খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ, ১৪৩১

এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংস্কার বেশি প্রয়োজন: উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৩ অপরাহ্ণ
এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংস্কার বেশি প্রয়োজন: উপদেষ্টা

এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংস্কারের বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তারমতে, প্রক্রিয়াগত আইন কানুন ঠিকমত ব্যবহার হলে এই সংস্কার করা কঠিন হবে না।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এসব জানান উপদেষ্টা। তারমতে, প্রক্রিয়াগত আইন কানুন ঠিকমত ব্যবহার হলে এই সংস্কার করা কঠিন হবে না।

ক্ষমতার পালাবদলে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশন, পুলিশসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান সংস্কারে কমিশন গঠন করেছে। তবে অর্থনীতি সংস্কারে কোনো কমিশন গঠন হয়নি। অর্থনীতিবিদরা এ ধরনের কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

অর্থনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার নিয়ে অনেক কথাবার্তা বলছি। আমি মনে করি এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি অর্থনৈতিক সংস্কার। সেটা যদি আমরা না করতে পারি, অর্থনৈতিক সংস্কার করা কঠিন, আবার সহজ। কঠিন হল এখানে অনেকগুলো ফান্ডামেন্টাল আইন কানুন আছে। কিন্তু প্রক্রিয়াগত যে আইন কানুন আছে সেগুলোর সঠিক ব্যবহার, সুষ্ঠু ব্যবহার ও স্বচ্ছভাবে ব্যবহার করতে পারলে এই সংস্কার খুব বেশি কঠিন হবে না। এই জিনিসটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। সিস্টেম আছে, কিন্তু সিস্টেমটা আমরা ঠিকমত ব্যবহার করছি না।

রাজস্ব আদায় ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেশ সঠিক পথে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মোটামুটি এগিয়ে আছি। প্রযুক্তিগত দিক ও প্রক্রিয়াগত দিক থেকে পিছিয়ে আছি। আমাদের আধুনিক যুগে প্রবেশ করতে হবে।

এই সময়ে রাজস্ব আদায় ও তা ব্যয় করা চ্যালেঞ্জের জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যয়টা নির্বিচারে করবো সেটা মোটেই ঠিক হবে না। আমাদের রাজস্ব আয় ও ব্যয় উভয়ই যৌক্তিক করতে হবে। এটা সবার আকাঙক্ষা।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এই উপদেষ্টা বলেন, রাজস্ব আহরণে সহায়তা করুন। জোর করে টাকা পয়সা আদায় করা যাবে না।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একটু ইতিবাচক দৃষ্টিতে আমাদের দেখবেন। সবই খারাপ বাংলাদেশে, সবই ভালো, এই হচ্ছে না, ওই হচ্ছে না, পেঁয়াজের দাম কমে গেছে, আলুর দাম কমে গেছে, চালের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সব জিনিসের দাম একত্রে কমে গেছে এটা পৃথিবীর কোনো দেশে আমরা দেখিনি। সব জিনিসের দাম একত্রে বেড়ে যাবে, এটাও আমরা আশা করি না। তবে এটা ঠিক জনগণের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকছে না অনেকেরই।

অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদ,সদস্য (কাস্টমস: নীতি ও আইসিটি) মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে অংশীজনদের স্শরীর উপস্থিতি ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় বাংলাদেশ কাস্টমস সেবা প্রদান করবে। ডাটা এনালিটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং এর মতো প্রযুক্তির ব্যবহার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আরও সুনিশ্চিত করা হবে।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ভ্যাট ও ট্যাক্স বাড়ানোর আগে বা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যবসায়ীদের মতামত নিলে ভালো হয়। ব্যবসায়ীদের বক্তব্যদের সুযোগ থাকলে তারা কর আদায়ে অংশীদার হতে পারবে।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, কাস্টমসকে ট্রেড ফ্যাসিলেটেশনের যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছি। রাজস্ব আদায় কমলেও আমাদের কাস্টমসের গুরুত্ব কমেনি। কাস্টমসের মূল উদ্দেশ্য রাজস্ব আদায় নয়। দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করা, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাস্টমস শুল্ক ও বিধি নিষেধগুলো দেওয়া হয়।

প্রায় ১২ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি এই সংখ্যা ১৪ লাখ হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি আয়কর রিটার্ন দেওয়ার শেষ দিন। তারপরেও অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া যাবে, কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু জরিমানা যোগ হবে। ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দিতে ব্যবসায়ীরা ট্রান্সজেকশন গোপন করেন বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৬ জন কর্মকর্তাকে সার্টিফিকেট অব মেরিট সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে এই কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

সম্মাননা পাওয়া এনবিআরের ১৬ কর্মকর্তারা হলেন, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ), এর কমিশনার মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান,সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার নাজমুল হক, খুলনার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার মো. বশীর আহমেদ, কমলাপুর কাস্টমস হাউস আইসিডি অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সফিউর রহমান, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) এর যুগ্ম কমিশনার হাসনাইন মাহমুদ, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান, ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মিজ সানজিদা শারমিন, এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মো. আহসান উল্লাহ, কমলাপুর কাস্টমস হাউস আইসিডির ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক পারভেজ আল জামান, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) এর ডেপুটি কমিশনার মিজ খাদিজা পারভীন সুমী, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান মুন্সী, সারোয়ার আলম, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও মো. আতিকুল ইসলাম।

বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৬টি দেশে একযোগে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উদযাপন করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাজেশন ২৬ জানুয়ারিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে বাংলাদেশ দিবসটি উদযাপন করছে।

এবারের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘কাস্টমস সেবায় প্রতিশ্রুতি দক্ষতা নিরাপত্তা প্রগতি’।

ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আঘাত হানতে পারে শীঘ্রই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আঘাত হানতে পারে শীঘ্রই

