খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বা আগামী নির্বাচন কবে হবে, এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আলোচনা করেছি। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিইনি।

গত শুক্রবার জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে যেন সক্ষম হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কথা জানান বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে- এ কথা থেকে কি ধরে নেওয়া যায় যে, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ১৮ মাস, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনি ইচ্ছা করলে ধরতে পারেন। কিন্তু, সরকারের মতামত তো না সেটা। সরকার তো কোনো মত দেয়নি এ পর্যন্ত। কাজেই সরকার কখন মেয়াদ ঠিক করবে, সেটা সরকারকে বলতে হবে। সরকার না বলা পর্যন্ত সেটা তো সরকারের মেয়াদ হচ্ছে না।

বিষয়টি পরিষ্কার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান আরও বলেন, আমাদেরই বলতে হবে। আমাদেরকেই বলতে হবে। আমাদের মুখ থেকে যখন শুনবেন তখন সেটাই হবে তারিখ।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে এ বছরের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেই থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি দৃশ্যমান টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে।

বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে ইউনূস জানান, এটি একটি আইনি বিষয় এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশেরই স্বার্থ হলো অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, মধুর সম্পর্ক গড়ে তোলা। মাঝে মাঝে কতগুলো প্রশ্ন এসে যায়, যেখানে সম্পর্কে একটু চির ধরে। যেমন সীমান্তে গুলি করল, বাচ্চা মেয়ে মারা গেল, বাচ্চা ছেলে মারা গেল, এগুলো মনে কষ্ট দেয়। … আমরা মনে করি না যে ভারতের সরকার ইচ্ছা করে এসব করেছে। যেসব কারণে এসব ঘটে, সেগুলো যেন আমরা উৎখাত করতে পারি, যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, যাতে নিরাপদে মানুষ জীবন নিয়ে চলাফেরা করতে পারে।

বাংলাদেশের এ সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল ছাত্ররা। অন্তর্বর্তী সরকারেও ছাত্রদের প্রতিনিধি রয়েছে। তবে সরকারের বাইরে যারা আছে, এমন অনেক ছাত্রকে দেশের নানা ক্ষেত্রে, নানা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে।

শিক্ষার্থীরাই দেশ চালাচ্ছে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, চালানো উচিত বলছি। চালাচ্ছে বলছি না। চালানো উচিত। তরুণদের হাতে ছেড়ে দেওয়া, আমি বরাবরই বলে এসেছি, এখানে এ দায়িত্ব পালন করার আগে থেকেই বলছি যে তরুণদের হাতে, কারণ তারাই তাদের ভবিষ্যৎ রচনা করবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনীকে দুই মাসের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। সমাবেশ হচ্ছে। তাতে, বিশেষ করে আমাদের পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। সেগুলো নিয়ে মনে করলাম যে, এভাবে চলতে দিলে তো বাড়তে আরম্ভ করবে, তখন এ প্রসঙ্গ উঠলো যে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার জন্য। …তারা বলছে আমরা তো আছিই কিন্তু, আমাদেরকে তো কেউ পরোয়া করছে না। কারণ আমাদের তো কোনো ক্ষমতা নেই। আমাদের একটা ক্ষমতা থাকলে তারা হয়তো আমাদের গণ্য করবে…তখন আমরা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিলাম।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলো, বিশেষ করে পুলিশ হত্যার ঘটনাগুলোর তদন্ত-বিচার করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে যেখানে অপরাধ করেছে তার বিচার হবে। তা না হলে তো বিচার সম্পন্ন হবে না।

এ সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধের জন্য পাকিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া, সার্ক পুনরায় কার্যকরভাবে চালু করার বিষয়ে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানের সঙ্গে জাতিসংঘ অধিবেশনের ব্যস্ততার ফাঁকে আলোচনা করা, সংবিধান সংস্কারসহ নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়ে তার সরকারের উদ্যোগ ও অগ্রগতি, বাংলাদেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বাঙালিদের সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও সহিংসতা, রোহিঙ্গা সংকট ইত্যাদি বিষয়েও কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। সংস্কারের ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন জনপ্রশাসন ও সংবিধান।

ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করা তার সরকারের মূল লক্ষ্য।

হঠাৎ কেনো এমন সংকেত ?

এনসিপি থেকে সরে গেলেন উমামা!

