খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না: তারেক রহমান

আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, পতিত আওয়ামী সরকারের বিগত ১৬ বছরের দুর্বিষহ শাসনামলে মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। দেশের মানুষ তাদের সকল অধিকার হারিয়ে ফেলেছিল। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে স্বাধীনতা পেলেও এখনও আমাদের দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থেমে নেই। তবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নির্ভীক শহীদ ডা. মিলনের আত্মদানে হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হয়। তার আত্মদানের মধ্যদিয়ে ৯ বছরের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়। স্বৈরাচারকে উৎখাত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল তার দৃঢ় অঙ্গীকার। বুকের রক্তের বিনিময়ে তিনি গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিলেন। যে পথ বেয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সবসময় আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবে। আজকের এই দিনে আমি ডা. মিলনসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

পৃথক এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন ৮০-এর দশকে স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে ডা. মিলনের আত্মদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা. মিলন আমাদের প্রেরণার উৎস।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিগত ১৬ বছরের ভয়াবহ দুঃশাসনে গণতন্ত্রসহ মানুষের ভোট, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বলতে কিছুই ছিল না। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা ছিল বর্ণনাতীত। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে দেশের মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ, তাই ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফলকাম হতে পারবে না। শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সবসময় আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে পারলেই ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। তার শাহাদৎবার্ষিকীতে আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।