খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

উপদেষ্টা নিয়োগে সতর্ক ভূমিকা পালন করা উচিত: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ণ
উপদেষ্টা নিয়োগে সতর্ক ভূমিকা পালন করা উচিত: ফখরুল

রাজনৈতিক দলের মতামতে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রচলন নেই। এটি প্রধান উপদেষ্টার এখতিয়ার। তবে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে বা হচ্ছে তাদেরকে নিয়ে যেন বিতর্ক না হয়। সেই বিষয়টি লক্ষ্য করা উচিত তাদের নিজেদের স্বার্থেই তা করতে হবে। তাই উপদেষ্টা নিয়োগে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক ভূমিকা পালন করার তাগিদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাবসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছরে দেশে যে পারিমাণ জঞ্জাল তৈরী করে গেছে তা সরানো সতেরো দিনে বা, সতেরো মাসেও সম্ভব না। এ জন্য সময় প্রয়োজন। জাতী হিসাবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না, আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে। অন্তর্বতী সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে, তাদের সে সময়টুকু দিতে হবে।

বর্তমান সরকারকে সফল করার দায়িত্ব সকলের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি। আমরা চাই না সরকার ব্যর্থ হয়ে এই আণ্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাক। যারা দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু তারা যেন আবার কোনো সুযোগ না পায়, প্রধান উদ্দেশ্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সেটি ব্যর্থ করার।

তিনি আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার যে কাজটা সফলভাবে করেছে, তা হলো তারা জাতিকে বিভক্ত করেছে। এ বিভক্তিটা দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। আমাদের মতামত ভিন্ন থাকতেই পারে, গণতান্ত্রিক দেশে এটা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঐক্যটা জরুরী। আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারতে হটাতে ৬৩টি রাজনৈতিক দল আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছি, ডান বাম মধ্যপন্থি সব একসাথে। সেদিক থেকে আমরা বলব অনেকটা কাজ হয়েছে। দেশে একটা চূড়ান্ত অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। এখন আমাদের যেটা দরকার তা হলো এ সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, একটা লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করবে, যেন সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। সংস্কারের নামে সব সেক্টরে হাতদেয়ার দরকার নেই। সেটা নির্বাচিত পার্লামেন্ট করবে। আওয়ামী লীগ যেসব লোকগুলোকে নিয়োগ দিয়েছিল তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ করা, বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ করা। তাহলেই নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।

রাজনৈতিক দলগুলো প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রন করা ছেড়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি আরো বলেন, সারা দেশে আমাদের পরিস্কার নির্দেশ দেয়া আছে, আমাদের কখনোই কোন নিয়ন্ত্রন করা বা প্রসাশনের কারো ওপর কোন চাপ প্রয়োগ করার মধ্যে আমরা নেই। এমন কথা যদি কোন অফিসার বলে থাকে তাহলে এটা তার অন্যায়।

এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপর সহসভাপতি আল মামুন আলম, সাধারন সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক ও পৌর সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সেক্রেটারী তারিক আদনান, সদর থানা সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিসসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।