খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

পঞ্চগড়ের শিশুকন্যা প্রমির ভারত প্রবেশ ঘটনায় ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০০ অপরাহ্ণ
পঞ্চগড়ের শিশুকন্যা প্রমির ভারত প্রবেশ ঘটনায় ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার

সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে নেমেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী উগ্রবাদী ভারত। এইবার পঞ্চগড়ের শিশু কন্যা প্রমির ভারত প্রবেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ব্যাপক মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে প্রমির মা-বাবা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

প্রমির বাবা-মা বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রমি ‘পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন ধরে প্রমি চোখের রোগে ভুগছে, ওর চোখের অসুখ, চিকিৎসার জন্য কয়েকবার ভিসার জন্য চেষ্টা করেছি, পায়নি। মেয়ে কি বুঝেছে জানি না, ভিসা না পেয়ে চিকিৎসার জন্য সে এক আত্মীয় ঠিকানা ধরে ভারত প্রবেশ করেছে।অথচ ভরতীয় মিডিয়ায় কি সব উল্টোপাল্টা সংবাদ প্রকাশ করে অস্থির করে ফেলছে।’

প্রিয়ন্তী রায় প্রমি গত ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভারতের উত্তর দিনাজপুরের ফতেপুর বিওপি হয়ে ভারত প্রবেশকালে ফতেপুর বিওপি জোয়ানদের হাতে আটক হয়। পরে বিএস এফ জোয়ানরা তাকে ভারতের চোপড়া থানায় হস্তান্তর করে। পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কোচবিহারের শহীদ বর্ধনা স্মৃতি শিশুকন্যা আবাসন হোমে পাঠায়। এই শিশু মেয়ের বাড়ি পঞ্চগড় পৌরসভার উত্তর জালাসীপাড়া গ্রামে। প্রমি পঞ্চগড় শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত কণ্ঠশিল্পীও বটে।

অথচ এই ঘটনায় রঙ্গ চটিয়ে ভারত মিডিয়া প্রচার করা হয়েছে। ‘অর্পিতা দাম (যদিও তার নাম প্রিয়ন্তী রায় প্রমি) ইসকন ভক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারের ভয়ে চলে আসে। বাবা ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি। বর্তমানে প্যারালাইজড-মা খুবই অসুস্থ্, তারা আসতে পারবেনা। বাংলাদেশ তাদের জন্য নিরাপদ নয়, তাই মেয়েকে নিরাপদ রাখতে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।’

অথচ ভারতে প্রচার হওয়া ভিডিও ক্লিপে প্রমির শারীরিক ভাষায় কোন প্রকার অভিযোগের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

তবে নাবালিকা প্রমির ভারতীয় আত্মীয় (দাদু) অরানন্দ অধিকারী ভিডিওতে বলতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে তাদের হুমকি দিচ্ছে, বাড়ি থেকে চলে যেতে বলছে, মেয়েদের টর্চার করছে, অপহরণ করবে। প্রাণভয়ে চলে আসছে। বাবা মায়ের সামনে যদি মেয়েকে টেনে নিয়ে যায়, তাহলে ওরা সেখানে থাকে কি করে। দুঃখে চলে আসছে ইত্যাকার।’ এ ধরনের মিথ্যাচারে পঞ্চগড়ের সর্বত্র প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের সাংবাদিকদের প্রতি ঘৃণার স্রোত বইছে।

ভারতে আটক অর্পিতা (প্রিয়ন্তী রায় প্রমি) র বাবা জয়দেব চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা এখানে হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে বসবাস করছি। কোন সমস্যা নাই। আমরা ইসকন ভক্তও না। আমরা সনাতনী। ভারতীয় মিডিয়া যা প্রচার করছে, তা সম্পন্ন কাল্পনিক। আমরা পঞ্চগড় তথা বাংলাদেশ শান্তিতে রয়েছি, ভালো আছি। ভারতীয় গণমাধ্যম এর মিথ্যা প্রচারনার নিন্দা জানাচ্ছি।’ প্রমির মা অনুরাধা রানী বলেন, ‘ভারতের সাংবাদিকরা আমার মেয়ের চরম ক্ষতি করলো।’

পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শারদীয় দুর্গাপূজা মন্ডপ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী মনোরঞ্জন বনিক বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া যা প্রচার করছে তা মিথ্যা, বানোয়াট।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সি জানান, ‘ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারনা চরম অপ- প্রচার। খবর পেয়ে মেয়ের বাসায় গিয়ে খবর নেওয়া হয়েছে। তার বাবা-মা সম্পুর্ণ সুস্থ, তারা ইসকন ভক্তও না। মুলত প্রমি অসুস্থ, ভিসা ছাড়া চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে আটক হয়েছে।’

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।