খুঁজুন
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ, ১৪৩১

ভুয়া সভাপতি রুনুর নেতৃত্বে দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট

কথিত ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে মারধর, লুটপাট, ৪০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৩২ অপরাহ্ণ
কথিত ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে মারধর, লুটপাট, ৪০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

রাজধানী সহ সারাদেশের বিভিন্ন যায়গায় ভুয়া ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রায়শই ঘটছে চাঁদাবাজি, লুটপাট, ফিটিংবাজি সহ নানা অপকর্ম। এবার রাজধানীর মিরপুর ১ এ “ঢাকাস্থ মিরপুর থানা কেন্দ্রীয় মহিলা সমবায় সমিতি লি:” এর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

মিরপুর ১ এর প্রাণকেন্দ্র প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত ওই ভবনটিতে অনেকগুলো ব্যবসায়ীক দোকান ছিলো। বিশেষ করে সেখানে সিমেন্ট, লেদার, জুতার ব্যবসা ছিলো রমরমা। ঠিক এ কারণেই শকুনের কুদৃষ্টি আষ্টেপৃষ্টে রেখেছিলো বহুদিন ধরে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, “সেখানকার সমিতির কমিটি গত ১৭ বছর যাবত আওয়ামিলীগের সহায়তায় নানাবিধ প্রভাব খাটিয়ে আটকে রেখেছিলো কমিটির ভুয়া সভাপতি ফেরদৌস আরা রুনু। এখানে মাত্র ২টা দোকান থাকার সুযোগে ওই ভবন ও মার্কেট দখল করতে মরিয়া ছিলো রুনু। তাই ছাত্র জনতার আন্দোলনে ছাত্র সমন্বয়কদের ভূমিকা দেখে ছাত্রদের নিয়ে নতুন কূট-কৌশল আটে রুনু। তবে এই সমিতিটি সমবায় অধিদপ্তরের আওয়তায় নিবন্ধিত হলেও, অধিদপ্তর চুপ থাকায় ঝামেলা মিটছে না।”

তারা বলছেন, রুনুকে সমিতির কেউই পছন্দ করে না। কিন্তু সে গায়ের জোর খাটিয়ে পদে বসতে চায়। তারই ফলস্বরূপ রুনু গতকাল শনিবার ও আজ রবিবার ভুয়া ছাত্র ও কথিত সমন্বয়ক ভাড়া করে এনে দোকানপাটে হামলা চালায়, করে লুটপাট। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর গাড়ি আসলে ঘটনাস্থল থেকে লুটপাটকারীদের অনেকেই সটকে পড়ে। কিন্তু ভাড়াকৃত দুষ্কৃতিকারীরা যাওয়ার আগে প্রতিটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ ভেঙে টাকা ও দামী জিনিসপত্র নিয়ে ভেগে যায়।

ভবনটিতে সিমেন্টের দোকান সহ ৮টি দোকান ছিলো আসমা রহমানের। তিনি গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন, “আমার এখানে সবচেয়ে বড় ব্যবসা ছিলো। সিমেন্টের দোকানে আমার প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ছিলো। অন্যান্য দোকানেও টাকা ছিলো। রুনু সহ তার লোকজন এসে কোনোরকম সুযোগ না দিয়েই দোকান ভাঙা শুরু করে। আরেক গ্রুপ প্রতিটি দোকানের ক্যাশবক্স থেকে টাকা, মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা শুরু করে। একপক্ষ মার্কেটের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে আমাদের ধরে রাখে। আমরা কিছু বলতে গেলেই তারা আমাদের গায়ে হাত তোলে। কোনো ছাত্রদের ব্যবহার কখনো এমন হতে পারে না। আমরা খোঁজ পেয়েছি রুনু ধানমন্ডি ও পুরান ঢাকা থেকে তাদেরকে ভাড়া করে এনেছে।”

ভুক্তভোগী আসমা আরো বলেন, “শুধু আমার দোকান গুলোই না, ওরা সবগুলো দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। বাইরে থেকে মার্কেট ভাঙার মেশিন এনে হঠাৎ করে এমন ভাঙচুর শুরু করে। রুনু ১৭ বছর ধরে সমিতির নির্বাচন করতে দেয়না। এমনকি এই ব্যবসা ও সমিতি নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। তারপরও রুনুর এমন সাহস হয় কিভাবে ? আমরা সঠিক তদন্ত করে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চায়। কারণ আমাদের সমিতি সমবায় অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত হলেও তারা কোনো সহযোগিতা করছে না।”

