খুঁজুন
শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক, ১৪৩১

আদর্শ কর্মীর জলন্ত উদাহরণ জীবন

ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিমের উদ্যোগে শহীদ জীবনের আত্নার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিমের উদ্যোগে শহীদ জীবনের আত্নার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অপর নাম ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান। সেই আন্দোলনে শত শত নিরীহ মানুষ শহীদ হন, যাদের মধ্যে রমজান মিয়া ওরফে জীবন অন্যতম। নিহত ছাত্রদলকর্মী শহীদ জীবনের আত্নার মাগফেরাত কামনায় বাঙলা কলেজ ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে একটি মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, শহীদ জীবন বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সাথে একনিষ্ঠভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতেন। একটা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন চাকরি করেও ছাত্রদলের কোনো কর্মসূচি বাদ দিতেন না তিনি। বাঙলা কলেজ ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম খলিল ও রবিউলের সাথে বেশি দেখা যেতো তাকে।

তাই কাছের কর্মী পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ায় শহীদ জীবনের আত্নার শান্তি কামনায় আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) মিরপুরের বাউনিয়াবাধে বাঙলা কলেজ ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিমের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

জীবনের রাজনৈতিক সহকর্মী, বন্ধুরা জানান, ‘জীবন আমাদেরকে বলতো- আমি যেহেতু মিরপুরে থাকি, কাউছার ভাই, ইব্রাহিম ভায়ের সাথে আত্নার সম্পর্ক। তাই ভাইদের মাধ্যমে ছাত্রদলের সাথে আমার আন্তরিক সখ্যতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বাঙলা কলেজ ছাত্রদল যেহেতু নিয়মিত প্রোগ্রাম করে। তাই বাঙলা কলেজের সাথে কর্মসূচি পালন করতে আমি স্বাচ্ছন্দবোধ করি। কারণ দেশ ও দলের জন্য কর্মসূচি, আন্দোলনে অংশগ্রহণই মুখ্য। কোন ইউনিট থেকে যাচ্ছি, সেটা বড় বিষয় না।’

সরকারি বাঙলা কলেজের প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম হল সভাপতি কে এম ইব্রাহিম খলিল বলেন, “জীবন এদেশের যুব সমাজের জন্য একটি আদর্শ। সে দেশ ও দলের ভালোবাসার টানে নিয়মিত আমাদের সাথে প্রোগ্রাম করতো। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ মূহুর্তে এবং অন্যান্য কঠিন সময়েও জীবন তার জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দায়িত্ব পালন করতো। যার অসংখ্য ছবি ও ভিডিও আমাদেরকে এখনো কাঁদায়। তার অবদান আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। একটা আদর্শ দলের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয়, জীবন তার জলন্ত প্রমাণ। আমরা মহান আল্লাহর কাছে শহীদ জীবনের আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।”

উক্ত দোয়া মাহফিলে ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম খলিল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোঃ কাউছার, মোঃ রবিউল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, মোঃ হাসানুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক জোবায়ের আল মাহমুদ সহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্থানে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে আওয়ামী দোসরদের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয় রমজান মিয়া ওরফে জীবন। ও-ই দিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আর এভাবেই একটি জলন্ত জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।

শেখ হাসিনার পতনে ভারতের হৃদয়ে ভয়ংকর জ্বালা: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
শেখ হাসিনার পতনে ভারতের হৃদয়ে ভয়ংকর জ্বালা: রিজভী

শেখ হাসিনার পতনে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছে। তাদের হৃদয়ে ভয়ংকর জ্বালা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

বৃহস্পতিবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা অসম একটি চুক্তি করেছিলেন আদানি গ্রুপ লিমিটেডের সঙ্গে, ভারতে যারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। অনেক বকেয়া রেখে গেছেন শেখ হাসিনা।

সেই বকেয়া কমানোর জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চেষ্টা করছে, অনেক পরিশোধ করেছে, আরও কিছু বাকি আছে। প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ডলার এই তিন মাসের মধ্যে তারা বিভিন্নভাবে জমা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বকেয়া পরিশোধ করেছে, তারপরও উনারা সন্তুষ্ট নন। উনারা বাংলাদেশে যে বিদ্যুৎ দেয়, সেই বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।

হুমকি দিয়েছে যে, আমরা টোটালি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেব। কেন? শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নেই এজন্য? এজন্যই কি আপনাদের এতো রাগ? এতো ক্ষোভ?

ভারতকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, আপনাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার বন্ধুত্ব, আপনাদের সঙ্গে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের সম্পর্ক। আপনাদের সঙ্গে তো বাংলার জনগণের সম্পর্ক নেই। আপনারা খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছেন, আপনাদের হৃদয়ে ভয়ংকর জ্বালা, শেখ হাসিনা নেই সেজন্য।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক সেটা হচ্ছে শেখ হাসিনা ভার্সেস ভারত; বাংলাদেশ আর ভারত নয়। ভারতের পলিসি মেকারদের সঙ্গে এই সম্পর্ক। শেখ হাসিনার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, তাহলে কত গভীর এই সম্পর্ক? এখানে জনগণ কোনো ম্যাটার নয়।

তিনি বলেন, এই দেশের মৃত্তিকা থেকে আবরার ফাহাদদের জন্ম হয়, আবু সাঈদদের জন্ম হয়, মুগ্ধর জন্ম হয়। কোনো দিন আপনারা সেটা পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, বাংলার মানুষ যেমন স্বাধীনতা প্রিয়, বাংলার মানুষ যেমন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ, ঠিক তেমনি তারা গণতন্ত্রপ্রিয়। সুতরাং, কর্তৃত্ববাদী, দুঃশাসন, একদলীয় দুঃশাসন এবং জনগণের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে আপনারা কখনোই আপনাদের প্রতিভূকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ৫২, ৬২, ৬৯, ৭১-এ বিপ্লবের রক্তধারা বাংলার তরুণদের কাছ থেকে শেখ হাসিনা কেড়ে নিতে পারেনি অনেক চেষ্টা করেও। অনেক রকম অপপ্রচার করেছে, অনেক ধরনের কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন দিয়ে পাঠ্যপুস্তক রচনা করেছে, বিভিন্ন বই রচনা করেছে। আর আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সত্য যে রচনা করতে গেছে, তাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যে কথা বলতে গেছে তাকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। না হলে লাল দালানের মধ্যে তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাঝখান দিয়ে আবার যখন তারুণ্য জেগে উঠল, কী অভূতপূর্ব আন্দোলন। এক ভাই মারা যাচ্ছে, আরেক ভাই তার পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। পুলিশ নিজেই বলেছে এরা তো কমে না। একটা করে গুলি করে মারি, আরেকজন এসে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে কব্জা করতে চায়, যারা আমাদের স্বাধীনতাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, যারা আমাদের ভাষা-সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ করতে চায়, তাদেরকে বলে রাখা উচিত এই বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে আবরার, প্রতিটি ঘরে ঘরে মুগ্ধ, এই বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে আবু সাঈদদের যুগ যুগ ধরে জন্ম হয়েছে। এই বীরত্বগাঁথা আপনারা হয়তো জানেন না। আপনারা হয়তো জানেন না, কত বীরের আত্মদানের মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ। আর আপনারা আধিপত্যবাদী নীতির মধ্য দিয়ে এই দেশকে চালাবেন, আপনারা এই দেশের ওপর প্রভুত্ব কায়েম করবেন, কখনই পারবেন না।

এ সময় জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শীবা শানু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইথুন বাবু, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন ডলারে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ণ
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন ডলারে

গত অক্টোবরে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ। এ কারণে দীর্ঘদিন পর আবার বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। তবে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ) এখনো ১৪ বিলিয়নের ঘরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৭৩ কোটি ডলার বা ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২ হাজার কোটি ডলার (২০ বিলিয়ন)।

গত মাসের শুরুর দিকে অর্থাৎ ২ অক্টোবর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ১৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। গ্রস রিজার্ভ ও বিপিএম-৬-এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, কোথাও প্রকাশ করা হয় না।

জানা গেছে, ৬ নভেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ (এনআইআর) রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪৮৮ কোটি মার্কিন ডলার। সেই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। এদিকে চলতি মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি দায় বাবদ দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে। ফলে সামনে রিজার্ভ কিছুটা কমে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে, এটা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক দিক। আশা করছি, রেমিট্যান্স বাড়ার এ প্রবাহ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আকুর দায় পরিশোধ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। দুই মাস অন্তর আমাদের এই দায় পরিশোধ করতে হয়। যখন বিলটি পরিশোধ করা হয়, তখন রিজার্ভ কিছুটা কমে, এটাই স্বাভাবিক।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়ায় ২২২ কোটি মার্কিন ডলারে (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। একই ধারাবাহিকতা দেখা যায় পরের মাসগুলোতেও। সেপ্টেম্বর মাসে আসে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার, যা ছিল ৪ বছরের মধ্যে একক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে শপথ নিতে হবে: শফিকুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ণ
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে শপথ নিতে হবে: শফিকুর রহমান

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির বলেন, ৭ নভেম্বর ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটাকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু বীর জনতা সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। তবে, ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ৭ নভেম্বর ব্যর্থ হয়ে তারা কথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন দেশপ্রেমী ও চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তকে অরক্ষিত করে ফেলে।

তিনি বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত, বৈষম্যহীন, ইনসাফপূর্ণ, তারুণ্য সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জনগণের জানমাল আমাদের কাছে পবিত্র আমানত। আমরা দেশ ও জাতির স্বার্থে সব সময় দায়িত্বশীল আচরণ করে এসেছি। কিন্তু আমরা এ দেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত-নিপীড়িত রাজনৈতিক দল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের দলকে দুই দফা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা বরাবরই পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করে এসেছি। তারপরও আমাদের নিষিদ্ধ হতে হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, ‘গরম ভাতে বিড়াল বেজার’।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, জামায়াত দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারই দেশে নেতিবাচক ও নির্মূলের রাজনীতির সূচনা করেছে। তারা আমাদের দিয়ে নাস্তা করারও ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিইনি।

আলোচনা সভায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মোহাম্মাদ রেজাউল করিমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।