বন্দরে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা: নৌ-উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরগুলোতে ব্যবসায়ীদের অহেতুক হয়রানি করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌপরিবহণ এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেছেন, কোথাও কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বন্দরে কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো দুর্নীতি-অনিয়ম হলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার সচিবালয়ে ইউরোপ-বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইবিএফসিআই) প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি দল বিভিন্ন বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ করেন।
উপদেষ্টা জানান, বর্তমান সরকার অত্যন্ত বিনিয়োগবান্ধব। সরকার যেকোনো সেক্টরে বৈদেশিক বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকার কাজ করছে। রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখানে বিনিয়োগ সহজ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কাঠামোগত ও আইনগত সংস্কার করা হবে।
আগত ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের বিষয়ে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, পাট, বস্ত্র ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করা হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থায় কোনোরূপ অনিয়ম, ঘুস দুর্নীতি ও হয়রানির সুযোগ থাকবে না।
ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে যিনি আছেন তিনি শুধু একজন নোবেল লরেটই নন, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিত্ব। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামোসহ অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় আমরা বাংলাদেশে পাট, বস্ত্র ও জাহাজ শিল্পে অর্থ লগ্নি করতে আগ্রহী।
ইউরোপ-বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইবিএফসিআই) ২৬ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি ড. ওয়ালি তছার উদ্দিন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন