৩ মাস পর মামলা, গ্রেফতার ১
দেওয়ানগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে পুনরায় তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ঘটনার ৩ মাস পর দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ভুক্তভোগী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা চকারচর গ্রামের মেয়ে (১৮)। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকেন। ঈদের ছুটিতে জুনে স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি বেড়াতে আসেন তিনি। ১৭ জুন রাতে বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বামীর সঙ্গে কথা বলছিলেন মেয়েটি। এ সময় একই গ্রামের চার বখাটে দম্পতির কাছে জানতে চায় তাদের বিয়ের কাবিননামা আছে কিনা? এ প্রশ্ন করেই স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে তারা। এরপর স্ত্রীকে (ভিকটিম) পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
দম্পতি লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে গোপনে ঢাকায় চলে যান। এদিকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও মেয়েটিকে পাঠিয়ে আবারও কুপ্রস্তাব দেয় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি তার মা’কে জানায় মেয়েটি। এরপরই তার মা বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে চকারচর গ্রামের শাহাজলের ছেলে আলিম, কবিরুল মাস্টারের ছেলে রিপন, আমের আলীর ছেলে বিপ্লব এবং মিরাজুলের ছেলে খলিলকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর ওই থানার পুলিশ গাজীপুর কোনাবাড়ী থেকে বিপ্লবকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষিতার মা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছেলেরা তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। তার ভিডিও দেখিয়ে আবার কুপ্রস্তাব দিয়েছে। জঘন্য এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় একজনকে কোনাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে তার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান জানান, ৪ জনের মধ্যে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।





আপনার মতামত লিখুন