খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি

কোটা বৈষম্যের জন্য সংরক্ষিত ৬৭২টি শূন্য ক্যাডার পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের থেকে মেধার ভিত্তিতে নির্বাহী আদেশে সুপারিশ করার দাবি জানিয়েছে ৩৪তম বিসিএস কোটা বৈষম্যের শিকার ক্যাডার বঞ্চিত ফোরাম।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটর (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের আহ্বায়ক ডা. তফিজুল ইসলাম লিখিত বক্তৃতায় বলেন, আমরা ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ক্যাডার পদ বঞ্চিত প্রার্থী। আমরা সরাসরি কোটা বৈষম্যের শিকার।

তিনি বলেন, পিএসসি কর্তৃক ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আমরা ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় নিয়েছি। ৩৪তম বিসিএস-এর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে অংশ নিয়ে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।

বঞ্চিত ফোরামের আহ্বায়ক বলেন, এরপর ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট ৩৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ সব ধাপে কৃতকার্য ৮৭৬৩ জন প্রার্থী থেকে পিএসসি ২১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে সুপারিশ করে। অবশিষ্ট ৬৫৮৪ জন প্রার্থী কৃতকার্য হওয়ার পরেও ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়নি। অথচ ৩৫টি ক্যাডার পদে কোটার জন্য ৬৭২টি পদ সংরক্ষণ পূর্বক শূন্য রাখা হয়। এই পদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করছি।

তিনি আরও বলেন, ৩৪তম বিসিএসের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি এবং চূড়ান্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিসিএস সাধারণ ক্যাডার পদে ৫টি, প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডার পদে ১১১টি (সহকারী সার্জন ৭৪, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৩, ভেটেরিনারি সার্জন ১৪টি), সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ২৮৮টি সহ প্রায় ৩৫টি ক্যাডার পদে ৬৭২টি পদ শূন্য রাখা হয়।

৩৪তম বিসিএসের পূর্বের ৩৩তম এবং পরবর্তী ৩৫তম, ৩৬তম এবং ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে কোনো ধরনের কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি এবং কোটার শূন্য পদে উত্তীর্ণ প্রার্থী থেকে মেধা অনুযায়ী পূরণ করা হয়।

তাই ৩৪তম বিসিএস এ ক্যাডারে কোটা সংরক্ষণ করা অত্যন্ত বৈষম্যমূলক। এর প্রেক্ষিতে আমরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, পিএসসি-এর চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্মারকলিপি দিয়েছি এবং মাঠ পর্যায়ে প্রতিবাদ ও আন্দোলন চলমান রাখা হয়। আমাদের আন্দোলনের ফলে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ৩৪তম বিসিএস-এর প্রাধিকার কোটায় সংরক্ষণ নীতি শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু ৬৭২টি শূন্য পদ ৩৫তম থেকে পূরণের আদেশ দেওয়া হয়। যা সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক, অমানবিক, বৈষম্যমূলক এবং তৎকালীন সরকারের স্বৈরাচারী চিন্তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন। অথচ, ৬৭২টি শূন্য ক্যাডার পদের বিপরীতে পর্যাপ্ত সংখ্যাক প্রার্থী মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ রয়েছে। তাই আমরা এই বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক আদেশটি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।

ডা. তফিজুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা ৩৪তম বিসিএসের কোটা বৈষম্যের শিকার প্রার্থীরাই ২০১৩ ও ২০১৫ সালে শাহবাগে প্রথম এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তীব্রভাবে সংগঠিত হয়। এ আন্দোলনের মূলভিত্তি ছিল, কোটা প্রথার বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং পরবর্তীতে তা ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। বর্তমান সরকার বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের দাবিসমূহ হলো-
১. নির্বাহী আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক আদেশটি বাতিল করা।

২. নির্বাহী আদেশে ৩৪তম বিসিএস-এ কোটার জন্য সংরক্ষিত ৬৭২টি শূন্য ক্যাডার পদে বৈষম্যের শিকার উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে সুপারিশের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলাম রাশেদ, তমা রানি পাল, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জনি, নির্বাহী সদস্য রায়হান আহমেদ, আবু জুবায়ের, জামিনুর রহমান প্রমুখ।

জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য হলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য হলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির নতুন সদস্য হয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত সফল ইউপি চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কাদের শেখ।

এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তার নিজ ইউনিয়ন কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নাবসীসহ সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে উচ্ছ্বাস। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আব্দুল কাদের চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জেলা, সদর, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।