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, “এখানে কয়েকটা ছেলেমেয়ে বেশ ভালোই লুট করেছে। বিশেষ করে একটা জুতার দোকান সম্পূর্ণ কাচের গ্লাসে অনেক ভালো ডেকোরেশন ছিলো। সেখানে সবাই অনেক জুতাও লুট করেছে। তাদের কয়েকজন কিছু টাকা হাতে টানাটানিও করছিলো। আমরা দেখে হতবাক। তাদের কর্মকান্ড দেখে কোনোভাবেই ছাত্র মনে হলো না।”

ভুক্তভোগী আরেক ব্যবসায়ী জানান, “আমাদেরকে কোনো নোটিশ না দিয়েই রুনু ও তার ভড়াটে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। আমি দোকানে বসে থাকা সত্ত্বেও তারা মেশিন দিয়ে ভাঙা শুরু করে। আমি নিষেধ করাই আমার কলার ধরে মারা শুরু করে। এটা কি কোনো ছাত্রদের কাজ হতে পারে ভাই ? আমরা ছাত্রদের সম্মান করি। কিন্তু এই ঘটনা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। আমরা আমাদের ক্ষতিপূরন সহ সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”

এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ। তারা এমন লুটতরাজের প্রতিবাদ জানিয়ে আগামীকাল মিরপুর থানা অভিমুখে প্রতিবাদী মানববন্ধন করবে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফেরদৌস আরা রুনুর মন্তব্য জানতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি আমরা। তবে কেউ তার সঠিক ঠিকানা দিতে পারেনি।

রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৬ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

রাজধানীর হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় লিটন দাস (৪০) কাভার্ডভ্যান চালক নিহত।

শনিবার(০৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করে।

তাকে নিয়ে আসা রবিউল বলেন,
নিহত লিটন দাস রিয়া পরিবহন কোম্পানির কাভার্ডভ্যান চালক,সকালে হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি অন্য একটি কাভার্ডভ্যান পেছনে গাড়ি ব্যাক গিয়ারে দিয়ে যাওয়ার সময় চাঁপা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিকদার মেডিকেলে নিয়ে যায় পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো বলেন,
নিহতের বাসা ঢাকেশ্বরী অরফারেন্স রোডের১৩/২ নম্বর বাসা ভরত লাল ঘোষের সন্তান। নিহত দুই মেয়ে এক ছেলের জনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

আব্দুল্লহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

ঢাকার নবাবগঞ্জ বেরি বাঁধে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলে ধাক্কায় পরান শাঁখারি(৮০)বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত পরান শাখারী ঢাকার নবাবগঞ্জ
উপজেলার নবগঞ্জ থানার ঢাকার নবাবগঞ্জের কল্যান শ্রী গ্রামের গ্রামের মৃত রায় মোহন শাখারীর ছেলে।

শনিবার(৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধ দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় ৯টাই এই ঘটনাটি ঘটে।পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২ টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে কৃষ্ণ পদ্মা শাখারী বলেন,
আজ সকালের দিকে আমার বাবা বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধে দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয় আমার বাবা।পরে খবর পেয়ে আমরা তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমার বাবাকে মৃত বলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ ফারুক বলে,
আজ দুপুরের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল। পরে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ
গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আখম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা করার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১:৪০মিনিট থেকে রাত ২টার দিকে তাদের হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। আহতরা হলেন- শুভ শাহরিয়া(১৬), ইয়াকুব(২৪), সৌরভ (২২), কাশেম(১৭),ও হাসান(২২) অজ্ঞাত নামে আরও তিনজন রয়েছে।

হাসপাতলে আহতদের মধ্যে সৌরভের বন্ধু পিয়াস বলেন,
রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের উপরে হামলা চালায়। এতে তার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। এদের মধ্যে ৮ জনকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে শুভ শাহরিয়া গাজীপুরের সাইন বোর্ডের কামারজুরি এলাকার ফজলুর ছেলে। ইয়াকুবের বাড়ি গাজীপুর গাছা থানার শরিপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।সৌরভের বাড়ি টঙ্গি পূর্ব থানার মধুমিতা রোডের গণেশ ঘোষের ছেলে। কাশেমের বাড়ি গাছা থানার আলহেরা পেট্রোল পাম্প এলাকার মৃত হাজী জামালের ছেলে এবং এবং হাসানের বাড়ি জয়দেবপুর থানার জোড়পুকুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো: ফারুক বলে, গাজীপুর থেকে আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।জরুরী বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।