খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ভুয়া সভাপতি রুনুর নেতৃত্বে দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট

কথিত ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে মারধর, লুটপাট, ৪০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৩২ অপরাহ্ণ
কথিত ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে মারধর, লুটপাট, ৪০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

রাজধানী সহ সারাদেশের বিভিন্ন যায়গায় ভুয়া ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রায়শই ঘটছে চাঁদাবাজি, লুটপাট, ফিটিংবাজি সহ নানা অপকর্ম। এবার রাজধানীর মিরপুর ১ এ “ঢাকাস্থ মিরপুর থানা কেন্দ্রীয় মহিলা সমবায় সমিতি লি:” এর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

মিরপুর ১ এর প্রাণকেন্দ্র প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত ওই ভবনটিতে অনেকগুলো ব্যবসায়ীক দোকান ছিলো। বিশেষ করে সেখানে সিমেন্ট, লেদার, জুতার ব্যবসা ছিলো রমরমা। ঠিক এ কারণেই শকুনের কুদৃষ্টি আষ্টেপৃষ্টে রেখেছিলো বহুদিন ধরে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, “সেখানকার সমিতির কমিটি গত ১৭ বছর যাবত আওয়ামিলীগের সহায়তায় নানাবিধ প্রভাব খাটিয়ে আটকে রেখেছিলো কমিটির ভুয়া সভাপতি ফেরদৌস আরা রুনু। এখানে মাত্র ২টা দোকান থাকার সুযোগে ওই ভবন ও মার্কেট দখল করতে মরিয়া ছিলো রুনু। তাই ছাত্র জনতার আন্দোলনে ছাত্র সমন্বয়কদের ভূমিকা দেখে ছাত্রদের নিয়ে নতুন কূট-কৌশল আটে রুনু। তবে এই সমিতিটি সমবায় অধিদপ্তরের আওয়তায় নিবন্ধিত হলেও, অধিদপ্তর চুপ থাকায় ঝামেলা মিটছে না।”

তারা বলছেন, রুনুকে সমিতির কেউই পছন্দ করে না। কিন্তু সে গায়ের জোর খাটিয়ে পদে বসতে চায়। তারই ফলস্বরূপ রুনু গতকাল শনিবার ও আজ রবিবার ভুয়া ছাত্র ও কথিত সমন্বয়ক ভাড়া করে এনে দোকানপাটে হামলা চালায়, করে লুটপাট। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর গাড়ি আসলে ঘটনাস্থল থেকে লুটপাটকারীদের অনেকেই সটকে পড়ে। কিন্তু ভাড়াকৃত দুষ্কৃতিকারীরা যাওয়ার আগে প্রতিটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ ভেঙে টাকা ও দামী জিনিসপত্র নিয়ে ভেগে যায়।

ভবনটিতে সিমেন্টের দোকান সহ ৮টি দোকান ছিলো আসমা রহমানের। তিনি গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন, “আমার এখানে সবচেয়ে বড় ব্যবসা ছিলো। সিমেন্টের দোকানে আমার প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ছিলো। অন্যান্য দোকানেও টাকা ছিলো। রুনু সহ তার লোকজন এসে কোনোরকম সুযোগ না দিয়েই দোকান ভাঙা শুরু করে। আরেক গ্রুপ প্রতিটি দোকানের ক্যাশবক্স থেকে টাকা, মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা শুরু করে। একপক্ষ মার্কেটের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে আমাদের ধরে রাখে। আমরা কিছু বলতে গেলেই তারা আমাদের গায়ে হাত তোলে। কোনো ছাত্রদের ব্যবহার কখনো এমন হতে পারে না। আমরা খোঁজ পেয়েছি রুনু ধানমন্ডি ও পুরান ঢাকা থেকে তাদেরকে ভাড়া করে এনেছে।”

ভুক্তভোগী আসমা আরো বলেন, “শুধু আমার দোকান গুলোই না, ওরা সবগুলো দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। বাইরে থেকে মার্কেট ভাঙার মেশিন এনে হঠাৎ করে এমন ভাঙচুর শুরু করে। রুনু ১৭ বছর ধরে সমিতির নির্বাচন করতে দেয়না। এমনকি এই ব্যবসা ও সমিতি নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। তারপরও রুনুর এমন সাহস হয় কিভাবে ? আমরা সঠিক তদন্ত করে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চায়। কারণ আমাদের সমিতি সমবায় অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত হলেও তারা কোনো সহযোগিতা করছে না।”

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, “এখানে কয়েকটা ছেলেমেয়ে বেশ ভালোই লুট করেছে। বিশেষ করে একটা জুতার দোকান সম্পূর্ণ কাচের গ্লাসে অনেক ভালো ডেকোরেশন ছিলো। সেখানে সবাই অনেক জুতাও লুট করেছে। তাদের কয়েকজন কিছু টাকা হাতে টানাটানিও করছিলো। আমরা দেখে হতবাক। তাদের কর্মকান্ড দেখে কোনোভাবেই ছাত্র মনে হলো না।”

