খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

রক্ষক যখন ভক্ষক হয়

ভাঙ্গায় এখনও ছাত্রীদের ক্লাস নেন “লম্পট” আজাদ! (পর্ব-১)

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
ভাঙ্গায় এখনও ছাত্রীদের ক্লাস নেন “লম্পট” আজাদ! (পর্ব-১)

*২০ লক্ষ টাকায় যৌন হয়রানি করে আত্মহত্যায় বাধ্য করা ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেন আজাদ। 

*জড়িত ছিলো স্কুল কমিটি,প্রধান শিক্ষকসহ রাঘব বোয়ালরা। 

*প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি চেষ্টার অভিযোগ আজাদের বিরুদ্ধে।  

২০১৭ সালে ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার ভাঙা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী স্কুলছাত্রী হিরামনি মৃত্যুতে দায়ী লম্পট শিক্ষক আজাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও এর পেছনের কারণ নিয়ে “ভাঙ্গায় লম্পট শিক্ষক আজাদের ফাঁসি চায় শিক্ষার্থীরা” শিরোনামে একটি চাঞ্চল্যকর অনুসন্ধানী ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে অগ্রযাত্রা।

অগ্রযাত্রায় প্রকাশিত ১ম পর্বের সেই ভিডিও প্রতিবেদনটি ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে ভাঙা উপজেলায়। এরই জের ধরে অগ্রযাত্রা’র সংবাদকর্মী ও শিক্ষার্থীদের নানান রকম হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে লম্পট শিক্ষক আজাদ। ওদিকে এরই মধ্যে চলমান অগ্রযাত্রা’র অনুসন্ধানে উঠে এসেছে স্কুলছাত্রী হিরামনি মৃত্যুতে আজাদের জড়িত থাকার আরো চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

এবারের অনুসন্ধানে অগ্রযাত্রা কথা বলে ২০১৭ সালে ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজাদের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে সেচ্ছা মৃত্যুর পথ বেছে নেয়া একই স্কুলের ১০ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী হিরামনি তিশার বাবা মনির হোসেনের সাথে৷ তার সাথে কথা বলে ও  সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে- চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী হিরামনি তিশার মৃত্যুতে দায়ী যৌন হয়রানিকারী লম্পট আজাদ, স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজনের সহযোগিতায় স্কুলছাত্রী হিরামনি তিশার মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছেন ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে। মূলত, হিরামনি তিশার গৃহশিক্ষক ছিলেন দুশ্চরিত্র আজাদ, আর পড়াতে গিয়ে নানানভাবে প্রায়শই যৌন হয়রানি করতেন হিরামনি তিশাকে। পিতৃতূল্য শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরণের বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়ে হিরামনি তিশা লজ্জায় ঘৃণায় সেচ্ছা মৃত্যুর পথ বেছে নেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় তখন ভুক্তভোগী হিরামনির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন লম্পট শিক্ষক আজাদের বিরুদ্ধে।  কিন্ত মামলা দায়ের পর থেকে তৎকালীন স্থানীয় চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা, ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কতিপয় অসাধু সদস্য, ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে হিরামনি তিশার মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এমনকি সেসময় লম্পট আজাদের লালসার শিকার হয়ে প্রাণ দেয়া মেধাবী শিক্ষার্থী হিরামনি তিশার সহকর্মীরা বেশ কয়েকদিন আন্দোলন করলেও তাদেরকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে দেন লম্পট আজাদ ও তার লোকজন, এমনকি তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকিও দেয় ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্য ও শিক্ষকরা।

ওদিকে হিরামনি তিশাকে যৌন হয়রানি করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার ঘটনা জানাজানি হলে লম্পট আজাদের তৎকালীন স্ত্রীও ঘৃণায় তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। অথচ একজন সম্ভাবনাময় মেধাবী ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া লম্পট শিক্ষক আজাদ ২০ লক্ষ টাকায় এতোবড় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধামা চাপা দিয়ে পুনরায় ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছেন অদ্যবধি। কিন্ত লম্পট আজাদকে স্কুল কমিটি ও কতিপয় শিক্ষকের নগ্ন সমর্থন ও আজাদের ব্যাপক প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে কোন প্রতিবাদ জানাতে পারেনি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, একজন সাধারণ শিক্ষক পদে চাকরি করা আজাদ ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে হিরামনি তিশার মৃত্যু রহস্য কিভাবে ধামাচাপা দিলেন, এতো টাকা তিনি কোথায় পেলেন? তা নিয়েও রয়ে গেছে প্রশ্ন-

গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ২০১৭ সালে লম্পট শিক্ষক আজাদ কর্তৃক ধামাচাপা দেয়া হিরামনি তিশার মৃত্যুর ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এনে আজাদের পদত্যাগ ও ফাঁসি দাবি করে। এমনকি এ নিয়ে লিখিত বিবৃতি ও কর্মসূচীও দেয়া হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে। কিন্ত পুনরায় পুরোনো রুপে ফিরে আসে আজাদ, সে শিক্ষার্থীদের আবারো নানাবিধ হুমকি দিতে থাকে, এমনকি তার হুমকি থেকে বাদ যায়নি গণমাধ্যমও।

অগ্রযাত্রা তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় কিছু অসাধু সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা দিয়ে অগ্রযাত্রার সংবাদকর্মীদের হুমকি দিয়ে গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধের চেষ্টাও করেন লম্পট আজাদ। লম্পট শিক্ষক আজাদকে শিক্ষার্থীরা ডাকছেন খুনি আজাদ বলে। এমন একজন লম্পট যৌনহয়রানিকারী ও ছাত্রীর মৃত্যুতে দায়ী চরম বিতর্কিত শিক্ষককে দিয়ে কেনো ও কিভাবে স্বনামধন্য ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ ছাত্রীদের ক্লাস নেয়ান তা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে তুমুল সমালোচনা। 

২০১৭ সালে লম্পট আজাদ কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়ে সেচ্ছা মৃত্যুর পথ বেছে নেয়া হিরামনির পরিবারের পক্ষ থেকে হওয়া মামলা ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় লম্পট আজাদকে সহযোগিতা করা ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষক এবং স্থানীয় কথিত গণমান্যদের মধ্যে কে কে কিভাবে এবং কোন স্বার্থে জড়িত তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকবে লম্পট আজাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ২য় পর্বে—

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।