িয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর মধ্যেও প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তারা আমানত সংগ্রহে বেশি সুদ অফার করছে। এতে অনেক ব্যাংকে আমানত বাড়তে শুরু করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকটও কাটতে শুরু করেছে। দীর্ঘমেয়াদে এই নীতি ব্যাংক খাতের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

আইএমএফ বলেছে, সরকারকে খরচ কমাতে হবে। বিশেষ অপ্রয়োজনীয় খরচ কমালে সরকারের ঋণের বোঝা কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে। এতে সরকারের সুদের চাপ কমবে।

এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঝুকির শঙ্কা কমছে। আগের ঝুঁকির মাত্রা বেশি ছিল। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ এখন সঠিক পথে রয়েছে বলেও আইএমএফ মনে করে।

এদিকে বৃহস্পতিবার আইএমএফের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ সদস্য সব দেশের আর্থিক অবস্থাই উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আইএমএফ তাদের বর্ষ গণনা করে। এ হিসাবে গত বছরে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ নতুন ঋণ পেয়েছে ১১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বিভিন্ন উপকরণের বিপরীতে এসব ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে বাংলাদেশ একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করেছে ২৭ কোটি ২২ লাখ ডলার।

সূত্র জানায়, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এর পরিমাণ আরও ৩০০ কোটি ডলার বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। আইএমএফ এতে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েও চলমান মিশন আলোচনা করছে।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সাথে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। সড়ক ও পরিবহণ খাতে আগে একদল দুর্নীতি করত এখন অন্যদল করছে। এটা খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী এ সংলাপে সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও পরিবহণ সেক্টরের অংশীদারজনও উপস্থিত ছিলেন।

এ-সময় নাহিদ বলেন, বুয়েটের একজন মারা গেল। একটা ধারণা যে সমাজের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিচার হয় না, জবাবদিহিতা হয় না। এখানে সাধারণ মানুষদের জীবনটাই আসলে যায়। এই চিত্র আমাদের সমাজে আছে। এটার পরিবর্তন দরকার। সবাইক বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উন্নয়ন নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে মানুষ মারা গেলে সেটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কারণ এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ মারা যেতে পারে৷ এখানে ব্যবস্থাপনাতেই সমস্যা রয়েছে। যে ধরনের প্রতিষ্ঠান সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই তৈরি হয়নি।

পরিবহণ সেক্টরের দুর্নীতি চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল আবার এখন আরেক দল রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কর্মীরাই এগুলোত জড়িত।

জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ অন্যান্যরা।

অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ এবার শিক্ষার্থীদের ওপরও লাগছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের শনাক্তে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্তও যাচাইয়ের বিষয়টিও আছে নির্দেশনাতে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (এমসিডি) জারি করা ওই নির্দেশনাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিবের (গৃহ বিভাগ) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর এমসিডি একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করে। এতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে স্কুলে তাদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্ম সনদ না দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া কোনও অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমসিডি তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং সঠিক পরিচয় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনারও নির্দেশ দিয়েছে।

এমনকি যেসব জায়গায় এই অভিবাসীরা অন্যের জমি বা জায়গা দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য তাদের নিজস্ব রেকর্ড রাখে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে অল ইন্ডিয়া সার্ভে ফর হায়ার এডুকেশনের ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আগে নয়া দিল্লিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতেও পুলিশ অভিযানে নেমেছিল।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর কয়েকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

এরপর তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে গত নভেম্বরে হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর। তার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। অন্যদিকে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ বাংলাদেশেও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।