খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘হেফাজতে’

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ণ
মানবতাবিরোধী অপরাধ: ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘হেফাজতে’

‘গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে’ জড়ানোর অভিযোগে সেনাবাহিনীর যে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে সেনা সদর।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা-সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরতরা হলেন- মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কে এম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। আমরা মোট ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য বলেছিলাম, তাদের মধ্যে ১৫ জন এসে হেফাজতে রয়েছেন।

তিনি জানান, ৩টি মামলায় ২৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন, এলপিআরএ একজন, আর বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৫ জন।

মো. হাকিমুজ্জামান জানান, ৮ তারিখ চার্জশিট দাখিলের পর এলপিআর ও সার্ভিসে থাকা ১৬ জনকে সেনাসদরে সংযুক্ত করা হয়। তাদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনাসদরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন রেসপন্স করেছেন। তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা ফ্যামিলি থেকে ডিটাচ আছেন।

সিটিআইবি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক কবীর আহাম্মদের বিষয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।’

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

প্রথম মামলায় র‍্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক ব্যক্তিদের নির্যাতনের অভিযোগে ১৭ জন এবং দ্বিতীয় মামলায় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) নির্যাতনের ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

উভয় মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে- যিনি জুলাইয়ের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। মামলায় আরও রয়েছেন তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআই- এর সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক।

এই ৩০ জনের মধ্যে ২২ জনই কর্নেল থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ২৪ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশ দেন। আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

গ্রীন ঢাকা ও ক্লিন ঢাকার অঙ্গীকার

ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ণ
ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জনাব শফিকুল ইসলাম মিল্টনের নেতৃত্বে এক বিশাল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিল বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি।

বুধবার (১২ নভেম্বর) নির্বাচনী এলাকা মিরপুর ১৩ সরকারি আয়ুর্বেদিক কলেজের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি রাজধানীর আগারগাঁও সংলগ্ন তালতলা এলাকা প্রদক্ষিণ করে শেওড়াপাড়া গিয়ে শেষ হয়। বিশাল এই শোডাউনে অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়। কাফরুল থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী এই শোডাউনে অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ করে কাফরুল থানা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব আকরানুল হক আকরাম ও ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মামুন বিল্লাহর নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ সকলের উৎসুক আমেজ লক্ষ্য করা যায়।

র‍্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শফিকুল ইসলাম মিল্টন বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। কোনো কারচুপির সুযোগ নেই। আজকের এই জনসমাগমই প্রমাণ করে ধানের শীষ কতটা জনপ্রিয়।”

ঢাকা-১৫ আসনকে গ্রীন ঢাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনাব মিল্টন বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজয় লাভ করলে ইনশাল্লাহ ঢাকা-১৫ আসনকে গ্রীন ঢাকা ও ক্লিন ঢাকায় পরিণত করব। পাশাপাশি এই আসনকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি।”

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জনাব মিল্টন বলেন, “জনাব তারেক রহমান আমাকে এই আসনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, এই ঢাকা-১৫ আসনটি তারেক রহমানের জন্য বিজয়ী উপহার হিসেবে দিতে পারব ইনশাল্লাহ।”

শোডাউন ও বক্তব্য শেষে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ণ
বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন

জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এসসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

তিনি বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হতে চাইলেও একটি দল এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় সংখ্যক মানুষ সংস্কার চায় বলেই ১০০ বছর চেষ্টা করেও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না।’

বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের যৌথ মঞ্চের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দেশে এই মুহূর্তে ‘গৃহযুদ্ধের ভাব বিরাজ করছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নাসীরুদ্দীন আরো বলেন, ‘ইউনূস সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা চলা আরম্ভ করেছে’।

স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ণ
স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু

২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) থেকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ‘অবৈধভাবে’ দেওয়া আজীবন সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে ডাকসুর দ্বিতীয় সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।

তিনি বলেন, ‘হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ছিল অবৈধ এবং ডাকসুর গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে। ২০১৯ সালে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে অগণতান্ত্রিকভাবে এটি দেওয়া হয়েছিল। আজকের সভায় সেই রেজুলেশনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ডাকসু কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সাধারণ সভা। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন। সভায় ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু ঢাবির টিএসসিতে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১ ভারতীয় দূতকে তলব, হাসিনার সঙ্গে গণমাধ্যমের কথা বলা বন্ধের আহ্বান