খুঁজুন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২ চৈত্র, ১৪৩১

জ্বালানি-এনবিআর-ব্যাংক সংস্কারে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক-আইএফসি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৫১ অপরাহ্ণ
জ্বালানি-এনবিআর-ব্যাংক সংস্কারে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক-আইএফসি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), জ্বালানি খাত ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে বিশ্বব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংক এবং আইএফসির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ বিশ্বব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের প্রতিনিধিরা আসছিলেন। বিশ্বব্যাংক কী কী কাজে সহায়তা দেবে- এর আগেও আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের আর্থিক খাত ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কারের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

আইএফসির বিনিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা কীভাবে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ করবে এসব বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছি। কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আগামী অক্টোবরে আমি যখন তাদের সভায় যাবো তখন এসব বিষয় নিয়ে আবার আলোচনা হবে।’

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মোট কথা তারা আমাদের সব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তবে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে, কিছু শর্ত আছে সেগুলো আমাদের পালন করতে হবে।’

কোন কোন খাতে তারা সহায়তা দেবে সে বিষয়ে কি কিছু জানিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা তো আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। ব্যাংকিং খাত ও এনবিআর সংস্কারের ক্ষেত্রে। এছাড়া এনার্জি (জ্বালানি) খাতেও কিছু আছে। সার্বিকভাবে আমাদের আর্থিক উন্নয়ন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তারা সহায়তা করবে।’

কী পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অ্যামাউন্টের বিষয়ে এখন আমি বলবো না। প্রত্যেকটা ডোনার এবং অন্যান্য ডোনার কী দেবে সেটা জেনে পরে আপনাদের জানানো হবে। যথাসময়ে জানাবো কোন ডোনার কী দিয়েছে, তবে এখন না।’

হাইকোর্টের রায়ের পর যা বললেন আবরার ফাহাদের বাবা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১:১৬ অপরাহ্ণ
হাইকোর্টের রায়ের পর যা বললেন আবরার ফাহাদের বাবা

বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবনের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট। এখন সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।’

রোববার (১৬ মার্চ) রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

এদিন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামিরই সাজা বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৫ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী,সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।

আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু। রায়ের পর আসামীপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তারা সংক্ষুব্ধ, ন্যায় বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা, নিহত ২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১:১০ অপরাহ্ণ
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা, নিহত ২৩

ইয়েমেনের হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রোববার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা নিয়ে ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার পরই ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের অবস্থান লক্ষ্য করে স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, লোহিত সাগরের জাহাজগুলোতে হামলার ঘটনা ঘটলে ‘নরক নেমে আসবে’।

মার্কিন হামলার পর ইয়েমেনে প্রাণহানির সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৯ বলে জানানো হয়েছিলো। তবে হুতিদের সহযোগী আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, ইয়েমেনের সাদায় মার্কিন হামলায় নিহতের সংখ্যা ছয় থেকে বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার শিশু এবং একজন নারী রয়েছেন। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া দেশটির রাজধানী সানায় আরও ১৩ জন নিহত হয়েছেন। সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গাজায় ৩ সাংবাদিকসহ নিহত অন্তত ১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১:০৭ অপরাহ্ণ
ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গাজায় ৩ সাংবাদিকসহ নিহত অন্তত ১২

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বর্বর ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ সাংবাদিক ও বেশ কয়েকজন সহায়তা কর্মী রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই গাজায় হামলা চালাচ্ছে এবং সম্প্রতি এসব হামলা আরও জোরদার হয়েছে। এসব হামলায় ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। রোববার (১৬ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার উত্তর বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই সাহায্য কর্মী। এছাড়া জুহোর আদ-ডিকের কেন্দ্রীয় শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে বেইত লাহিয়ায় আরও এক ফিলিস্তিনি বালককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

একই হামলায় আরেক মহিলার পিঠে গুলি লেগেছে, অন্যদিকে রাফাহ শহরের পশ্চিমে তাল আস-সুলতান এলাকায় আরেকজন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। রাফাহর উত্তর-পশ্চিমে আল-শাকুশ এলাকায় আল-কান পরিবারের একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার থেকে ড্রোন বোমা নিক্ষেপের পর আরও আটজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে নয়জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবারের হামলাটি সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদের সাথে থাকা একটি ত্রাণ দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন স্থানীয় সাংবাদিক রয়েছেন।

দ্য প্যালেস্টানিয়ান জার্নালিস্ট প্রোটেকশান সেন্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “নিহত ওই সাংবাদিকরা ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টার কর্মকাণ্ড নথিভুক্ত করছিলেন”।

একইসঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে গাজা যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

মূলত ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। এই পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির জন্য আলোচনা করা।