খুঁজুন
রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২১ পৌষ, ১৪৩১

পাইকগাছায় রাতের আঁধারে ঘের দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৬ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় রাতের আঁধারে ঘের দখলের অভিযোগ

খুলনার পাইকগাছায় রাতের আঁধারে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফিল্মি স্টাইলে মাছের ঘের দখলের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা জানান, “গত ইংরেজি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ রাত আনুমানিক ১১:৩০ মিনিটে লতা ইউনিয়নের একটি লীজ ঘের পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান এস এম ইনামুল হক ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আসলাম পারভেজ এর নেতৃত্বে দখল হয়।”

ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত লীজ ঘেরটি দেলুটি ইউনিয়নের শিবপদ সরদার ও সত্যজিৎ সরদার লতা- পুতলাখালী মৌজায় ২০০৩ সাল থেকে লীজ ডীড মূলে ৫৪৮ বিঘা জমি ঘের করে আসছে।

ঘটনার বিবরণে সত্যজিৎ সরদার জানান, “গত ইংরেজি ৩১ ডিসেম্বর রাত অনুঃ ১১ঃ৩০ মিনিটে ইনামুল ও আসলাম ভাইয়ের নেতৃত্বে আমার লীজ ঘেরের বাসায় হামলা করে বাসায় থাকা অনুঃ ১,৫০,০০০ টাকা নগদ ও অনুঃ ৪,৫০,০০০ টাকার মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “এ সময় আমার বাসায় থাকা কর্মচারীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জীবন নাশের ভয়ে আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়।”

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় লোকজন বলেন, ‘উক্ত ঘেরটি ২০২৩-২৪ সালে মোঃ মাশফিয়ার রহমান সবুজের নিকট থেকে লীজ ডীড ক্রয় সূত্রে শিবপদ সরদার ও সত্যজিৎ সরদার মৎস্য ঘের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আমরা এটাই জানতাম।’

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাইলে এস এম ইনামুল হক মুঠোফোনে জানান, “অত্র লীজ ঘেরটি আমি ও মাশফিয়ার রহমান সবুজ লতা-পুতলাখালী মৌজায় ৫৭০ বিঘা জমি ডীড করেছি। ইতোমধ্যে ২০২৫ সালের হারির টাকা পরিশোধ করেছি।”

তিনি আরও জানান, “০১/০১/২০২৫ তারিখ সকালে আমরা ঘেরে উঠি। এ সময় ঘেরের বাসায় কেউ ছিল না।”

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৭৫ টি মামলা

জুলকার নাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৬ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৭৫ টি মামলা

ঢাকা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৯৭৫টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়া অভিযানকালে ৫৫ গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৮টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। রবিবার (৫-জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শনিবার (৪-জানুয়ারি) ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বগুড়া সুঘাট ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

জুলকার নাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৩২ অপরাহ্ণ
বগুড়া সুঘাট ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় জুলাই-আগস্টের মামলার আসামি যুবলীগ নেতা এস.এম. মাহবুব সোবহান বিদ্যুৎকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (০৫-জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বেলগাছি টাওয়ার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার এস এম মাহবুব সোবহান বিদ্যুৎ বগুড়া শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চক কল্যানী পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে৷ তিনি সুঘাট ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, জুলাই-আগস্টের মামলার আসামি বিদ্যুৎকে সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে৷

দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত তিন সক্রিয় সদস্য আটক

জুলকার নাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:০৮ অপরাহ্ণ
দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত তিন সক্রিয় সদস্য আটক

রাজধানীর দারুসসালাম এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিনজন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে ডিএমপির দারুসসালাম থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাব্বির হোসেন (২১), রাব্বি হাওলাদার (২০) ও সবুজ হোসেন (২০)।

রবিবার (৫-জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, শনিবার (০৪ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে দারুসসালামের দ্বীপনগর বিজিবি মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গোপন সংবাদের মাধ্যমে তথ্য পায় যে, দ্বীপনগর বিজিবি মার্কেট এলাকায় কয়েকজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সোয়া ১০টায় থানার টিমটি সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে একটি ধারালো স্টিলের চাপাতি, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি গাড়ি ও দুটি স্কচটেপ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় মামলা করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ঘটনাস্থলসহ আশেপাশের এলাকায় ডাকাতি করার উদ্দেশে ওই স্থানে সমবেত হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।