খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুঁকির শঙ্কা কমেছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫১ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুঁকির শঙ্কা কমেছে

বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতিতে সম্ভাব্য ঝুঁকির শঙ্কা অনেকটা কমে গেছে। এখন দেশটিকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে বৈদেশিক খাতে যথেষ্ট উন্নতি করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য সরকারকে কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্যে সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। ভর্তুকির হারও কমাতে হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

ঢাকা সফররত আইএমএফ মিশন এসব সুপারিশ করেছে। আইএমএফের ঢাকা মিশনের তৈরি একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছে।

মূল্যস্ফীতির হার কমাতে মুদ্রানীতিকে সংকোচনমুখী করার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপকে সময়োচিত পদক্ষেপ হিসাবে অভিহিত করে আইএমএফ বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল। একই সঙ্গে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানির এলসি মার্জিনের ওপর থেকে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়টিকেও ইতিবাচক হিসাবে দেখছে। এর আগে গত সরকারের সময়ে আইএমএফ আমদানিতে এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।

সংস্থাটি বলেছে, এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ার ফলে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এর মাধ্যমে ডলারের আয় বাড়াতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। ফলে তারা ডলার সংগ্রহে চেষ্টা করবে। ফলে আমদানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশই আমদানি নির্ভর। আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কঠিন হয়ে পড়বে।

গত সরকারের আমলেও মূল্যস্ফীতির হার কমাতে মুদ্রানীতি আরও কঠোর করার চাপ দিচ্ছিল আইএমএফ। কিন্তু সরকার তা করেনি। ফলে মূল্যস্ফীতির হারও কমেনি। এখন নতুন গভর্নর এসেই ঘোষণা দিয়েছেন মুদ্রানীতিকে আরও কঠোর করে মূল্যস্ফীতির হার কমানো হবে। এটিকে ইতিবাচক মনে করছে আইএমএফ। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই দফায় নীতি সুদের হার বাড়িয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর মধ্যেও প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তারা আমানত সংগ্রহে বেশি সুদ অফার করছে। এতে অনেক ব্যাংকে আমানত বাড়তে শুরু করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকটও কাটতে শুরু করেছে। দীর্ঘমেয়াদে এই নীতি ব্যাংক খাতের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

আইএমএফ বলেছে, সরকারকে খরচ কমাতে হবে। বিশেষ অপ্রয়োজনীয় খরচ কমালে সরকারের ঋণের বোঝা কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে। এতে সরকারের সুদের চাপ কমবে।

এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঝুকির শঙ্কা কমছে। আগের ঝুঁকির মাত্রা বেশি ছিল। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ এখন সঠিক পথে রয়েছে বলেও আইএমএফ মনে করে।

এদিকে বৃহস্পতিবার আইএমএফের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ সদস্য সব দেশের আর্থিক অবস্থাই উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আইএমএফ তাদের বর্ষ গণনা করে। এ হিসাবে গত বছরে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ নতুন ঋণ পেয়েছে ১১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বিভিন্ন উপকরণের বিপরীতে এসব ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে বাংলাদেশ একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করেছে ২৭ কোটি ২২ লাখ ডলার।

সূত্র জানায়, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এর পরিমাণ আরও ৩০০ কোটি ডলার বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। আইএমএফ এতে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েও চলমান মিশন আলোচনা করছে।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২৭ অপরাহ্ণ
১

শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফ্রী মেডিক্যাল সেবা অনুষ্ঠিত

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪৪ অপরাহ্ণ
শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফ্রী মেডিক্যাল সেবা অনুষ্ঠিত

দাওয়াতি পক্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফ্রী মেডিক্যাল সেবা ও রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রিদম ব্লাড সেন্টার ও ডিফেন্স হেলথ কেয়ারের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত মেডিক্যাল সেবায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সম্মানিত সভাপতি মাওলানা মোঃ মহিব্বুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সহঃ সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম।

উপস্থিত ছিলেন থানা সভাপতি মোঃ নাজিবুর রহমান, সহঃ সভাপতি মোঃ ইলিয়াস মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন এবং রিদম ব্লাড সেন্টার ও ডিফেন্স হেলথ কেয়ারের কর্মকর্তা বৃন্দ।

দিনব্যাপী এদিনের মেডিক্যাল সেবায় দরিদ্র ও মেহনতি মানুষকে বিনামূল্যে ডাক্তারী পরামর্শ, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষার সুবিধা প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন আপামর মেহনতি মানুষের সংগঠন। প্রতি সপ্তাহে একদিন এ মেডিক্যাল সেবা প্রদান করা হবে ইনশাআল্লাহ। দেশের ৮০ ভাগ মানুষ শ্রমজীবী। তাদের শ্রমে দেশের অর্থনীতি আজ বিশ্ববাজারে উন্নতির রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। ৭১ এর স্বাধীনতা ও ২৪ এর গণ বিপ্লবে শ্রমিক জনতা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু তাদের প্রাপ্য অধিকার এখনো পায়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি শ্রমিকদের সকল ন্যায্য দাবী পূরন, স্বাস্থ্য সেবা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকরন, বার্ধক্য ও কর্মক্ষমতাহীন শ্রমিকদের তালিকা করে সরকারি সুবিধা প্রদানের দাবী জানান। আগামীতে শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাথে থাকতে উপস্থিত জনতাকে আহ্বান জানান।

আ’লীগের মিছিল প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলেই ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৩০ অপরাহ্ণ
আ’লীগের মিছিল প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলেই ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের মিছিল প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে বিভিন্ন থানার কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বেলা ১১টা ১০মিনিট নাগাদ রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান তিনি।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু মিছিল হয়েছে, এটার ভেতর কারো কোনো সন্দেহ নাই। মিছিলটা যাতে ভবিষ্যতে না হতে পারে সে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি তারা এটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের অরগানাইজ করতেই দেখেন কত কষ্ট হয়। সেখানে পুরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে যে কি পরিমান কষ্ট তা আপনারাও বুঝতে পারবেন। তবে আমরা চেষ্টা করতেছি যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে যায়।’

এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন চারটি থানা পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। এগুলো হলো, বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ ও উত্তরা পূর্ব থানা।