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল এক বিপদ। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে একটি গ্রহাণু, যার নাম ২০২৪ ওয়াইআর৪। ব্যাস প্রায় ৬০ মিটার (১৯৬ ফুট)। এই গ্রহাণু আগামী ২০৩২ সাল নাগাদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে বলে শঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিষয়টি জানিয়েছে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনইওএস)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে, সম্ভাব্য দূরত্ব ধরা হচ্ছে মাত্র ১,০৬,২০০ কিমি। তবে এর কক্ষপথের হিসাব-নিকাশে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকায় এটি সরাসরি পৃথিবীতে আঘাত হানার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ১/৮৩। যা ২০০৪ সালের পর থেকে আবিষ্কৃত গ্রহাণুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এমনকি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এবং নাসার সেনট্রি রিস্ক টেবিলে এটি ঝুঁকিপূর্ণ গ্রহাণুর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে।

নাসার অ্যাটলাস প্রোজেক্টের টেলিস্কোপ প্রথম এটি শনাক্ত করে। পরে ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের পর্যবেক্ষণে নিশ্চিত করা হয়।

পৃথিবীবাসীর কি ভয় পাওয়া উচিত ?
এই গ্রহাণু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই— জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি সম্ভবত পৃথিবীকে অতিক্রম করে চলে যাবে। নাসার গবেষক ডেভিড র‍্যাঙ্কিন বলেছেন, ‘মানুষকে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সম্ভাব্য প্রভাব খুবই কম, এবং সর্বোচ্চ সম্ভাবনা হলো এটি আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যাবে।’

পৃথিবীতে আঘাত হানলে কী ঘটতে পারে?
বিজ্ঞানীদের মতে, এটি হয় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে একটি বিশাল ‘এয়ারবার্স্ট’ সৃষ্টি করবে, যা ভয়ংকর বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিশাল এলাকার ক্ষতি করতে পারে। না হলে এটি সরাসরি ভূমিতে আঘাত হানার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় সংঘটিত টুঙ্গুস্কা বিস্ফোরণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। যেখানে প্রায় ৮০ মিলিয়ন গাছপালা ধ্বংস হয়েছিল এবং বিস্ফোরণের শক্তি ছিল প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন টিএনটি’র সমান। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, সেখানে একটি ১০ মিটার ব্যাসের গ্রহাণু আঘাত করেছিল বলে ধরা হয়। আর ২০২৪ ওয়াইআর৪ তার চেয়েও ৬ গুণ বড়।

এটি কোথায় আঘাত হানতে পারে?
বর্তমান কক্ষপথের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সম্ভাব্য ‘ইম্প্যাক্ট করিডর’ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে সাব-সাহারান আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন, কেননা এই গ্রহাণুর কক্ষপথ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ২০২৮ সালে এটি আরও একবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে, তখন আরও নিখুঁত পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে।

আমরা কি তাহলে নিরাপদ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৪ ওয়াইআর৪ আমাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। গ্রহাণুর আকার ও গঠনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি যদি আয়রন-সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে সরাসরি ভূ-পৃষ্ঠে আঘাত হানতে পারে, কিন্তু যদি এটি পাথুরে হয়, তাহলে বায়ুমণ্ডলেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এখন বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির গতিপথ আরও সুস্পষ্ট করার জন্য কাজ করছেন। ২০২৮ সালের পর্যবেক্ষণে এটি আসলেই পৃথিবীতে আঘাত হানবে কিনা, তা বোঝা যাবে আরও ভালোভাবে।

ক্যারিবীয় ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
ক্যারিবীয় ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে আগ্রাসী ক্রিকেটের বার্তাটা দিয়ে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের ১৪৪ রানের টার্গেট ১৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে গিয়েছিল ক্যারিবীয় মেয়েরা। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ক্যারিবীয় ব্যাটিং তাণ্ডবের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৬ উইকেটে ২০১ রান। যার জবাবে ৯ উইকেট খরচ করে ৯৫ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। ফলে ১০৬ রানের হারের সঙ্গে সিরিজটাও হেরেছে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার। এর আগে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কিউইদের মাঠে সিরিজের ১৩২ রানে হেরেছিল টাইগ্রেসরা। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানে হারের রেকর্ড নারী দলের। এদিন অবশ্য আরও একটি রেকর্ড হয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দল হিসেবে ২০০ রানের বেশি করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৮৯ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

সেন্ট কিটসে এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয় ক্যারিবীয় মেয়েরা। কুইয়ানা জোসেফ ৩৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় রানের পথে রেখে যান। পরে ডিয়ান্ড্রা ডটিনও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান। ২০ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেন বিস্ফোরক ৪৯ রানের ইনিংস। যার সুবাদে ৬ উইকেটে ২০১ রানের বিশাল পুঁজি পায় ক্যাবিরীয়রা।

বিশাল এই রান তাড়া করে বাংলাদেশের জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভবই ছিল। তবে দেখার ছিল কতটা লড়াই করতে পারে বাংলাদেশ। এদিন সেটিও পারেনি জ্যোতির দল। রান পাহাড়ে চাপা পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। দলীয় সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে শারমিন আক্তারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৯৫ রানে।

হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ণ
হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁদাবাজি ও নানাবিধ দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ওই পোস্টে নিষিদ্ধ সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী হাসনাতদের বিচার করার জরুরি বলে কমেন্ট করেন। রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার মূল পোস্টে লেখেন, রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও লেখেন, অথচ, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়ত। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়ত অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়না ঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারা দেশে তখন নেমে আসত নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

তিনি আরও লেখেন, ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে করত। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সব নেতাকর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সব শহিদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লেখেন, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন।

হাসনাতের পোস্টের কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।