খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

আদর্শ কর্মীর জলন্ত উদাহরণ জীবন

ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিমের উদ্যোগে শহীদ জীবনের আত্নার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিমের উদ্যোগে শহীদ জীবনের আত্নার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অপর নাম ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান। সেই আন্দোলনে শত শত নিরীহ মানুষ শহীদ হন, যাদের মধ্যে রমজান মিয়া ওরফে জীবন অন্যতম। নিহত ছাত্রদলকর্মী শহীদ জীবনের আত্নার মাগফেরাত কামনায় বাঙলা কলেজ ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে একটি মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, শহীদ জীবন বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সাথে একনিষ্ঠভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতেন। একটা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন চাকরি করেও ছাত্রদলের কোনো কর্মসূচি বাদ দিতেন না তিনি। বাঙলা কলেজ ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম খলিল ও রবিউলের সাথে বেশি দেখা যেতো তাকে।

তাই কাছের কর্মী পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ায় শহীদ জীবনের আত্নার শান্তি কামনায় আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) মিরপুরের বাউনিয়াবাধে বাঙলা কলেজ ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিমের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

জীবনের রাজনৈতিক সহকর্মী, বন্ধুরা জানান, ‘জীবন আমাদেরকে বলতো- আমি যেহেতু মিরপুরে থাকি, কাউছার ভাই, ইব্রাহিম ভায়ের সাথে আত্নার সম্পর্ক। তাই ভাইদের মাধ্যমে ছাত্রদলের সাথে আমার আন্তরিক সখ্যতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বাঙলা কলেজ ছাত্রদল যেহেতু নিয়মিত প্রোগ্রাম করে। তাই বাঙলা কলেজের সাথে কর্মসূচি পালন করতে আমি স্বাচ্ছন্দবোধ করি। কারণ দেশ ও দলের জন্য কর্মসূচি, আন্দোলনে অংশগ্রহণই মুখ্য। কোন ইউনিট থেকে যাচ্ছি, সেটা বড় বিষয় না।’

সরকারি বাঙলা কলেজের প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম হল সভাপতি কে এম ইব্রাহিম খলিল বলেন, “জীবন এদেশের যুব সমাজের জন্য একটি আদর্শ। সে দেশ ও দলের ভালোবাসার টানে নিয়মিত আমাদের সাথে প্রোগ্রাম করতো। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ মূহুর্তে এবং অন্যান্য কঠিন সময়েও জীবন তার জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দায়িত্ব পালন করতো। যার অসংখ্য ছবি ও ভিডিও আমাদেরকে এখনো কাঁদায়। তার অবদান আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। একটা আদর্শ দলের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয়, জীবন তার জলন্ত প্রমাণ। আমরা মহান আল্লাহর কাছে শহীদ জীবনের আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।”

উক্ত দোয়া মাহফিলে ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম খলিল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোঃ কাউছার, মোঃ রবিউল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, মোঃ হাসানুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক জোবায়ের আল মাহমুদ সহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্থানে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে আওয়ামী দোসরদের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয় রমজান মিয়া ওরফে জীবন। ও-ই দিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আর এভাবেই একটি জলন্ত জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।