খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক নেতা গোলাম ফারুক মজনু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:২২ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক নেতা গোলাম ফারুক মজনু

আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা সাজানো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দীর্ঘ ছয় বছর পর খালাস পেলেন সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ-এসএসপি’র প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক গোলাম ফারুক মজনু ও তার ছোট ভাই মিরাজ হোসেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর একদল সাদা পোশাকধারী এসএসপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। দীর্ঘ ১২ দিন আয়না ঘরের মতো জায়গায় রেখে অমানবিক নির্যাতন করে।

পরে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৭ এর ২৫(২)/ ২৮(২)/ ২৯(২)/ ৩১(২) ধারায় কলাবাগান থানায় মামলা দিয়ে রিমেন্ডের মাধ্যমে বারবার নির্যাতনের পরে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ৭ মাস ১৬ দিন কারা বরণের পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছিল এই মামলায়।

এ ব্যাপারে যুবদল নেতা গোলাম ফারুক মজনুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান আলহামদুলিল্লাহ সত্যের জয় হয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার হাজার হাজার মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করেছে।

অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে। মহান আল্লাহ তা’আলা রাব্বুল আলামিন তার বিচার করবেন। যাতে আর কোন সরকার না করতে পারে সে ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

বেলকুচির ৩নং ভাঙ্গাবাড়ী ইউপিতে ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
বেলকুচির ৩নং ভাঙ্গাবাড়ী ইউপিতে ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে জেলার বেলকুচি উপজেলার ৩নং ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়নের ৪ হাজার আট শত দুঃস্হ অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে সরকারি বরাদ্দ হিসেবে প্রতিজনকে ১০ কেজি করে চাউল সুষ্ঠু ভাবে বিতরণ করা হয়েছে।

৩ জুন মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উক্ত বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ৩নং ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা, ইমাম আলী। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোশাররফ হোসেন প্যানেল চেয়ারম্যান-২ শাহ আলম মন্ডল, ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম তুহিন, আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া, নাসরিন আকন্দ, ইউপি সচিব আবু শাহীন মোল্লা, ইউপি সদস্য নুরনবী সরকার, ইউপি সদস্য, মোঃ বাবলু মিয়া, ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন, ইউপি সদস্য এলিনা বেগম, জেসমিন বেগম প্রমুখ।

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দিনের গুমের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দিনের গুমের অভিযোগ

নিজের গুম হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও ডিবির সাবেক ডিসি মনিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ গ্রহণ করেন।

এসময় বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুলসহ অনেকে।

এর আগে নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ জমা দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর গুম কমিশনে নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ও গুমের শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদ।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়।

সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন। আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আসাম রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান, দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ১১ আগস্ট দেশে ফেরেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৩:১৫ অপরাহ্ণ
‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, এই সুযোগ থাকলে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য প্লট বা ফ্ল্যাট কেনা অসম্ভব হয়ে যাবে। এর ফলে সমাজে বৈষম্য হবে।

তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলন বৈষম্যহীন সমাজের জন্য হয়েছিল। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এই প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ নিয়ে সিপিডির মিডিয়া ব্রিফিং এসব কথা বলেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, বাজেটে অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে গেলে সেখানে অপ্রদর্শিত আয় দেখিয়ে বর্ধিত হারে বিশেষ কর দিয়ে সেটি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু আমরা সবসময় বলে এসেছি কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব একেবারেই বন্ধ করা উচিত। এটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়, আমরা এটা সমর্থন করছি না।

তিনি বলেন, এই প্রস্তাব সৎ করদাতাদের অনুৎসাহিত করবে। তাদের নৈতিকতার ওপর আঘাত। আমরা এই প্রস্তাব উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করছি। এটা বৈষম্য সৃষ্টির হাতিয়ার।

উদাহরণ দিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, আবাসন খাতের মূল্য অনেক বেশি। এর কারণ এই অপ্রদর্শিত অর্থ। এই অর্থ সেই খাতে সেটার দাম বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে যারা বৈধভাবে আয় করে তাদের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর ফলে সমাজে বৈষম্য হয়। জুলাই আন্দোলন বৈষম্যহীন সমাজের জন্য হয়েছিল। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এই প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।