খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

রক্ষক যখন ভক্ষক হয়

ভাঙ্গায় এখনও ছাত্রীদের ক্লাস নেন “লম্পট” আজাদ! (পর্ব-১)

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
ভাঙ্গায় এখনও ছাত্রীদের ক্লাস নেন “লম্পট” আজাদ! (পর্ব-১)

*২০ লক্ষ টাকায় যৌন হয়রানি করে আত্মহত্যায় বাধ্য করা ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেন আজাদ। 

*জড়িত ছিলো স্কুল কমিটি,প্রধান শিক্ষকসহ রাঘব বোয়ালরা। 

*প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি চেষ্টার অভিযোগ আজাদের বিরুদ্ধে।  

২০১৭ সালে ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার ভাঙা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী স্কুলছাত্রী হিরামনি মৃত্যুতে দায়ী লম্পট শিক্ষক আজাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও এর পেছনের কারণ নিয়ে “ভাঙ্গায় লম্পট শিক্ষক আজাদের ফাঁসি চায় শিক্ষার্থীরা” শিরোনামে একটি চাঞ্চল্যকর অনুসন্ধানী ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে অগ্রযাত্রা।

অগ্রযাত্রায় প্রকাশিত ১ম পর্বের সেই ভিডিও প্রতিবেদনটি ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে ভাঙা উপজেলায়। এরই জের ধরে অগ্রযাত্রা’র সংবাদকর্মী ও শিক্ষার্থীদের নানান রকম হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে লম্পট শিক্ষক আজাদ। ওদিকে এরই মধ্যে চলমান অগ্রযাত্রা’র অনুসন্ধানে উঠে এসেছে স্কুলছাত্রী হিরামনি মৃত্যুতে আজাদের জড়িত থাকার আরো চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

এবারের অনুসন্ধানে অগ্রযাত্রা কথা বলে ২০১৭ সালে ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজাদের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে সেচ্ছা মৃত্যুর পথ বেছে নেয়া একই স্কুলের ১০ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী হিরামনি তিশার বাবা মনির হোসেনের সাথে৷ তার সাথে কথা বলে ও  সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে- চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী হিরামনি তিশার মৃত্যুতে দায়ী যৌন হয়রানিকারী লম্পট আজাদ, স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজনের সহযোগিতায় স্কুলছাত্রী হিরামনি তিশার মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছেন ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে। মূলত, হিরামনি তিশার গৃহশিক্ষক ছিলেন দুশ্চরিত্র আজাদ, আর পড়াতে গিয়ে নানানভাবে প্রায়শই যৌন হয়রানি করতেন হিরামনি তিশাকে। পিতৃতূল্য শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরণের বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়ে হিরামনি তিশা লজ্জায় ঘৃণায় সেচ্ছা মৃত্যুর পথ বেছে নেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় তখন ভুক্তভোগী হিরামনির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন লম্পট শিক্ষক আজাদের বিরুদ্ধে।  কিন্ত মামলা দায়ের পর থেকে তৎকালীন স্থানীয় চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা, ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কতিপয় অসাধু সদস্য, ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে হিরামনি তিশার মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এমনকি সেসময় লম্পট আজাদের লালসার শিকার হয়ে প্রাণ দেয়া মেধাবী শিক্ষার্থী হিরামনি তিশার সহকর্মীরা বেশ কয়েকদিন আন্দোলন করলেও তাদেরকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে দেন লম্পট আজাদ ও তার লোকজন, এমনকি তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকিও দেয় ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্য ও শিক্ষকরা।

ওদিকে হিরামনি তিশাকে যৌন হয়রানি করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার ঘটনা জানাজানি হলে লম্পট আজাদের তৎকালীন স্ত্রীও ঘৃণায় তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। অথচ একজন সম্ভাবনাময় মেধাবী ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া লম্পট শিক্ষক আজাদ ২০ লক্ষ টাকায় এতোবড় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধামা চাপা দিয়ে পুনরায় ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছেন অদ্যবধি। কিন্ত লম্পট আজাদকে স্কুল কমিটি ও কতিপয় শিক্ষকের নগ্ন সমর্থন ও আজাদের ব্যাপক প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে কোন প্রতিবাদ জানাতে পারেনি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, একজন সাধারণ শিক্ষক পদে চাকরি করা আজাদ ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে হিরামনি তিশার মৃত্যু রহস্য কিভাবে ধামাচাপা দিলেন, এতো টাকা তিনি কোথায় পেলেন? তা নিয়েও রয়ে গেছে প্রশ্ন-

গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ২০১৭ সালে লম্পট শিক্ষক আজাদ কর্তৃক ধামাচাপা দেয়া হিরামনি তিশার মৃত্যুর ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এনে আজাদের পদত্যাগ ও ফাঁসি দাবি করে। এমনকি এ নিয়ে লিখিত বিবৃতি ও কর্মসূচীও দেয়া হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে। কিন্ত পুনরায় পুরোনো রুপে ফিরে আসে আজাদ, সে শিক্ষার্থীদের আবারো নানাবিধ হুমকি দিতে থাকে, এমনকি তার হুমকি থেকে বাদ যায়নি গণমাধ্যমও।

অগ্রযাত্রা তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় কিছু অসাধু সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা দিয়ে অগ্রযাত্রার সংবাদকর্মীদের হুমকি দিয়ে গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধের চেষ্টাও করেন লম্পট আজাদ। লম্পট শিক্ষক আজাদকে শিক্ষার্থীরা ডাকছেন খুনি আজাদ বলে। এমন একজন লম্পট যৌনহয়রানিকারী ও ছাত্রীর মৃত্যুতে দায়ী চরম বিতর্কিত শিক্ষককে দিয়ে কেনো ও কিভাবে স্বনামধন্য ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ ছাত্রীদের ক্লাস নেয়ান তা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে তুমুল সমালোচনা। 

২০১৭ সালে লম্পট আজাদ কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়ে সেচ্ছা মৃত্যুর পথ বেছে নেয়া হিরামনির পরিবারের পক্ষ থেকে হওয়া মামলা ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় লম্পট আজাদকে সহযোগিতা করা ভাঙা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষক এবং স্থানীয় কথিত গণমান্যদের মধ্যে কে কে কিভাবে এবং কোন স্বার্থে জড়িত তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকবে লম্পট আজাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ২য় পর্বে—

আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সাথে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। সড়ক ও পরিবহণ খাতে আগে একদল দুর্নীতি করত এখন অন্যদল করছে। এটা খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী এ সংলাপে সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও পরিবহণ সেক্টরের অংশীদারজনও উপস্থিত ছিলেন।

এ-সময় নাহিদ বলেন, বুয়েটের একজন মারা গেল। একটা ধারণা যে সমাজের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিচার হয় না, জবাবদিহিতা হয় না। এখানে সাধারণ মানুষদের জীবনটাই আসলে যায়। এই চিত্র আমাদের সমাজে আছে। এটার পরিবর্তন দরকার। সবাইক বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উন্নয়ন নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে মানুষ মারা গেলে সেটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কারণ এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ মারা যেতে পারে৷ এখানে ব্যবস্থাপনাতেই সমস্যা রয়েছে। যে ধরনের প্রতিষ্ঠান সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই তৈরি হয়নি।

পরিবহণ সেক্টরের দুর্নীতি চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল আবার এখন আরেক দল রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কর্মীরাই এগুলোত জড়িত।

জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ অন্যান্যরা।

অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ এবার শিক্ষার্থীদের ওপরও লাগছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের শনাক্তে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্তও যাচাইয়ের বিষয়টিও আছে নির্দেশনাতে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (এমসিডি) জারি করা ওই নির্দেশনাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিবের (গৃহ বিভাগ) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর এমসিডি একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করে। এতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে স্কুলে তাদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্ম সনদ না দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া কোনও অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমসিডি তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং সঠিক পরিচয় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনারও নির্দেশ দিয়েছে।

এমনকি যেসব জায়গায় এই অভিবাসীরা অন্যের জমি বা জায়গা দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য তাদের নিজস্ব রেকর্ড রাখে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে অল ইন্ডিয়া সার্ভে ফর হায়ার এডুকেশনের ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আগে নয়া দিল্লিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতেও পুলিশ অভিযানে নেমেছিল।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর কয়েকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

এরপর তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে গত নভেম্বরে হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর। তার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। অন্যদিকে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ বাংলাদেশেও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।

এখনও বিশ্ব সেরা আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
এখনও বিশ্ব সেরা আর্জেন্টিনা

ফুটবলে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে লিওনেল মেসিরা। ২০২৪ সাল শেষ করল তারা শীর্ষে থেকে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গা ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। তাদের চিরশত্রু ব্রাজিলের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশও রয়েছে আগের জায়গাতেই।

২০২৪ সালের শেষ র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ফিফা। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। শীর্ষ দশেও কোনও পরিবর্তন আসেনি। এ বছর আর্জেন্টিনা রেকর্ড ১৬তম কোপা আমেরিকা জিতেছে। জুলাইয়ে কলম্বিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের পর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের মুকুট ধরে রেখেছে তারা।

লিওনেল স্কালোনির দলের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। তিন নম্বর জায়গায় রয়েছে ২০২৪ সালের ইউরোজয়ী স্পেন।

ব্রাজিল ফুটবল কঠিন সময় পার করছে। মেজর টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পর বিশ্বকাপ বাছাইয়েও খারাপ সময় যাচ্ছিল। তবে সবশেষ রাউন্ডে আলো ছড়িয়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের আগের জায়গা ধরে রেখেছে সেলেসাওরা। লাতিন আমেরিকার দেশটির রয়েছে পাঁচ নম্বরে। তাদের আগে, চতুর্থ স্থান ধরে রেখেছে ইউরোর রানার্স-আপ ইংল্যান্ড।

ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইতালি ও জার্মানি।

বাংলাদেশের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতেছে, আরেকটিতে হেরেছে। র‌্যাঙ্কিংয়ে তাই নড়চড় হয়নি। লাল-সবুজ জার্সিধারীরা রয়েছে আগের ১৮৫ নম্বরে।