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩৯ অপরাহ্ণ
এনসিপি থেকে সরে গেলেন উমামা!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সবার উদ্দেশ্যে একটি ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উমামা ফাতেমা তার ভেরিফায়েড ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।

পোস্টটিতে তিনি উল্লেখ করেন, “সবার উদ্দেশ্যে একটি সংকেত, আমি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কিত নই। আমার অনেক পরিচিত বন্ধু এই দলের সঙ্গে জড়িত। তবে ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”

তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন, এসব সংক্রান্ত পরামর্শ, সাংগঠনিক আলোচনা বা প্রস্তাবনা তার সাথে উপস্থাপন না করতে, এতে দুই পক্ষেরই সময় সাশ্রয় হবে।

জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য হলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য হলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির নতুন সদস্য হয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত সফল ইউপি চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কাদের শেখ।

এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তার নিজ ইউনিয়ন কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নাবসীসহ সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে উচ্ছ্বাস। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আব্দুল কাদের চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জেলা, সদর, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।

গত (২৬ এপ্রিল শনিবার) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতির মাধ্যমে আলহাজ্ব আব্দুল কাদেরসহ ৫জনকে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়।

মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ও সংগ্রামে সিরাজগঞ্জে যে ক’জন নেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের একজন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাদের শেখ। সিরাজগঞ্জের রাজনীতির ইতিহাসে সৎ ও ক্লিন ইমেজের যে কয়েকজন নেতার নাম বলতে গেলে যার নামটিও উঠে আসে সবার আগে তিনি হচ্ছেন আব্দুল কাদের চেয়ারম্যান।

আওয়ামী দুঃশাসনে নেতাকর্মীদের বিপদ আপদে পাশে থেকে, তাদের পরিবারের খোঁজ নেয়া, মামলায় বিপর্যস্ত নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা হয়েছেন তিনি। এমনকি বিগত আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বিস্ফোরক, হত্যা, ট্রেনে অগ্নিসংযোগসহ প্রায় ৩০টি মামলার আসামী হয়েছেন তিনি। চারবার গ্রেপ্তার হয়ে এক বছরের অধিক সময় কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে। তবুও জেল জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচারিত হওয়ার পরেও দলীয় কর্মকান্ড থেকে পিছুপা হননি আব্দুল কাদের শেখ। কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ বা আতাঁত করেননি।  স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন, সৎ ও ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ আব্দুল কাদের শেখ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য হয়েছেন বলে মনে করছেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।      

এ বিষয়ে আলহাজ্ব আব্দুল কাদের শেখ বলেন, দলের দায়িত্বপ্রাপ্তির আনন্দ আছে। আমরা সবসময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছি। এই স্বীকৃতি দলের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামীতে নিজেকে এই দেশ, সমাজ ও মানুষের প্রতি নিবেদিত থেকে দলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত আছি।

পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারম্যান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির অভিভাবক, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের দিক-নিদের্শনা মোতাবেক সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো ইনশাল্লাহ। একই সঙ্গে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত যুগান্তকারী ৩১ দফার বার্তা সিরাজগঞ্জের প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে ও পাড়া-মহল্লার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।#

শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে আলাপ হয়েছিল। ভারতে থেকে হাসিনার বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বে হাসিনার চুপ থাকার বিষয়ে নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আল জাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা জানান।

ওই সাক্ষাৎকারে সংস্কার, নির্বাচন, চীন প্রসঙ্গ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ডোনাল্ড ট্রাম্প, হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান- শেখ হাসিনা দাবি করছেন, তিনি এখনো বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতে বসে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার ভারতে তার উপস্থিতিকে কীভাবে দেখছে?

জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ছিলেন। মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। মোদীকে স্পষ্টভাবে বলে বলেছি, যখন তিনি (হাসিনা) সেখানে আছেন, তখন যেন কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দেন। কারণ এটি আমাদের দেশে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি (হাসিনা) বাংলাদেশের মানুষকে উসকে দেওয়ার জন্য বক্তব্য দিচ্ছেন, আর তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী মোদী কী বলেছিলেন। উত্তরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যদি ঠিকঠাক মনে করতে পারি, তিনি বলেছিলেন, ‘এটা (ভারত) এমন একটি দেশ, যেখানে সামাজিকমাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত, আমি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ’

প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মনে করেন কি না, ভারত শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় দিচ্ছে, যেন দেশে ফিরে তাকে ন্যায়বিচারের সম্মুখীন না হতে হয়। তিনি ভারতের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন কি না?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জানান, বাংলাদেশ এরইমধ্যে ভারত সরকারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে। কিন্তু তারা এখনো কোনো উত্তর দেয়নি। যখন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন আদালত তাকে নোটিশ পাঠাবে এবং তখন দেখা যাবে কীভাবে তাকে ফিরিয়ে আনা যায়।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতেই আছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।