গত (২৬ এপ্রিল শনিবার) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতির মাধ্যমে আলহাজ্ব আব্দুল কাদেরসহ ৫জনকে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়।

মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ও সংগ্রামে সিরাজগঞ্জে যে ক’জন নেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের একজন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাদের শেখ। সিরাজগঞ্জের রাজনীতির ইতিহাসে সৎ ও ক্লিন ইমেজের যে কয়েকজন নেতার নাম বলতে গেলে যার নামটিও উঠে আসে সবার আগে তিনি হচ্ছেন আব্দুল কাদের চেয়ারম্যান।

আওয়ামী দুঃশাসনে নেতাকর্মীদের বিপদ আপদে পাশে থেকে, তাদের পরিবারের খোঁজ নেয়া, মামলায় বিপর্যস্ত নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা হয়েছেন তিনি। এমনকি বিগত আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বিস্ফোরক, হত্যা, ট্রেনে অগ্নিসংযোগসহ প্রায় ৩০টি মামলার আসামী হয়েছেন তিনি। চারবার গ্রেপ্তার হয়ে এক বছরের অধিক সময় কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে। তবুও জেল জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচারিত হওয়ার পরেও দলীয় কর্মকান্ড থেকে পিছুপা হননি আব্দুল কাদের শেখ। কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ বা আতাঁত করেননি।  স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন, সৎ ও ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ আব্দুল কাদের শেখ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য হয়েছেন বলে মনে করছেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।      

এ বিষয়ে আলহাজ্ব আব্দুল কাদের শেখ বলেন, দলের দায়িত্বপ্রাপ্তির আনন্দ আছে। আমরা সবসময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছি। এই স্বীকৃতি দলের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামীতে নিজেকে এই দেশ, সমাজ ও মানুষের প্রতি নিবেদিত থেকে দলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত আছি।

পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারম্যান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির অভিভাবক, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের দিক-নিদের্শনা মোতাবেক সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো ইনশাল্লাহ। একই সঙ্গে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত যুগান্তকারী ৩১ দফার বার্তা সিরাজগঞ্জের প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে ও পাড়া-মহল্লার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।#

শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে আলাপ হয়েছিল। ভারতে থেকে হাসিনার বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বে হাসিনার চুপ থাকার বিষয়ে নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আল জাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা জানান।

ওই সাক্ষাৎকারে সংস্কার, নির্বাচন, চীন প্রসঙ্গ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ডোনাল্ড ট্রাম্প, হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান- শেখ হাসিনা দাবি করছেন, তিনি এখনো বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতে বসে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার ভারতে তার উপস্থিতিকে কীভাবে দেখছে?

জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ছিলেন। মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। মোদীকে স্পষ্টভাবে বলে বলেছি, যখন তিনি (হাসিনা) সেখানে আছেন, তখন যেন কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দেন। কারণ এটি আমাদের দেশে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি (হাসিনা) বাংলাদেশের মানুষকে উসকে দেওয়ার জন্য বক্তব্য দিচ্ছেন, আর তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী মোদী কী বলেছিলেন। উত্তরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যদি ঠিকঠাক মনে করতে পারি, তিনি বলেছিলেন, ‘এটা (ভারত) এমন একটি দেশ, যেখানে সামাজিকমাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত, আমি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ’

প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মনে করেন কি না, ভারত শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় দিচ্ছে, যেন দেশে ফিরে তাকে ন্যায়বিচারের সম্মুখীন না হতে হয়। তিনি ভারতের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন কি না?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জানান, বাংলাদেশ এরইমধ্যে ভারত সরকারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে। কিন্তু তারা এখনো কোনো উত্তর দেয়নি। যখন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন আদালত তাকে নোটিশ পাঠাবে এবং তখন দেখা যাবে কীভাবে তাকে ফিরিয়ে আনা যায়।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতেই আছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ শেষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৩টায় তিনি দেশে পৌঁছান।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।

কাতারের দোহায় আর্থানা সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে ২১ এপ্রিল তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। দোহায় চারদিনের সফর শেষে তিনি পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগদানের উদ্দেশে ইতালিতে যান।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের শেষকৃত্যে যোগদান শেষে রবিবার (২৭ এপ্রিল) ইতালির রোম থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে সোমবার ভোরে দেশে ফেরেন।