খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

0-0x0-0-0#

রাজধানীসহ সারাদেশে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ রবিবার শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

চন্ডীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে গত ৯ অক্টোবর থেকে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়। পরবর্তী ৫দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসবের শেষ হয়।

এবছর দেবী দুর্গার আগমন হয় দোলায় বা পালকিতে। দেবীর এই আগমনের ফলাফল হবে মড়ক। যা শুভ ইঙ্গিত নয়। এছাড়াও দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হয়। শাস্ত্রমতে এই ঘোটকে গমনের ফলে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশংখল অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। এটি যুদ্ধ, বিগ্রহ, আশান্তি, বিপ্লবের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।

সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে যা তার বাবার গৃহ। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিদায়ের করুণ ছোঁয়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে বুড়িগঙ্গা নদীতে দেয়া হয় বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা ।

একই সময় রাজধানীর উপকন্ঠে সময়ে তুরাগ নদীতে চলে বিসর্জন। সড়কে পুলিশের টহল ও নদীতে ছিল নৌপুলিশের টহল। ফায়ার সার্ভিসের টিমও দায়িত্ব পালন করে।
এদিকে দুপুরে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যৌথ উদ্যোগে বের হয় বর্ণাঢ্য বিজয়া শোভাযাত্রা। বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনে অংশ নিতে দুপুর গড়াতেই ভক্তরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেন পলাশীর মোড়ে।

পরে শত শত ট্রাক প্রতিমা নিয়ে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। ঢাকেশ্বরী থেকে শুরু করে বিজয়া শোভা যাত্রাটি শহীদ মিনার, হাইকোর্ট, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, গোলাপ শাহ মাজার, কোর্ট এলাকা হয়ে সদরঘাট পৌঁছে। রাস্তায়, বিভিন্ন ভবনে পুলিশ ছিল সতর্কাবস্থায়। রাস্তার পাশে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

অধিকাংশ ম-পের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হলেও ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রতিমাটি রেখে দেয়া হয়। কিন্তু পূজার কাজে ব্যবহৃত দেবীর ফুল, বেলপাতা ও ঘট বিসর্জন দেয়া হয়।

প্রথা অনুযায়ী প্রতিমা বিসর্জনের পর সেখান থেকে জল এনে (শান্তিজল) মঙ্গলঘটে নিয়ে তা আবার হৃদয়ে ধারণ করা হয়। আগামী বছর আবার এ শান্তিজল হৃদয় থেকে ঘটে, ঘট থেকে প্রতিমায় রেখে পূজা করা হবে। রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ধ্যা আরতির পর মিশনের পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এরপর ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করেন ও মিষ্টিমুখ করেন।

সারাদেশে এবছর ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৫২ টি। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয় মণ্ডপ পাহারার জন্য।

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৩২ অপরাহ্ণ
মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

Oplus_131072

আজ ২৬ মার্চ, ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রচনার সূচনা দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে ডাক এসেছিল দেশকে পাকিস্তানি হানাদারের কবল থেকে মুক্ত করার। আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটেছিল বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। ২৬ মার্চের এইদিনে স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি শোষকের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মাস বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। জাতি অর্জন করেছিল একটি দেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।

পুরো জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের। অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা জানাবে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে অসামান্য আত্মত্যাগকারী বাংলার অকুতোভয় বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী মহান নেতাদের। পাশাপাশি দেশ আজ মেতে উঠবে স্বাধীনতার উৎসবের আমেজে।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

২৬ মার্চ সকালে ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়া, জেলা ও উপজেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। আজ সরকারি ছুটি থাকবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা; মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি, হাডুডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।

দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ উন্মুক্ত রাখা হবে এবং বিনা টিকিটে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সিরাজগঞ্জ (ড্যাব) এর আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:১২ পূর্বাহ্ণ
সিরাজগঞ্জ (ড্যাব) এর আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