ভুক্তভোগী আরেক ব্যবসায়ী জানান, “আমাদেরকে কোনো নোটিশ না দিয়েই রুনু ও তার ভড়াটে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। আমি দোকানে বসে থাকা সত্ত্বেও তারা মেশিন দিয়ে ভাঙা শুরু করে। আমি নিষেধ করাই আমার কলার ধরে মারা শুরু করে। এটা কি কোনো ছাত্রদের কাজ হতে পারে ভাই ? আমরা ছাত্রদের সম্মান করি। কিন্তু এই ঘটনা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। আমরা আমাদের ক্ষতিপূরন সহ সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”

এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ। তারা এমন লুটতরাজের প্রতিবাদ জানিয়ে আগামীকাল মিরপুর থানা অভিমুখে প্রতিবাদী মানববন্ধন করবে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফেরদৌস আরা রুনুর মন্তব্য জানতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি আমরা। তবে কেউ তার সঠিক ঠিকানা দিতে পারেনি।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৮:০৬ অপরাহ্ণ
১

গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৫০

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ
গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৫০

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় মানবিক সহায়তা নিতে আসা বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিহতদের মধ্যে ২৮ জনের মরদেহ খান ইউনুস শহরের নাসের হাসপাতালে ও ২১ জনকে রেডক্রসের ফিল্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

Walton

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের সামনে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থাটিকে ইসরায়েলের সমর্থন রয়েছে বলে জানানো হয়।

মানুষ যখন ত্রাণ নিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ইসরায়েলি সামরিক যান থেকে গুলি চালানো হয় এবং ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলা হয়। এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের আশপাশের পরিস্থিতি ছিল ‘চরমভাবে বিপজ্জনক’। গুলির কারণে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে, অনেকে ঘোড়ার গাড়ি বা ঠেলাগাড়িতে আহতদের নিয়ে যান।

কিছু প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একই সময়ে গাজার নেটজারিম করিডোরের কাছে আরেকটি মার্কিন সহায়তা কেন্দ্রে জড়ো হওয়া মানুষের ওপরও গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-আউদা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের কাছে সহায়তার জন্য জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে অন্তত একজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই আদ্রে করেছেন, ত্রাণ সহায়তা বিতরণকেন্দ্রে সেনাবাহিনীর গুলিতে হতাহতের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, মানবিক সহায়তাকে ইসরায়েল একটি কৌশলগত অস্ত্রে পরিণত করেছে। যা দিয়ে তারা না খেয়ে থাকা মানুষদের ব্ল্যাকমেইল করছে। ক্ষুধার্তদের ইচ্ছাকৃতভাবে খোলা ময়দানে জমায়েত করে হত্যার নিশানায় পরিণত করছে।

ইসরায়েল দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় চারটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে, যেগুলোর মাধ্যমে তারা মূলত গাজার উত্তরের বাসিন্দাদের দক্ষিণে ঠেলে দিতে চাচ্ছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

ইসরায়েলের আর্মি রেডিও এক প্রতিবেদনে বলেছে, এই সহায়তা বিতরণ পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো গাজার উত্তরাঞ্চলকে সম্পূর্ণভাবে জনমানবহীন করে তোলা।

মার্কিন সমর্থিত এই সহায়তা পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রেখেছে। যার ফলে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও জরুরি পণ্য প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ২৪ লাখ মানুষের বসবাসকারী এ ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়া গাজায় বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও একটি মামলা চলছে।

আজ থেকে ১১ ব্যাংকে মিলবে নতুন টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
আজ থেকে ১১ ব্যাংকে মিলবে নতুন টাকা

ঈদুল আজহা সামনে রেখে আজ সোমবার (২ জুন) থেকে রাজধানীর নির্দিষ্ট ১১টি ব্যাংকের শাখায় সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে নতুন টাকা বিনিময়ের কার্যক্রম।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ থিমে তৈরি নতুন সিরিজের ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নোট আজ থেকেই বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রথমবারের মতো গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরিত এসব নোট রাজধানীতে কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকে গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় ঈদের আগে রাজধানীর বাইরে নতুন নোট পাঠানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) জানায়, নতুন এই নোট প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ছাড়াও সোনালী, জনতা, অগ্রণী, পূবালী, উত্তরা, রূপালী, ডাচ-বাংলা, ইসলামী, আল-আরাফাহ ইসলামী, ব্র্যাক এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকে সংগ্রহ করা যাবে। কোন শাখাগুলোতে নতুন টাকা দেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করবে।

এ ছাড়া নতুন ডিজাইন ও থিমে তৈরি অন্যান্য মূল্যমানের নোট—১০০, ২০০, ৫০০, ১০, ৫ ও ২ টাকার নোটও পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়া হবে।

এদিকে মুদ্রা সংগ্রাহকদের জন্যও থাকছে বিশেষ সুযোগ। তাদের জন্য ছাপানো হয়েছে নমুনা (নন-এক্সচেঞ্জেবল) সংস্করণের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট। এগুলো নির্ধারিত মূল্যে মিরপুরের বাংলাদেশ ব্যাংক জাদুঘর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

চলমান সব ধরনের কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা আগের মতোই প্রচলনে থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।