আগস্ট পর্যন্ত ইআরডির হিসাব
বেড়েই চলেছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
নেতিনাচক হারে কমছে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড়ের পরিমাণ। বিপরীত দিকে বেড়েই চলেছে ঋণ পরিশোধের চাপ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) আগস্ট পর্যন্ত করা এক প্রতিবেদনের এসব তথ্য জানা গেছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত আগস্ট মাস পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৫৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসল রয়েছে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার এবং সুদ হচ্ছে ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি ৫ লাখ ডলার।
এর মধ্যে আসল ২৫ কোটি ৪১ লাখ এবং সুদ ১৪ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। তুলনামূলকভাবে এই আগস্ট মাসে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে প্রায় ১৮ কোটি ডলার। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, এখন বেশ কিছু বড় বড় ঋণের রেয়াতকাল শেষ হয়েগেছে। ফলে পরিশোধের চাপ বেড়েছে। আগামী বছরগুলোতে এই পরিশোধের চাপ আরও বাড়বে।
ইআরডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্ট মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এর মধ্যে কোনো ঋণ নেই। আছে শুধু অনুদান। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতি এসেছিল ১১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ১০ কোটি ৯০ লাখ এবং অনুদান ছিল ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ডলার।
এদিকে গত আগস্ট মাসে কমেছে অর্থছাড়ের পরিমাণও। উন্নয়ন সহযোগীরা বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে ছাড় করেছে ৪৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ৩৮ কোটি ৬৯ লাখ এবং অনুদান ৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ৭৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ থেকে ছাড় হয় ৭২ কোটি ৭২ লাখ ডলার আর অনুদান ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ডলার।
এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। সেই সঙ্গে আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উন্নয়ন সহযোগীরাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল। ফলে ওই সময়ে অর্থছাড় কম হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন