খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:১১ অপরাহ্ণ
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এই দাবি জানান।

হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখা আয়োজনে নগরের হাজারী লেনে সংঘটিত ঘটনার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

সমাবেশে হাজারী লেনে ওসমান আলী নামের এক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা এবং যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা ও অ্যাসিড নিক্ষেপের নিন্দা জানান বক্তারা। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। ইসকন নিষিদ্ধ করা না হলে হেফাজতের পক্ষ থেকে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান বক্তারা।

হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল আন্দরকিল্লা থেকে এসে নগরের জামাল খান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। ওই সময় পুলিশ সদস্যরা কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। চট্টগ্রাম মহানগর হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক মাওলানা তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হেফাজত নেতা মাওলানা নুরনবী, আনোয়ার হোসাইনি, সালাউদ্দিন, আশরাফ বিন ইয়াকুব, মো. শহীদ, মো. রব্বানী প্রমুখ।

এদিকে ইসকনের নেতারা শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, হাজারী লেনের ঘটনায় তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এর আগে বুধবার গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে একই দাবি করেন তারা।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার নগরীর হাজারী লেনের ওসমান আলী নামের এক ব্যবসায়ীর দেওয়া ইসকনবিরোধী ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সংঘর্ষ হয়। প্রায় ৬০০ ব্যক্তি হাজারী লেনে অবস্থিত ওসমান ও তার ভাইয়ের দোকানে আগুন দিতে আসে। এসময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ছয়টি টহল দল সেখানে পৌঁছে তাদের দুই ভাইকে উদ্ধার করে। এরপর কিছু ব্যক্তি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তারা যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর জুয়েলারি কাজে ব্যবহৃত অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এতে সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যসহ পুলিশের ১২ সদস্য আহত হন। ওই আক্রমণাত্মক ব্যক্তিদের কিছু অংশ ইট ছুড়ে সেনাবাহিনীর একটি পিকআপ ভ্যানের উইন্ডশিল্ড ভেঙে ফেলে।

পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে যৌথ বাহিনীর ১০টি টহল দল হাজারী লেন গেলে একদল ব্যক্তি তাদের ওপর অ্যাসিড ছুড়তে শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে ও নিজেদের রক্ষার্থে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা করে ৮২ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

একই দিন ফেসবুকে পোস্ট শেয়ারকারী ওসমান আলীকেও ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পাইকগাছায় জোরপূর্বক জমির ধান কেঁটে নেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:০৪ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় জোরপূর্বক জমির ধান কেঁটে নেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

খুলনার পাইকগাছায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমির ধান জোরপূর্বক কেঁটে নেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর মামাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১ টায় পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জমির মালিক দাবীদার সুদীপ্ত কুমার বর্মন (সঞ্জয়), মোঃ হুমায়ুন কবির সরদার, মোঃ হারুন অর রশিদ, ভবসিন্ধু ঘোরামীসহ বর্গাদার হিরন্মময় মন্ডল, বিধান বর্মন ও কৃষ্ণপদ বর্মনসহ অনেকে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা বলেন, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহায় কৃষক শ্রেণীর লোক। তাদের গড়ইখালী ইউনিয়নের কুমখালী মৌজার ৩২ বিঘা জমি রয়েছে। যা ২০১৮ সালে নিশি রাতের ভোটার বিহীন নির্বাচনে আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি থাকাকালীন সময়ে তার মামা আয়ুব খান, আবুল কালাম নুনুরা স্বৈরাচারী আওয়ামী বাহিনী ভয়ভীতি ও হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে জবর দখল করে নেয়।

২০২৪ সালের ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর তারা জমি পুনরুদ্দখল করে আমন ধান চাষ করে। সেই পাকা ধান কেঁটে নেয়ার জন্য আয়ুব খান ও আবুল কালাম আজাদ (নুনু)গং চক্রান্ত করছে।

এ সময় বক্তারা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন এই মুহূর্তে পাকা ধান কটতে না করলে তাদের অপূরনীয় ক্ষতি হতে পারে। অভাবী অসহায় মানুষ না খেয়ে ঋণের জালে জর্জরিত হবে।

মৃত্যুর আগে ছেলে হত্যার বিচারের আশায় বাবা-মা

এক যুগেও শেষ হয়নি বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০৪ অপরাহ্ণ
এক যুগেও শেষ হয়নি বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার

এখন থেকে ১২ বছর আগে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে প্রকাশ্য দিবালকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দর্জি ব্যবসায়ী বিশ্বজিত দাসকে। শিবির সন্দেহে সশস্ত্রভাবে শত শত মানুষ, পুলিশ, সাংবাদিক সকলের সামনেই ঘটে সেই নারকীয় হত্যাকান্ড। হত্যাকারীরা ছিলেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিতর্কিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ওই সময়ে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডটি গোটা দেশকে আলোড়িত করলেও, আজ পর্যন্ত তার হত্যার বিচার কার্যকর হয়নি। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন বিশ্বজিতের পরিবার।

নিহত বিশ্বজিতের বাবা-মায়ের আকুতি, অন্তত মৃত্যুর আগে সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চান নিজেদের চোখে। এতেই অন্তত কিছুটা স্বস্তি পাবেন তারা।

আমরা খোঁজ নিতে গেলে দেখতে পায়, ঘরে থাকা ছেলের ছবির দিকে অপলকভাবে তাকিয়ে আছেন মা কল্পনা দাস। কিছুক্ষণ পর ছেলের একটি ছবি নিয়ে পরম যত্নে আঁচল দিয়ে পরিষ্কার করছেন। আর ছেলের কথা মনে পড়তেই ফুপিয়ে কেঁদে উঠছেন তিনি। তার কান্নার শব্দ পেয়ে কেঁদে উঠছেন বাবা অনন্ত দাসও। কারণ ছবির মতোই মানুষটাও যে এখন শুধুই স্মৃতি। তবুও ছেলের জন্য দীর্ঘ একযুগ ধরে নীরবে চোখের জল ফেলে চলেছেন মা কল্পনা দাস ও তার পরিবার।

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের মশুরা গ্রামের অনন্ত দাস ও কল্পনা দাসের ছোট ছেলে বিশ্বজিৎ দাস। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ শান্ত স্বভাবের ছিলো সে। পড়ালেখায় মন বসতো না বিশ্বজিতের। তাই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ততোটা ভালো না হওয়ায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ছোটবেলা থেকে ঢাকার শাঁখারী বাজারে বড় ভাইয়ের দোকানে দর্জির কাজ শিখেছিলেন বিশ্বজিৎ। এরপর ভাইয়ের পাশাপাশি নিজেও ধরেছিলেন সংসারের হাল। অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকলেও মা-বাবাকে দেখতে প্রায়ই বাড়ি আসতেন। তবে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে শিবির সন্দেহে ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে। আর সেই থেকেই গ্রামে বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে যাওয়া চিরতরে থমকে গিয়েছে বিশ্বজিতের।

হতাশা প্রকাশ করে বিশ্বজিৎ দাসের বড় ভাই উত্তম দাস বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে মামলার অগ্রগতি জানি না। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ভাইকে হত্যা করলেও, আওয়ামী লীগ সরকার তার বিচার করেনি। এখন তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই, আমাদের আশা এখন নতুন সরকারের কাছে। এই হত্যার যেন সঠিক বিচার করা হয়।’

একযুগ আগে ছোট ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে উত্তম দাস বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা কোন ক্ষতিপূরন চাই না, আমরা শুধু ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। টাকা দিয়ে কি করবো ? যা দুই টাকা আয় করি- কোনরকম ডালভাত খেয়ে বেঁচে থাকলেই আমরা খুশি।’

বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী সরাসরি জড়িতরা হলো তৎকালীন আওয়ামিলীগের সরকার দলীয় ছাত্রলীগ। তাদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মীর নূরে আলম লিমন, শাকিলসহ বেশ কয়েকজনের নাম স্পষ্টভাবে জানা যায়। আ’লীগের আমলে নানান গুরুতর অপরাধ সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জেরে সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে ছাত্রলীগ। কিন্তু শেষ হয়নি বিশ্বজিতের বিচার।

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার পর ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৮ আসামির মধ্যে ৬ জনই সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। আর দুই জনের ফাঁসির আদেশ হলেও তা কার্যকর হয়নি দীর্ঘ ১২ বছরে। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী ওই হত্যাকান্ডে আরও কিছু আসামি থাকলেও সবাইকে মামলার চার্জশিটে আনা হয়নি।

ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নাভেজা চোখে বিশ্বজিৎ দাসের মা কল্পনা দাস বলেন, ‘আমার বিশ্ব (বিশ্বজিৎ) তো কখনো রাজনীতি করেনি। আমার ছেলে কাজ করে সংসার চালাতো। ছেলেকে জগন্নাথের ছাত্রলীগের পোলাপাইন মেরে ফেললো। আজ ১২ বছর হয়ে গেলো অপরাধীদের বিচার হলো না। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমরা বিচার চাইতে চাইতে ক্লান্ত। আমি আমার বিশ্ব হত্যার বিচার চাই।’

ছেলে হারানো অসহায় বিশ্বজিৎ দাসের বাবা অনন্ত দাস বলেন, ‘ছেলে আমাদের ভরণপোষণ দিত। ছেলেকে প্রকাশ্যে দিন দুপুরে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আজ ১২ বছর ধরে এখনো বিচার পেলাম না। এই সরকারের আমলে আমার ছেলের হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি। তাহলে মরে গেলো অন্তত আত্মা শান্তি পাবে।’

এদিকে বিশ্বজিত হত্যা মামলার আইনজীবী এস এম শাজাহান জানান, মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য আদালতের নজরে আনা হবে এবং আশা করা যাচ্ছে শিগগিরই এর সমাধান হবে।

মূলত বিশ্বজিত দাসের হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের নানান টালবাহানায় মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র আশা হল দ্রুত বিচার এবং হত্যাকারীদের শাস্তি।

বলা বাহুল্য, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের (ভিক্টোরিয়া পার্ক) সামনে বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তখন বিশ্বজিৎ চিৎকার করে বলেছিল, “আমি শিবির নই, আমি হিন্দু। আপনারা চাইলে আমি প্যান্ট খুলে দেখাচ্ছি। আমি মুসলমান না, আমি হিন্দু।”

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে মৃত্যুর আগ মূহুর্তে বিশ্বজিতের সেই করুণ চিৎকার আজও কাঁদায় বাংলাদেশের মানুষদের। শত শত মানুষ, পুলিশ, সাংবাদিক দাঁড়িয়ে দেখেছিল সেই হত্যাকান্ড। কিন্তু সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়ার সাহস হয়নি কারো। শাঁখারীবাজারে দরজির দোকান ছিল বিশ্বজিতের। তাঁর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে হলেও রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে থাকতেন তিনি।

‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগানের রায় নিয়ে আপিলের শুনানি মঙ্গলবার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:০৮ অপরাহ্ণ
‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগানের রায় নিয়ে আপিলের শুনানি মঙ্গলবার

‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

আদালতে আবেদনটি শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

এর আগে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা চেয়ে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদের হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

পরে ২০২০ সালের ১০ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। বাংলায় দেওয়া রায়ের আদেশের একটি অংশে আদালত বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করছি যে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।’

এদিকে গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২ ডিসেম্বর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।