জুলাই-আগষ্ট-২০২৪ খ্রিঃ বিপ্লব আন্দোলনে নিহত সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় সিরাজগঞ্জে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজনে আলোচনা দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৫ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের পৌর কনভেনশন হলরুমে উক্ত দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান‌ের সভাপতিত্ব করেন, সিরাজগঞ্জ জেলা ড্যাব এর সভাপ‌তি ডাঃ এম. এ লতিফ এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আতিকুল আলম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পবিত্র মাহে রমজান এর তাৎপর্যমূলক বক্তব্যে রাখেন, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর- কামারখন্দ) আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ও বিএন‌পি’র স্থায়ী কমিটি সদস্য, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে  বক্তব্যে রাখেন,  ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটি’র সহ-সভাপ‌তি অধ্যাপক ডাঃ শাহ মোঃ শাহজাহান আলী।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন,  বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও  জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক  মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু ।

ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কেন্দ্রীয় পরিষদের দপ্তর সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ এরফান আহমেদ সোহেল,   ইফতার পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শিমুল তালুকদার,  এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সহ- সভাপতি মোঃ নাজমুল হাসান তালুকদার রানা,  যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন,  মোঃ হারুন অর রশিদ খান হাসান,  সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান প্রমুখ। 

এ সময়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ,  ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ,  জুলাই – আগষ্ট বিপ্লবে নিহত ও আহতদের স্বজনেরা, সুধীজন, গুণীজন সহ সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন ।

চলছে মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন

দরিদ্র, ছিন্নমূলদের চোখে আইডল তরুণ ছাত্রনেতা রাফি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
দরিদ্র, ছিন্নমূলদের চোখে আইডল তরুণ ছাত্রনেতা রাফি

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নিম্নবিত্ত, দরিদ্র, ছিন্নমূল রোজাদারদের জন্য মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন করেছে পল্লবী তথা মিরপুরের তরুণ ছাত্রনেতা মাহফুজ আল রাফি। মূলত রাফির উদ্যোগে প্রথম রমজান থেকেই এই মহতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন রাফি।

মাহফুজ আল রাফি আদর্শগতভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একনিষ্ঠ কর্মী। ইতোপূর্বে তিনি সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা মহানগর পশ্চিমে, বিশেষ করে পল্লবী থানা ছাত্রদলে রাফির কার্যক্রম বরাবরই চোখে পড়ার মতো। যার মধ্যে অন্যতম মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ প্রোগ্রাম।

মানবিক কর্মসূচির নিয়মিত অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মিরপুর বাংলা স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে বেশ বড়সড় আয়োজন করেন রাফি ও তার সমর্থবৃন্দ। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জনাব আকরাম আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব আকরাম আহমেদ এমন আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তারুণ্যের অহংকার। আমরা এদেশের তরুণদের সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সেক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে লক্ষ্য ঠিক রেখে কাজ করতে হবে। এছাড়া তিনি বিদেশে চিকিৎসারত অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতার জন্য সবার নিকট দোয়া চান। সেই সাথে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন। দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান ও মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক জনাব আমিনুল হকের জন্যও দোয়া চান এই ছাত্রনেতা। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জনাব আকরাম সংক্ষিপ্ত পরিসরে দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ দেন।

বৃহত্তর মিরপুরে তরুণদের কাছে মাহফুজ আল রাফি একটি জনপ্রিয় মুখ। সমাজের অবহেলিত, হতদরিদ্র, ছিন্নমূলদের নিয়ে রাফির জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে একবারের পবিত্র মাহে রমজানে মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন করে রাফি মিরপুর তথা পল্লবীতে নতুন করে সাড়া ফেলে দিয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, সমাজের অবহেলিত, অসহায়, হতদরিদ্র, রাস্তার রিক্সাচালকদের ডেকে ডেকে নিয়মিত ইফতার করানো নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমরা চাই রাফি অনেক বড় ছাত্রনেতা হোক। তারমতো নীতিবান নেতাই পারবে এদেশকে পরিবর্তন করতে।

অল্প বয়সেও এমন মহতি উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাফি বলেন, বাংলাদেশের গতানুগতিক ধারার রাজনৈতিক কর্মসূচি না করে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করার মাঝেই আমি আনন্দ খুঁজে পাই। কারণ লোক দেখানোর জন্য চাইলে অনেক কিছুই করা যায়। কিন্তু আমরা চাই, সমাজ পরিবর্তন করতে। আমাদের দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা মোতাবেক আমরা একটি আদর্শ সমাজ গঠনের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।

এদিনের অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতা আকরাম আহমেদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া খান সিজার। এছাড়া মহানগর ও পল্লবী থানা সহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।