ডিভোর্স নিলেই ৬ মাসের জেল!
অদ্ভুত যতসব নিয়ম-নীতির জালে বন্দি উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা। কিছুদিন পরপরই নিত্যনতুন আইন জারি করেন রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। বাতিলের খাতায় চলে যায় জীবনের স্বাভাবিক সব কাজকর্ম।
উত্তর কোরীয় জনগণের চলাফেরা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন- সবকিছুতেই যেন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান কিম। এবার তার নিষিদ্ধের তালিকায় চলে এলো বিবাহ বিচ্ছেদ, এমনকি খাদ্যদ্রব্যও।
এখন থেকে দেশটির জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড ‘হট ডগ’ খেতে পারবেন না মানুষজন। শুধু পশ্চিমাদের খাবার হওয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় এই খাবারে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন কিম। নির্দেশ অমান্য করলে অভিযুক্তকে কুখ্যাত শ্রম শিবিরে সাজা খাটতে হবে বলেও নির্দেশ জারি করেছেন তিনি।
কিমের নতুন এই নির্দেশে ক্ষুব্ধ হলেও টুঁ শব্দটি করতে পারছেন না উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা।
১৯৫০ সালে কোরীয় যুদ্ধের সময়ে মার্কিন সেনারা মাংস দিয়ে বিশেষ এক রেসিপি তৈরি করেছিলেন। কালক্রমে তা-ই ‘হট ডগ’ হিসাবে পরিচিতি পায়। এক সময়ে কোরীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ‘আর্মি বেস স্টু’।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার ফুটপাতের খাবারের দোকানগুলোতে ’বুদায়ে জিগে’ নামে ‘হট ডগ’র আদলে তৈরি করা খাবার বিক্রি শুরু হয়। গত কয়েক বছরে তা যথষ্টে জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু আচমকাই মাথার পোকা নড়ে উঠেছে দেশটির স্বৈরশাসক কিম জং উনের। ‘হট ডগ’ এর মতো খাবার পুঁজিবাদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন অভিযোগ তোলেন তিনি।
এর ফলে ’বুদায়ে জিগে’ (হট ডগের কোরীয় সংস্করণ) বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কোনো দোকানে ওই খাবার বিক্রি হলে তার দোকান বন্ধ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিম। হট ডগ ছাড়াও উত্তর কোরিয়ার নেতা সসেজও নিষদ্ধি করেছেন।
এছাড়াও দম্পতিদের বিবাহ বিচ্ছেদের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন কিম জং উন। বলেছেন, কোনো দম্পতি যদি বিবাহ বিচ্ছেদের পরিকল্পনা করেন, তাহলে তাদের শ্রম শিবিরে পাঠানো হবে।
উত্তর কোরিয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদকে অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সেখানে বলা হচ্ছে, যারা ডিভোর্স নেবেন তাদের অন্তত ৬ মাসের জেল হতে পারে।
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট।
আপনার মতামত লিখুন